- Home
- World News
- International News
- করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে শিশু ও কিশোরদের, মাস্ক পরার ক্ষেত্রে নতুন গাইডলাইন দিল 'হু'
করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে শিশু ও কিশোরদের, মাস্ক পরার ক্ষেত্রে নতুন গাইডলাইন দিল 'হু'
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি কাবু করেছে প্রবীণদের। তা বলে শিশু ও কিশোরদের জন্য ঝুঁকি যে একে বারে নেই, তা নয়। হয়তো প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার কম। তবু বিপদের আশঙ্কা তো রয়েছেই। সতর্কতা হিসেবে তাই মাস্ক পরা, বার বার হাত ধোওয়ার মতো অভ্যাসগুলি শিশু ও কিশোরদের জন্যেও সমান ভাবে প্রযোজ্য।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কের প্রয়োজনীয়তার কথা গত ৫ জুন ঘোষণা করেছিল হু। তবে শিশুদের জন্য আলাদা করে কোনও গাইডলাইন ছিল না। সম্প্রতি এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
কোন বয়সের শিশু-কিশোরের জন্য কী কী সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন তা জানিয়ে নিজস্ব ওয়েবসাইটে হু এবং ইউনিসেফ জানিয়েছে, বারো বা তার বেশি বয়সি কিশোরদের বড়দের মতোই নিয়মিত মাস্ক পরা উচিত।
হু -এর তরফে জানানো হয়েছে, ১২ বছর বা তার বেশি বয়সের ছেলে-মেয়েরা বাইরে বেরলেই মাস্ক পরা আবশ্যক। অন্যদের থেকে এক মিটার দূরে থাকলেও মুখে রাখতে হবে মাস্ক। একইসঙ্গে সংক্রমক এলাকায় যাতে তারা মুখ থেকে মাস্ক না নামায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৬ থেকে ১১ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে তা পরতে হবে পরিস্থিতি বুঝে। যেমন, ওই এলাকায় সংক্রমণের হার কতটা, মাস্ক ব্যবহারে শিশুর স্বাচ্ছন্দ্য রয়েছে কি না, মাস্ক সহজলভ্য কি না, বড়দের পক্ষে ওদের উপরে পর্যাপ্ত নজরদারি সম্ভব কি না— তার উপরেই শিশুদের মাস্ক পরা নির্ভর করছে।
বড়দের তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাস্ক পরানো জরুরি, বলছে হু। এই সংস্থা জানাচ্ছে কোনও শিশু কীভাবে মাস্ক পরতে পারছে, কতক্ষণ পরে থাকতে পারছে, সেই বিষয়গুলি বিবেচনা করে শিশু মাস্ক পরানোর অভ্যাস করা জরুরি। এই দায়িত্ব অভিভাবকদের নিতে হবে। তাদের সেই গুরুত্ব বোঝাতে হবে, তবেই তারা মাস্ক পরে থাকতে রাজি হবে। মাস্ক পরলে শিশুরা নিরাপদে থাকতে পারবে বলেই মনে করছে হু।
তবে ৫ বছরের ছোট শিশুদের মাস্ক পরার দরকার নেই বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এতে তার শারীরিক অসুবিধা হতে পারে। সেই কথা বিবেচনা করেই ওই বয়েসী শিশুদের মাস্কের দরকার নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একেবারে ছোটদের তুলনায় বড় শিশু বা কিশোরদের সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা অনেক বেশি।
গবেষকরা জানিয়েছেন আগে যেমনটা ভাবা হচ্ছিল তেমন পরিস্থিতি আর নেই। শিশু কিংবা অল্প বয়স্কদের মাধ্যমেই নিঃশব্দে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। আর তাতেই মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্করা।
জার্নাল অফ পেডিয়াট্রিক্স পত্রিকায় এই সংক্রান্ত সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকার মাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে গবেষকরা জানিয়েছেন, ১৯২ দুজনের ওপরেই সমীক্ষা চালানো হয়েছে যাদের বয়স ১৬ থেকে ২২।
এই সমীক্ষার প্রধান গবেষক লয়েল ওয়ংকার বলেন, সংক্রমিত হওয়ার প্রথম দুদিন শিশুদের শরীরে ভাইরাস যে পরিমাণে থাকছে তা চমকে দেওয়ার মতো। ভাইরাসের উপস্থিতিতে এত বেশি পরিমাণ থাকবে তা আশা করা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করার জন্য অনেক প্রোটেকশনে নেওয়া হচ্ছে,, অথচ তার থেকে অনেক বেশি ভাইরাস আছে এমন একটি শিশু সুস্থ ভাবে চলাফেরা করছে, ফলে তার থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা অনেক বেশি।
তবে বর্তমান করোনা বিশ্বে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে নজর দিতে বলা হয়েছে। নয়া পরিস্থিতিতে ওদের দেখা-শেখা এবং সামাজিক ও মানসিক বৃদ্ধি ধাক্কা খেতে পারে। একাকিত্বে ভুগতে পারে অনেকে। আরও মুখচোরা হয়ে উঠতে পারে আবার সামাজিক মেলামেশায় অস্বস্তিতে ভুগতে পারে কেউ কেউ। এগুলোর যে কোনও একটা শিশুকে গুরুতর অসুস্থ করে তুলতে পারে।