দোল এলেই কন্ডোম-পিলের চাহিদা তুঙ্গে, কী বলছেন শহরের বিক্রেতারা
| Published : Mar 05 2020, 03:44 PM IST / Updated: Mar 05 2020, 03:49 PM IST
দোল এলেই কন্ডোম-পিলের চাহিদা তুঙ্গে, কী বলছেন শহরের বিক্রেতারা
Share this Photo Gallery
- FB
- TW
- Linkdin
17
যাদবপুর অঞ্চলেও বৃদ্ধি পেয়েছে কন্ডোম ও গর্ভনিরোধক পিলের বিক্রি। এই অঞ্চলের আশেপাশে রয়েছে বিশ্ববিদ্য়ালয় ও একাধিক কলেজ। এই অঞ্চলে একটা বড় অংশে বহিরাগত ছাত্র-ছাত্রীদের মেস ও হোস্টেলে ভর্তি। ওষুধ বিক্রেতার দাবি, কন্ডোম ও গর্ভনিরোধক পিলের বিক্রির বৃদ্ধিতে যে ক্রেতাদের দল রয়েছে তারা সবই অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে।
27
শিবপুরের স্থানীয় ওষুধ বিক্রেতার দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ফি বছরের মত এ বছরও তাদের কন্ডোম ও গর্ভনিরোধক পিলের সেল বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবছরই হোলির এই সময়টাতে ও হোলির এক-দুদিন আগে কন্ডোম ও গর্ভনিরোধক পিলের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। ওষুধ বিক্রেতার দাবি, এই সবের ক্রেতারা অধিকাংশ সময়েই অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েরা।
37
গড়িয়া স্টেশন জুড়েও রয়েছে একাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। এই অঞ্চলেও বহু ছাত্র-ছাত্রীর বসবাস। এর একটা বড় অংশই হল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্য়ানেজমেন্ট পড়ুয়া। স্থানীয় ওষুধ বিক্রেতার দাবি, হোলি এলেই ছেলেমেয়েরা ভীড় জমান দোকানে। এবং এদের বড় অংশই কন্ডোম ও গর্ভনিরোধক পিলের ক্রেতা।
47
সল্টলেকে রয়েছে একাধিক ব্লক। এবং বলতে গেলে এটি একটি বিশাল এলাকা। যার একদিকে রয়েছে চিংড়িঘাটা অপরদিকে রাজারহাট-নিউটাউনের মত এলাকা। হোলির সময়ে কন্ডোম ও গর্ভ নিরোধক পিলের বিক্রি বেড়ে যায়। ক্রেতাদের বড় অংশ তরুণ-তরুণীদের দল। যারা মূলত এই অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডিগ্রি কলেজের পড়ুয়া।
57
শিয়ালদহ অঞ্চলের ওষুধ বিক্রেতাদের দাবি, কন্ডোম ও গর্ভনিরোধক পিলের বিক্রি বাড়ছে। তবে সারা বছর যেভাবে বিক্রি হয়, হোলির সময় তাদের সেলস রেশিওকে এখনও টক্কর দিতে পারেনি এই বিক্রি। যদিও আশা হোলির এক-দুইদিন আগেই এই বিক্রি হুহু করে বাড়বে। কারণ এই অঞ্চলে থাকা কলেজ-বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলির আগামীকাল শুক্রবার থেকেই অঘোষিত ছুটি হয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার ছাত্র-ছাত্রীরা ব্য়াপকভাবেই দোল খেলবেন বলে তাদের আশা। এরপরই দিন দুয়েকের লম্বা ছুটি। সুতরাং উৎসবের উন্মাদনায় ঢাকের কাঠি পড়লেই কন্ডোম এবং গর্ভনিরোধক পিলের বৃদ্ধি বাড়বে।
67
বারাসাত সংলগ্ন এলাকায় একাধিক কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিউট। ওষুধ বিক্রেতার দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রতিবছরই হোলির এই সময়টাতে ও হোলির এক-দুদিন আগে কন্ডোম ও গর্ভনিরোধক পিলের বিক্রি তুঙ্গে থাকে। এবছরও এর বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে এই বিক্রি আদৌ চরম পর্যায়ে পৌছাবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরী হয়েছে।
77
দমদম অঞ্চলেও রয়েছে অসংখ্য় ছাত্র-ছাত্রীর বসবাস। ওষুধ বিক্রেতাদের পরিসংখ্য়ান বলছে, হোলির সময় তাদের এখানেও কন্ডোম ও গর্ভনিরোধক পিলের বিক্রি বেড়ে যায়। এবারও সেই পথেই এগোচ্ছে।