চড়তে হবে না ট্রেন, হুশ করে হারিয়ে যেতে ঘুরে আসুন কলকাতার এই ঠিকানায়
- FB
- TW
- Linkdin
একটু ইউরোপিয়ান কান্ট্রির স্বাদ নিতে গেলে সেরা পার্ক স্ট্রীট। এখানের রাস্তায় দুপাশে একের পর এক বিলাস বহুল রেস্তরা। গলা ভেজাতে বা মেইন কোর্স খেতে যার জুড়ি মেলা ভার। রয়েছে বিখ্যাত ফ্লুরিজ। যেথানে স্বয়ং সত্য়জিত রায় প্রায়শই যেতেন। রয়েছে এখানে বিখ্য়াত সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ। এবং সন্ধে হলেও সেজে ওঠে পুরো পার্ক স্ট্রিট।
রবীন্দ্র সরোবর বা ঢাকুরিয়া লেক দক্ষিণ কলকাতায় অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান। এটি টালিগ়ঞ্জ লেক নামেও পরিচিত। জানা গিয়েছে একটা সময় টালিগ়ঞ্জ এলাকাকে উঁচু করার জন্য মাটি কাটতে গিয়েই এই সুন্দর লেকটি গড়ে উঠেছে। এখানে ভোরে যান কিংবা সন্ধায়, মন ভরে যাবে। গোলপার্ক, লেকগার্ডেনস, টালিগ়্ঞ্জ স্টেশন যেকোনও দিক দিয়েই আপনি এখানে পৌছোতে পারবেন। দেখতে পাবেন রোয়িং করছে অনেকে। ভাগ্য ভাল থাকলে পানকৌড়ি থেকে বড় সাইজের বক পাখিও দেখতে পাবেন। উল্লেখ্য, এখানে কলকাতার সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু পুরস্কার প্রাপ্ত দূর্গা মুর্তি রাখা আছে। বহু ছবির শুটিং ও হয় এখানে। তবুও পাবেন নিস্তব্ধতা।
দুজনে মিলে হোক কিংবা অনেক বন্ধু মিলে, সবেতেই মানান সই জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি। সবই যে সে বইতে পারে।১৮ শতকে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা এই বাড়ি নির্মাণ করেন। ঠাকুর পরিবারের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি এখন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ভবনের এক অংশে করা হয়েছে যাদুঘর, যেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন ঠাকুরদের সেই প্রতাপশালী জীবন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই পরিবারের অনেকেই রেখেছেন অনন্য অবদান।
হাওড়া ব্রিজ অবশ্যই অন্যতম সুন্দর এবং কলকাতাকে পরিচয় দেওয়ার মত দর্শনীয় স্থান। ঠোঙা ভর্তি চিনা বাদাম এবং ধনে পাতার চাটনি খেতে খেতে হারিয়ে যেতেই পারেন নিয়নের মায়াবী আলোয়। নেশা ধরাবে গঙ্গার টাটকা হাওয়া।
কালীঘাটে পূজো দিতে যান কিংবা না যান, ভাল লাগবে জায়গাটায় গেলে। অসংখ্য ছোটো দোকান থেকে চা খেয়ে বলতেই পারেন ঘুরতে আসা সার্থক হল। 'এখানে এলাম, আর মায়ের মুখ দেখব না, তাই কখনও হয়'। ভাগ্য প্রসন্ন হলে পুজো দিতে পারেন। তবে এখন একটু করোনা বিধি রয়েছে।
আপনার যদি ঘ্রাণ শক্তি গাঢ় হয়, তাহলে নিউটাউনে নোনতা হাওয়ার সঙ্গে উপরি পাওনাও পাবেন। মন খুলে সাইকেলিং করুন। সারাদিন পার্কের ভিতরেই বিদেশের ছোওয়া নিন। তবে মন ভাল হয়ে যাবে বাটার ফ্লাই গার্ডেন কিংবা রেইন ফরেস্টে ঢুকলে। এবং রাত হওয়ার আগে নৌকায় ভিতরের দ্বীপে ঘুরে আসুন। খেয়ে দেয়ে ফিরুন বাড়ি।
গঙ্গার ধারে প্রিন্সেপ ঘাটে বহু ছবির শুটিং হয়েছে। হাল ফ্যাশানে এখন প্রি ওয়েডিং এর শুটিংও হয়। এখানে হালকা ভীড় থাকলেও খেয়াল হবে না কেউ পাশে আছে কি না। কারণ এখানে সবাই নিজেদেরকে নিয়েই মেতে থাকে। গঙ্গার পাড়ে রয়েছে, সাজানো নৌকা, প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গঙ্গা-ভ্রমনটা করতেই পারেন। মৌসুমি বায়ু যদি সদয় হয় পেয়েই যেতে পারেন বৃষ্টি। যা বলতে চেয়েও বলা হয়নি বহুদিন, সেটাই হয়তো বলে ফেলার সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন।