- Home
- World News
- International News
- রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে আফগান যুদ্ধ - কথা বলত তালিবানি হামলায় হত দানিশ-এর তোলা ছবি, দেখুন
রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে আফগান যুদ্ধ - কথা বলত তালিবানি হামলায় হত দানিশ-এর তোলা ছবি, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
আর শাটারের বোতামে চাপ পড়বে না তাঁর আঙুলের। আর খবর বলবে না তাঁর তোলা ছবিগুলো। শুক্রবার, বিশ্ব জুড়ে তিনিই হয়ে গিয়েছেন খবর। রয়টার্স সংবাদ সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। ২০০৭ সালে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার এজেকে-মাস কমিউনিকেশন গবেষণা কেন্দ্র থেকে এমএ করেছিলেন তিনি। তারপর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন টিভি করেসপন্ডেন্ট হিসাবে। ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য পুলিৎজার পুরষ্কার প্রাপ্ত রয়টার্সের সাত সদস্যের দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন দানিশ।
আফগানিস্তানের কান্দাহারে একটি চেকপোস্টে পণবন্দি এক পুলিশ কর্মকর্তার উদ্ধার অভিযান চলাকালীন তালিবানদের সঙ্গে প্রচণ্ড সংঘর্ষে ধ্বংস হওয়া আফগান স্পেশাল ফোর্সের একটি সাঁজোয়া গাড়ি। ছবিটি দানিশ তুলেছিলেন মৃত্যুর মাত্র ৩ দিন আগে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি তুলতে গিয়ে অতি সম্প্রতি এই ছবিটি তুলেছিলেন দানিশ।
বঙ্গোপসাগর হয়ে নৌকায় করে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে এক ক্লান্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী মহিলা বাংলাদেশের শাহ পরির দ্বীপে সবে তীরে এসে পৌঁছেছেন। ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ছবিটি তুলেছিলেন সিদ্দিকি।
এই রোহিঙ্গা সমস্যাকেই ছবিতে ছবিতে তুলে ধরে পুলিৎজার জিতেছিলেন দানিশ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সময়ও ক্যামেরা হাতে গ্রাউন্ড জিরোতে ছিলেন দানিশ সিদ্দিকি।
নয়াদিল্লিতে নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন একদল হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দিতে দিতে বেধড়ক প্রহার করেছিল ৩৭ বছরের মহম্মদ জুবেইর-কে। পরে তাঁর সঙ্গীরা এসে রক্তাক্ত জুবেইরকে উদ্ধার করেছিলেন। সেই ঙয়ঙ্কর ঘটনাও ঝুঁকি নিয়ে ক্যামেরা বন্দি করেছিলেন দানিশ।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বন্দুক দেখিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল এই ব্যক্তি। তার এই কুখ্যাত ছবিটিও ক্যামেরা বন্দি করেছিলেন দানিশ। তাঁর মৃত্যুর দিন আদালত এই ব্যক্তির জামিন নাকচ করেছে।
২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে পঞ্জাবের বর্নলায় কৃষকদের বিশাল মহাপঞ্চায়েতের এই ছবিটি কৃষক বিক্ষোভের আকারটা বুঝিয়ে দিয়েছিল।
ভারতের কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করায় জলবায়ু পরিবর্তন কর্মী গ্রেটা থানবার্গ-এর পোস্টার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন একটি হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছবিটি ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তোলা।
লকডাউনের জেরে কাজ নেই, রাস্তায় নেই যানবাহন। অস্থায়ী সংসার তুলে পায়ে হেঁটে গ্রামের পথে পরিযায়ী শ্রমিকরা। দানিশের ক্যামেরায়।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় চলছে শাহি স্নান। ছবিটি দানিশ তোলেন ২০২১-এর ১২ এপ্রিল।
নয়াদিল্লিতে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ চলাকালীন এক কোভিড -১৯ ওয়ার্ডের দৃশ্য। ছবিটি তোলা ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল।
ভারতে কোভিডেরর দ্বিতীয় তরঙ্গ চলাকালীন নয়াদিল্লির এক হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের বাইরে প্রিয়জনের দেহ আগলে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি।
নয়াদিল্লির এক মাঠে, করোনাভাইরাস জনিত জটিলতায় মৃতদের গণ-শ্মশান। ছবিটি ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল তোলা।
আফগানিস্তান যুদ্ধ, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সংকট, ভারতে সিএএ বিরোধী আন্দোলন, কোভিড মহামারি, কৃষক বিক্ষোভ, ছাড়াও ইরাক যুদ্ধ, হংকং-এ চিন-বিরোধী বিক্ষোভ, নেপাল ভূমিকম্পের মতো বড় ঘটনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন দানিশ।
তবে শুধু যুদ্ধবিগ্রহই নয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ছবিও তুলতেন দানিশ। মহরমের দিনের এই ছবিটিও তাঁর তোলা।
জেজুরির এক মন্দিরে, সোমবতী অমাবস্যার দিন খাণ্ডবদেবের উদ্দেশ্যে হলুদের গুঁড়ো নিবেদন করছেন ভক্তরা। ২০১৯ সালে এই ছবিটি তুলেছিলেন দানিশ।