- Home
- World News
- International News
- করোনা মহামারির এক বছর হতে চলল, এখনও কাটাছেঁড়া অব্যাহত উহানের 'কুখ্যাত' বাজার নিয়ে
করোনা মহামারির এক বছর হতে চলল, এখনও কাটাছেঁড়া অব্যাহত উহানের 'কুখ্যাত' বাজার নিয়ে
দেখতে দেখতে কেটে গেল প্রায় একবছর। করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে ক্লান্ত বিশ্ব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হাত ফিরল না করোনার আঁতুড়ঘর উহানের বাজারের। এখনও অধিকাংশ দোকানই হয় ফাঁকা নয়তো ব্যারেকড করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। স্থানীয় অনেক বাসিন্দাই মানতে নারাজ উহানই করোনার আঁতুড়ঘর।

গত বছর ৩১ ডিসেম্বর থেকে বদলে গিয়েছিল উহান। কারণ এখানেই প্রথম ধরা পড়েছিল করোনাভাইরাসের আক্রান্ত। পরপর বেশ কয়কজন আক্রান্ত হওয়ার পরে উহানের বাজারগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর প্রায় এক বছর পরেই সেই ছবিটা বদলায়নি।
এখনও উহানের সামুদ্রিক খাবারের দোকান আর মাংসের দোকান বিশেষত কুখ্যাত ওয়েট মার্কেট এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেনি। অধিকাংশ দোকানই বন্ধ রয়েছে। নয়তো ব্যারিকড করে রেখে চলছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথা সব কিছু ছন্দে ফিরতে শুরু করতে মার্কেটগুলি এখনও লক ডাউনের আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্যই গত বছর ৩১ দিন কয়ক ঘণ্টার নোটিশে টানা ৭৬ দিনের লোকডাউন দেখেছিল এই শহরের বাসিন্দারা। সেই স্মৃতি আজও ভয়ঙ্কর স্থানীয়দের কাছে।
গোটা বিশ্ব যখন দাবি করছে করোনার আঁতুরঘর চিনের উহান তখন তা মানতে নারাজ স্থানীয় অনেক বাসিন্দাই। তাদের দাবি এই রোগ উহানের মার্কেট থেকে ছড়িয়ে পড়েনি। এটি কোনও খাবার বা কোনও মানুষের মধ্যে দিয়ে এই এলাকায় এসেছিল। আর সবকিছু বদলে দিয়ে চলে গেছে।
বিশ্বের বাকি দেশের সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের দাবি উহানেই প্রথম আছড়ে পড়েছিল করোনার ঢেউ। আর সেই কারণেই এখান থেকেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
উহানের মার্কেটের মাংসের দোকান বাদ দিয়ে বাকি অনেক দোকানই খুলছে। যেমন চশমা বা জামাকাপড়ের দোকানও খুলছে। এক হোটেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন আমদানি করা সামুদ্রিক খাবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। তাই এখনও বন্ধ রয়েছে ব্যবসা।
গত বছর ৩১ ডিসেম্বর থেকেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। তারপর থেকে এক বছর ধরে গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়ায়। কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা মহামারির। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি।
এতকিছুর পরেও কুখ্যাত উহানের ভাইরোজি পরীক্ষাগার পরিদর্শন করতে দেয়নি চিনা প্রশাসন। অনেকেরই অভিযোগ এই পরীক্ষারেই তৈরি হয়েছিল করোনার জীবাণু।