Coronavirus: কোভিডে মৃত্যু শূন্য কলকাতা, আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেল্টা প্লাস
- FB
- TW
- Linkdin
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের দাপট আগের থেকে কমলেও রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ফের বেড়েছে। এখনও মৃত্য়ু হচ্ছে বাংলার ৪ জেলায়। তবে আগের থেকে কমেছে এই সংখ্যাটা।
মৃত্যুর লিস্টে সেই ৪ জেলার শীর্ষে রয়েছে নদিয়া। যদিও মৃত্য়ুর অভিশাপ মুক্ত এখনও হতে পারেনি উত্তর ২৪ পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, কালিংপং। তবে এবার মৃত্যু শূন্য দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি , হুগলি, কলকাতা ।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৬ জন। এর মধ্যে নদিয়ায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, কালিংপং জেলায় ১ করে প্রাণ হারিয়েছেন। শহরে ভ্য়াকসিনের সংখ্য়া যত বাড়বে, ততোই আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমবে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ জন থেকে ৭৮ বেড়ে জন। এবং এখানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩১১,১৮৩ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৮১ জন।
এবারও রাজ্যের সব জেলার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক সংক্রমণ নিয়ে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা। তবে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ এর নীচে নেমেছে। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ জন। দার্জিলিং একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ জন।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৭০০ জন । যা আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ১০,১৬৩ জন।
তবে এই মুহূর্তে কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়েছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে হাসপাতাল গুলি। স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৪৬ জন। বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫, ০৭, ২৭৮ জন।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারী সুস্থতার হার পেরিয়ে ৯৭ শতাংশ হয়েছিল। তারপর দ্বিতীয় তরঙ্গে ফের পতন হয়। মার্চের পর থেকে। তবে এরপর অভিশপ্ত প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থতার হার একদিনে ৯৮.১৫ শতাংশ।
বাংলায় তিন জনের দেহে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের অস্বিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এমনটাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক মারফত জান গিয়েছে। এরপরই মুখ খুলেছে স্বাস্থ্য ভবন। রাজ্য হেলথ সার্ভিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাংলায় ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে বলে যা বলা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে।
সম্প্রতি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্লাস প্রজাতির মধ্যে রাখা হয়েছে এওয়াই ৩ (AY3) প্রজাতি। শিধু তাই নয় ডেল্টা প্লাস প্রজাতির মধ্যে প্রায়শই বিভিন্ন প্রজাতিকে রাখা হচ্ছে বা বাদ দেওয়া হচ্ছে।আরও বলা হয়েছে যে, ১৭ জুলাইয়ের করোনা রিপোর্টে বাংলায় এওয়াই ৩ (AY3) প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। রাজ্যের হিসেব অনুযায়ী একটি মাত্র প্রজাতির ডেল্টা প্রজাতি এওয়াই ৩ (AY3) প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে।