- Home
- World News
- International News
- ৩০ বছরে ৯৩টি ধর্ষণ ও হত্যা, বছরের শেষে পৃথিবীর বুক থেকে দূর হল ভয়ঙ্কর 'সিরিয়াল কিলার'
৩০ বছরে ৯৩টি ধর্ষণ ও হত্যা, বছরের শেষে পৃথিবীর বুক থেকে দূর হল ভয়ঙ্কর 'সিরিয়াল কিলার'
২০২০ সালের শেষে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল আরও আবর্জনা। বুধবার কারাবন্দি অবস্থাতেই মৃত্যু হল আমেরিকার সবচেয়ে বিপজ্জনক সিরিয়াল কিলার তথা সিরিয়াল রেপিস্ট 'স্যামুয়েল লিটল'-এর। জেলের ডাক্তাররা জানিয়েছেন মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তার আগে ৩০ বছরে তিনি অন্তত ৯৩ জন মহিলাকে হত্যা করেছিলেন।
| Published : Dec 31 2020, 08:39 PM IST / Updated: Jan 15 2021, 12:37 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্যামুয়েল লিটল ৯৩ জন মহিলাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছিল। তাদের প্রত্যেককেই হত্যার আগে তিনি ধর্ষণ করেছিল। ঘটনাগুলি ঘটেছিল ১৯৭০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে।
একেবারে কৈশোর থেকেই চুরি, ডাকাতি এমনকী হত্য়ার অভিযোগেও বারবার কারাবাস করতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু, কখনই তার বিরুদ্ধে ওঠা হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তিন দশক ধরে সকলের চোখ এড়িয়ে একের পর এক মহিলাকে ধর্ষণ ও হত্যা করে গিয়েছিল সে।
শেষ পর্যন্ত ৩টি হত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, ২০১৪ সাল থেকে সে জেলে ছিল। আর সেখানেই ২০১৮ সালে সে ওই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি প্রকাশ করেছিল।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৭০০ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর লিটল তার অপরাধ স্বীকার করেছিল। কোন বছর কোথায় হত্যা করেছিল, মৃতদেহ কোথায় ফেলেছিল থেকে শুরু করে মৃতাদের স্কেচও পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল সে। সেই সূত্র ধরে ৫০টি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাকে যুক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। বাকিগুলির কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
ধর্ষণ ও হত্যার জন্য যে মহিলাদের স্যামুয়েল বেছে নিত, তারা বেশিরভাগই হয় বেশ্যাবৃত্তি করতেন, অথবা মাদকাসক্ত অথবা অতি দরিদ্র পরিবারের। সেই কারণে অধিকাংশ নিহত মহিলার কেউ খোঁজ খবরও করেনি। বিশেষ হইচই হয়নি।
স্যামুয়েল লিটল-এর আসল নাম ছিল ম্যাকডাওয়েল। ৬ ফুটের ৩ ইঞ্চি লম্বা স্যামুয়েল জানিয়েছিল অল্প বয়সে কারাবন্দি থাকাকালীনই তার বক্সিং-এ আগ্রহ জন্মেছিল। জেলেই শিখেছিলে সেই বিদ্যা। পরে বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন। বক্সিং-এর পাঞ্চই সে হত্যার কাজে লাগাতো। শক্তিশালী ঘুষিতে শিকারদের অজ্ঞান করে পিছন থেকে হাত দিয়ে গলা পেচিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করত।
তবে, তার অপরাধের সাজা ইহ জগতেই তাকে যথেষ্ট ভুগতে হয়েছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারত না সে। ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগে একেবারে শয্য়াশায়ী হয়ে পড়েছিল। তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্য়ুর প্রকৃত কারণ এখনও অজানা।
ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন জানিয়েছে, স্য়ামুয়েলের মৃত্যুর পরও তার দেওয়া স্কেচ ধরে তার অন্যান্য শিকারদের খোঁজ চালিযে যাওয়া হবে। কারণ এখনও পর্যন্ত তার সমস্ত দাবিই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। সে কখনই হত্যার বিষয়ে কোনও ভুল কথা বলেনি।