- Home
- World News
- International News
- শেষ দুর্গ পঞ্জশির - হামলার জন্য প্রস্তুত তালিবান, প্রতিরোধ বাহিনী গড়ছে তিন মাথা, দেখুন
শেষ দুর্গ পঞ্জশির - হামলার জন্য প্রস্তুত তালিবান, প্রতিরোধ বাহিনী গড়ছে তিন মাথা, দেখুন
কাবুলের উত্তরে হিন্দু কুশের পর্বতের শীর্ষে অবস্থিত পঞ্জশির উপত্যকা এখন তালিবান প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু। এখানেই অবস্থান করছেন প্রাক্তন আফগান প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালে। আর তালিবা বিরোধী যোদ্ধারাও এখানেই তাদের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত হচ্ছে। গোটা আফগানিস্তানের তালেবানরা দখল করে নিলেও এই পঞ্জশির উপত্যকাই একমাত্র এখনও তালিবান-মুক্ত অঞ্চল। তবে, রবিবার জানা গিয়েছে, তালিবান যোদ্ধারা তৈরি হচ্ছে পঞ্জশিরের শেষ দুর্গ দখলের জন্য।
| Published : Aug 22 2021, 07:38 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে তালিবানরা সামরিক গাড়ি, অস্ত্রশস্ত্র জড়ো করছে। দাবি করা হচ্ছে, সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে তারা পঞ্জশির অঞ্চল দখল করদতে যাচ্ছে। এই উপত্যকা যে প্রতিরোধ আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে, সেটা তারা মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না।
পঞ্জশির উপত্যকার অবশ্য প্রতিরোধের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে যখন আফগানিস্তান জুড়ে গৃহযুদ্ধ চলছে, সেই সময়ও তালিবানদের হাতে পরাজিত হয়নি এই উপত্যকা। তারও আগে সোভিয়েত হামলার সময়ও, সোভিয়েত বাহিনী পঞ্জশির দখল করতে পারেনি।
কেন পঞ্জশির-কে বহিঃশত্রুরা দখল করতে পারেনি? সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর প্রধান কারণ এই উপত্যকার অবস্থান। একে একটা প্রাকৃতিক দুর্গ বলা যেতে পারে। কাবুলের উত্তরে হিন্দুকুশ পর্বতের দুর্গম স্থান হওয়ার এই উপত্যকা ভৌগোলিক সুবিধা পায়।
এই পঞ্জশির উপকত্যকাতেই জন্মেছিলেন প্রাক্তন আফগান প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালে। যুদ্ধ সংক্রান্ত তাঁর যাবতীয় প্রশিক্ষণও এই উপত্যকাতেই। হাতের তালুর মতো চেনেন। এখান থেকেই নিজেকে দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে, তালিবানদের প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সোশ্য়াল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে পঞ্জশিরে ফের উড়ছে 'নর্দান অ্যালায়েন্স' বা ইউনাইটেড ইসলামিক ফ্রন্ট ফর দ্য স্যালভেশন অফ আফগানিস্তানের পতাকা। এর আগে এই পতাকা পঞ্জশিরে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০০১ সালে। শুধুমাত্র তালিবানজদের প্রতিরোধ করতেই উত্তর আফগানিস্তানের কিছু শক্তি, ১৯৯০-এর দশকে হাত মিলিয়ে এই জোট গঠন করেছিলেন।
পঞ্জশিরের কিংবদন্তি তালিবান বিরোধী নেতা তথা সালের মেন্টর আহমদ শাহ মাসুদের পুত্র আহমদ মাসুদ সোশ্যাল মিডিয়ায় তালিবান বিরোধী সৈন্যদের পঞ্জশিরে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আফগান জাতীয় সেনার সদস্যরা পঞ্জশিরে আসতে শুরু করেছেন। বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জামও উপত্যকায় জড়ো করা হয়েছে।
তালিবানরা কাবুল দখল করার পরই প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লা সালেকে দেখা গিয়েছিল পঞ্জশিরে, আহমদ মাসুদের সঙ্গে। ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ইজ্জাতুল্লাহ মেহরদাদ টুইট করে দাবি করেছেন, প্রাক্তন আফগান সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লা খান মোহাম্মদিও বর্তমানে আফগানিস্তানের পঞ্জশিরে উপস্থিত হয়েছেন। তিন মাথা মিলে তালিবান বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনী গঠন করছেন।