COVID 19: পুজোর বাজারে শিকেয় মাস্ক, শুধু কলকাতাতেই একদিনে আক্রান্ত ১১২
- FB
- TW
- Linkdin
মুখে মাস্ক না পড়লে পুজোর বাজারে কেনা-বেচা দুই নিষিদ্ধ। শহরে যে হকার বা দোকানদার মাস্কহীন ক্রেতাকে সামগ্রী বিক্রি করবেন , তাঁর বিরুদ্ধে অতিমারী আইনেই ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পুলিশ। একই নিয়মে সরকারি-বেসরকারি বাসেও। নিষেধাজ্ঞা জারি ঘোষণা করেছেন কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক তথা পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের দাপট আগের থেকে কমলেও ফের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল রাজ্যে। মৃত্যুর সংখ্যাও গত ২৪ ঘন্টায় বেড়েছে। কোভিডে এখনও মৃত্য়ু হচ্ছে বাংলার ৭ জেলায়।
মৃত্যুর লিস্টে সেই ৭ জেলার লিস্টে শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ । যদিও মৃত্য়ু শূন্য এখনও হতে পারেনি কলকাতা,দুই ২৪ পরগণা, হুগলি, কালিংপং, জলপাইগুড়ি ।
তবে এবার দার্জিলিং, দুই মেদিনীপুর , নদিয়া , দুই বর্ধমান , উত্তর দিনাজপুর জেলা মৃত্যু শূণ্য হয়েছে। শহরে ভ্য়াকসিনের সংখ্য়া যত বাড়বে, ততোই আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমবে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ জন। মুর্শিদাবাদে ২ জনের মৃত্য়ু হয়েছে।কলকাতা,দুই ২৪ পরগণা, হুগলি, কালিংপং, জলপাইগুড়ি জেলায় ১ প্রাণ হারিয়েছেন।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে ৮৯ জন থেকে বেড়ে ১১২ জন। এবং এখানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩১২,৪৯৯জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৯৯ জন।
এবারও রাজ্যের সব জেলার থেকে এবারেও সংক্রমণ নিয়ে শীর্ষে কলকাতা , দ্বিতীয় উত্তর ২৪ পরগণা। তবে উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ফের ১০০ ছুঁইছুঁই।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন। দার্জিলিং একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ জন।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৭০৩ জন । যা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ৯,১৪৩ জন।
তবে এই মুহূর্তে কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়েছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে হাসপাতাল গুলি। স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭১৯ জন। বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫, ১৮,৬৮৪ জন।
স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারী সুস্থতার হার পেরিয়ে ৯৭ শতাংশ হয়েছিল। তারপর দ্বিতীয় তরঙ্গে ফের পতন হয়। মার্চের পর থেকে। তবে এরপর অভিশপ্ত প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থতার হার একদিনে এখনও ৯৮.২২ শতাংশ।