- Home
- World News
- International News
- জলবায়ু পরিবর্তন 'মানব সভ্যতার কাছে লাল সতর্কতা', রিপোর্ট প্রকাশ করে উদ্বেগ রাষ্ট্রসংঘের
জলবায়ু পরিবর্তন 'মানব সভ্যতার কাছে লাল সতর্কতা', রিপোর্ট প্রকাশ করে উদ্বেগ রাষ্ট্রসংঘের
জলবায়ু পরিবারত গোটা বিশ্বের কাছেই একটা হুমকি। তেমনই রিপোর্ট প্রকাশ করল রাষ্ট্র সংঘ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মানুষের কর্মকাণ্ড যেভাবে দ্রুত বিশ্বের জলবায়ুরর পরিবর্তন ঘটাচ্ছে গত লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তেমনটা হয়নি। বিশ্বের তাপমাত্রা প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াল বেড়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।
| Published : Aug 09 2021, 05:27 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সোমবারই জলবায়ু পরিবর্তন আর বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করল রাষ্ট্রসংঘ। গত দুসপ্তাহ ধরে বিশ্বের ১৯৫টি দেশের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা আর পর্যালোচনার পরই এই রিপোর্ট অনুমোদন করেছে। ২০১৪ সালে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে শেষ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল।
চলতি রিপোর্টে রাষ্ট্র সংঘ বলেছেন গত দুই দশকে বিশ্বের উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। যা রীতিমত উদ্বেগের বিষয়। মানুষের জন্যই জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৩ সালে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রকাশিত শেষ রিপোর্টেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল যে মানুষের জন্যই বিশ্বের জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে। এবারও সেই একই আশঙ্কা করা হয়েছে। তবে এবারে পরিস্থিতি আরও খারাপ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
সদ্যো প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের প্রভাবের কারণে জদলবায়ুতে অপরিবর্তনীয় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে দ্রুতহারে জলবায়ুর এই পরিবর্তন মানবতার জন্য একটি রেড কোর্ড।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ করেছেন। কিছু গতিশীল পরিবর্তন সামনে এসেছে। উল্লেখ্যযোগ্য হল- সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। যা কয়েক হাজার বছর ধরে অপরিবর্তনীয় ছিল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে কার্বন ডাই অক্সাইড ও গ্রিন হাউস গ্যাসের কঠোর আর দ্রুত হ্রাস জলবায়ু পরিবর্তনকে সীমাবদ্ধ করতে পারে। তবে বিশ্বের সবকটি দেশকেই একটি নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হবে। তা যদি না হয় তাহলে বিশ্ববাসীকে একটি বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়ন বৃদ্ধির ফলে তাপ প্রবাহ বাড়বে। বাড়ে যাবে গরমকাল। কোনও কোনও জায়গায় প্রবল ঠান্ডা পড়বে। অবিরাম তুষারপাত হতে পারে। যা কৃষি আর স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে বিশ্ব জুড়েই ভারী বৃষ্টির পরিমাণ ১.৩গুণ বেড়েছ। জলধারার পরিমাণ বেড়েছে ৬.৭ শতাংশ। যা গত ৫০ বছরে তুলনামূলকভাবে বেশি। ১৯০০ সালের পর থেকে এটাই প্রথম সবথেকে বেশি উষ্ণায়নের রেকর্ড করা হয়েছে।
আগে প্রতি দশকে একবার বা পাঁচ থেকে ছয় বছর অন্তর তাপমাত্রা বাড়ত। কিন্তু এখন এটা নিত্য বছরের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাপমাত্রা আর সমুদ্রে জলস্তর প্রায় ২ সেন্টিমিটার বেড়ে যাওয়ার নিচু এলাকাগুলি আরও বেশি করে বন্যা প্রবন হয়ে উঠবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে ধীরে ধীরে উষ্ণতা বাড়ছে। বিশ্বের উষ্ণতা যদি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াল বেড়ে যায় তাহলে আরও বড় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আর্কটিক সাগবে হিমবাহের ক্ষতি হবে। তবে বিশ্বের তাপমাত্রাকে ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব বলেও দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নিঃসরণ কমিয়ে শূন্যে নিয়ে আসলেই ফাঁড়া কাটতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি অক্সিজেনের বৃদ্ধি জরুরি।