- Home
- World News
- International News
- যৌনদাসী চেয়ে তালিবানি ফতোয়া - আফগান মহিলাদের জীবনে ফিরল অন্ধকার দিন, দেখুন ছবিতে ছবিতে
যৌনদাসী চেয়ে তালিবানি ফতোয়া - আফগান মহিলাদের জীবনে ফিরল অন্ধকার দিন, দেখুন ছবিতে ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে, আমেরিকার সঙ্গে তালিবানদের আলোচনার সময় থেকে এখনও পর্যন্ত, বারবার তালিবানরা দাবি করেছে যে, তারা তাদের চরমপন্থী বিশ্বাস ও সেগুলি প্রয়োগের কঠোর পদ্ধতির পথ থেকে সরে এসেছে। দমনমূলক নিয়মতান্ত্রিকতার পথে আর তারা ফিরবে না। কিন্তু, ওই যে কথায় বলে, 'কয়লা যায় না ধুলে, স্বভাব যায় না মলে'। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হতেই ফের স্বমূর্তি ধারণ করছে তারা। ফের শুরু হয়েছে মহিলাদের উপর দমন-পীড়ন।
এর আগে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছিলতালিবানরা। ইসলামিক শরিয়া আইনের তালিবানি সংস্করণ মেনে জারি করা হয়েছিল বিভিন্ন চরমপন্থী বিধি-বিধান। বিশেষ করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল মহিলাদের জীবনযাপনে। মহিলাদের আপাদমস্তক ঢেকে থাকতে হতো সবসময়। তাদের বাড়ির বাইরে কোনও কাজ করা ছিল নিষিদ্ধ। মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্য়েকবার বাড়ির বাইড়ে বের হতে গেলে, মহিলাদের সঙ্গে কোনও পুরুষ আত্মীয়কে নিয়ে যেতে হতো।
২০০১ সালে মার্কিন সেনা তালিবানদের সরিয়ে আফগানিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। গত ২০ বছরের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ - এই পাঁচ বছরের পিছিয়ে যাওয়াটা অনেকটাই মিটিয়ে ফেলেছিল আফগানিস্তান। আফগান মহিলারাও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছিলেন। কিন্তু, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হতেই আফগানিস্তানের তালিবান-নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলি যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই ফিরে গিয়েছে।
উত্তর-পশ্চিমের ফরিয়ব প্রদেশের বেশ কয়েকটি অংশে, তালিবানরা এমনকী, কোনও মহিলা একা আসলে তাকে কোনও পণ্য বিক্রি না করার বিষয়ে দোকানদারদের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যারা এই আইন মানছে না, তাদের, প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত বা কখনও কখনও মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে।
এই অবস্থায় আফগানিস্তানের নারী অধিকার কর্মীরা দারুণ উদ্বীগ্ন। ইতিমধ্য়েই তালিবানরা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা তাদের দখলে। মার্কিন সেনা পুরোপুরি সরে গেলে পুরো দেশই আবার তাদের হাতে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে ফের একবার স্বাধীনতা হারাবেন মহিলারা এমনই মনে করা হচ্ছে।
সানাম সাদাত নামে ফরিয়বের প্রাদেশিক রাজধানী মাইমনারের এক নারী ইধিকার কর্মী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, 'মহিলাদের জীবনে অতীতের সেই অন্ধকারময় দিনগুলি ফিরে আসতে পারে ভেবে আমি উদ্বিগ্ন। সেই সময় আমরা ছিলাম শুধুমাত্র গৃহবধূ। সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি এমনকী খেলাধুলাতেও অংশ নেওয়া নিষেধ ছিল। তালিবানরা শহর দখল করার পর কী হবে? তখন মহিলাদের কী হবে?'