- Home
- World News
- International News
- জল নয়, এই ঝরণা দিয়ে গড়িয়ে পড়ে রক্ত-কী রহস্য এর পিছনে, দেখুন গা ছমছমে ছবি
জল নয়, এই ঝরণা দিয়ে গড়িয়ে পড়ে রক্ত-কী রহস্য এর পিছনে, দেখুন গা ছমছমে ছবি
- FB
- TW
- Linkdin
চারপাশে ধু ধু বরফের স্তর। পুরু বরফের স্তরে ঢেকে গোটা অ্যান্টার্কটিকা। কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। প্রাণী বৈচিত্র্য বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নতুনত্ব বিশেষ নেই বললেই চলে।
সবচেয়ে শীতলতম এ মহাদেশের পূর্বাঞ্চলের ম্যাকমার্দোর ভিক্টোরিয়া ল্যান্ডে রয়েছে শুষ্ক উপত্যকা। সেখানকার টেইলর হিমবাহ থেকে টেইলর ভ্যালির তুষারে ঢাকা ওয়েস্ট লেক বনির ওপর দিয়ে বয়ে যায় রক্ত লাল রঙের ঝর্ণা
অস্ট্রেলিয়ার ভূবিজ্ঞানী গ্রিফিথ টেলর আবিস্কার করেন বিস্ময়কর এই প্রাকৃতিক স্থানটি। তার ধারণা অনুযায়ী, শ্যাওলা কিংবা অন্য কোনো জলজ উদ্ভিদের কারণে হয়তো জলের এমন রং হয়েছে।
জানেন কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এই লাল রংয়ের ঝরণার পিছনে। ২০১১ সালে এই ঝরণার রহস্য আবিষ্কৃত হয়। অ্যান্টার্কটিকার এই ব্লাড ফলস্টিকে ঘিরে রহস্য বেশ পুরোন। এই রহস্যের জট খোলে ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস্ এর করা একটি গবেষণা
গবেষকরা জানান, এই ঝর্ণার জল গাঢ় লাল হওয়ার পেছনে দায়ী সমুদ্রের নোনা জলেতে থাকা অক্সিডাইজড্ আয়রন। লোহার কোনো বস্তুতে মরচে পড়লে যেমন লাল রং হয়ে যায়, ঠিক সেভাবেই এই জল লাল হয়ে রয়েছে।
আয়রনযুক্ত নোনা জল যখন অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে, তখন আয়রন অক্সিজেনের সাথে রাসায়নিকভাবে জারিত হয়ে লাল রঙের হয়ে যায়। ফলে ঘন লাল রংয়ের জল প্রবাহিত হতে থাকে।
ব্লাড ফলসটিতে এমন এক জীবাণু রয়েছে যা চরম অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে। এ মাইক্রোবিয়াল সম্প্রদায়গুলো জলেতে থাকা সালফেটের মাধ্যমে শক্তি তৈরি করে। মানুষ যেভাবে খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে, ঠিক সেইভাবেই অক্সিজেন ব্যবহারের পরিবর্তে এই জীবাণুগুলো সালফেট ব্যবহার করে বেঁচে থাকে।
তবে আরেকটি প্রশ্নও উঠছে তা হলো জনমানবশূন্য এই অঞ্চলে এতো লৌহ আকরিক এসেছে কীভাবে? ব্যাখ্যা বা যুক্তি যাই থাকুক না কেন, জলপ্রপাতটি বাস্তবে দেখতে যে ভয়ংকর সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এটি দেখলে মনে হবে রক্তের সমুদ্র বয়ে চলেছে।