- Home
- World News
- International News
- ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের নয়া হাব তুরস্ক, পাকিস্তানের সঙ্গে অশুভ আঁতাত নিয়ে এল সতর্কতা
ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের নয়া হাব তুরস্ক, পাকিস্তানের সঙ্গে অশুভ আঁতাত নিয়ে এল সতর্কতা
কাশ্মীর সমস্যাকে খুঁচিয়ে ঘা করতে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আরেকটি দেশ। দুই ষড়যন্ত্রকারী মিলে কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে নিয়ে যেতে চাইছে শুধু নয়, কাশ্মীরি তরুণদের মগজ ধোলাইতেও পাকিস্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে ইউরোপিয় এই দেশ। শুধু তাই নয়, ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে জানা গিয়েছে 'ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের নয়া কেন্দ্রস্থল' হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে তুরস্ক।
| Published : Aug 06 2020, 10:35 PM IST / Updated: Aug 13 2020, 01:20 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
এক সর্বভারতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন তুরস্ক 'ভারতবিরোধী কার্যকলাপের নয়া কেন্দ্রস্থল' হয়ে উঠেছে। তুর্কি সরকারের হয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অলাভজনক সংস্থা, এবং এনজিও-গুলি ভারতে তুরস্কের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে। আর এই কাজটা তারা করছে দুইভাবে - ভারতেও, ভারতের বাইরেও।
গোয়েন্দাদের দাবি নিরীহ এনজিও বা অন্যান্য সংস্থার মুখোশের আড়ালে তুর্কি সরকার একদিকে কাশ্মীরি এবং ভারতের অন্যান্য মুসলিম শিক্ষার্থীদের আকর্ষমীয় বৃত্তির লোভ দেখিয়ে সেই দেশে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক যেভাবে কাশ্মীরি যুবকদের পড়াশোনার সুযোগের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যায় পাকিস্তান, সেই ভাবেই। আর তুরস্কে পৌঁছনোর পরই সেখানে থাকা পাকিস্তানি চরদের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাদের। তারাই ভারতের বিরুদ্ধে ওই যুবকদের উস্কায়।
আবার অন্যদিকে বিভিন্ন এনজিও, শিক্ষা সংস্থাকে সামনে রেখে, ভারতের ইসলামি গোষ্ঠীগুলির কাছাকাছি পৌঁছানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। এমনটাই খবর রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে।
স্পষ্টতই, কাশ্মীর বিতর্ককে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে নিয়ে গিয়ে ভারতের সমস্যা বাড়ানোর জন্য পাকিস্তান এবং তুরস্ক এটি একটি নতুন জোট তৈরি করেছে। এক বছর আগে নরেন্দ্র মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের নাটকীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় থেকেই এর শুরু। আরব বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই সেইসময় কিছু না বললেও, পাকিস্তানের সুরে সুর মিলিয়ে তুরস্ক ভারতের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছিল। তারপর থেকে কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ইমরান খানের মতোই তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এর্দোগান কাশ্মীরি 'মুসলিম'দের সমর্থক হিসাবে নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টা করে চলেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পাক সফরের এসে এর্দোগান বলেছিলেন, নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তে কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সংহতিও প্রকাশ করেছিলেন। গত বুধবার, ৩৭০ ধারা বাতিলের এক বছর পূর্তির দিনেও এর্দোগান বলেছেন ভারতের এই পদক্ষেপের জন্যই জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি ও স্থিতি হারিয়ে গিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতেই এর্দোগানের কাশ্মীর মন্তব্যের পর নয়াদিল্লি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিল, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কাশ্মীরের বিবাদের ইতিহাস জানেন না। তারপর থেকে ভারত ও তুরস্কের সম্পর্কের আর উন্নতি হয়নি।
আসলে এই পাকিস্তান-তুরস্কের এই ভয়ঙ্কর জোটে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরই লাভ রয়েছে। ভারতে মোদী সরকার মুসলমানদের বিশেষত কাশ্মীরি মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে, মুসলিম বিশ্বে বারবার এই ধারণা তুলে ধরতে চেয়েছেন ইমরান খান। আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংস্থার মতো মুসলিম রাষ্ট্রগুলির জোট অর্গানাইজেশন অব মুসলিম কান্ট্রিজ বা ওআইসি-তেও বিশেষ কল্কে পাননি তিনি।
অন্যদিকে রিসেপ তাইপ এর্দোগান-এর লক্ষ্য আধুনিক সময়ের 'খলিফা', অর্থাৎ মুসলিম বিশ্বের অঘোষিত নেতা হওয়া। ইউরোপীয় মূল্যবোধ-কে বিসর্জন দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটছে এর্দোগানের তুরস্ক। তবে, সৌদি আরবের মতো বেশিরভাগ মুসলিম দেশেরই আঙ্কারার এই নব্য সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনা মোটেই পছন্দ নয়। তুরস্ক-কে তারা কোনও প্রভাবশালী ইসলামি শক্তি হিসাবেই বিবেচনা করতে রাজি নয়। এই অবস্থায় নয়া ইসলামি জোট গড়ে, কাশ্মীরি মুসলিমদের মসিহা হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।