- Home
- West Bengal
- Kolkata
- কোভিড আক্রান্তের ফ্ল্য়াটে ঝুলল তালা, বিপাকে পরিবার, রইল করোনা ক্রাইমের সাতকাহন
কোভিড আক্রান্তের ফ্ল্য়াটে ঝুলল তালা, বিপাকে পরিবার, রইল করোনা ক্রাইমের সাতকাহন
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিনের চেনা মানুষ গুলি অনেক সময়ই অচেনা হয়ে উঠছে। চেনা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলত অনেকেই, আজ সেখানে একাধিক অভিযোগ উঠে আসছে। করোনার থেকেও কুসংষ্কার, অমানবিকতা প্রকট হয়ে উঠছে। একেক ক্ষেত্রে প্রাণ হানীর মতো নৃশংস অপরাধের ঘটনাও ঘটছে এই চেনা পুরোনো শহর কলকাতায়। এর মধ্যে কেষ্টপুরের একটি আবাসনেও ঘটেছে মর্মান্তিক ঘটনা। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায়, একটি পরিবারকে তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। পরিবারের কর্তা কথা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পর্যন্ত। এরই পাশপাশি আরও অনেকগুলি করোনার নৃশংস ঘটনা ফিরে দেখা যাক।
| Published : Sep 04 2020, 02:16 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
কেষ্টপুরের একটি আবাসনেও ঘটেছে মর্মান্তিক ঘটনা। কেষ্টপুরের আবাসনে কোভিড পজিটিভের ফ্ল্যাটে তালা লাগল অন্য আবাসীকেরা। ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের দাবি, রাতের অন্ধকারে ফ্ল্যাটের গেটে তালা মেরে যায় কেউ। পরিবারের কর্তা কথা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পর্যন্ত। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। আবাসিকদের বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অবশ্য পুলিস কাউকে গ্রেফতার করেনি। জানা গিয়েছে, একই পরিবারের দুজন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাঁদের মধ্যে একজন হাসপাতালে ভর্তি। আর তাই একই আবাসনের বাসিন্দারা তাঁদের সঙ্গে এমন আচরণ করলেন।
প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সেবা করার পর মিলল হুমকি। ফের অমানবিকতার চূড়ান্ত দৃশ্য দেখল কলকাতা। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা করার পর আবারও কলকাতার এক নার্স চরম হেনস্থার শিকার হলেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মুক্ত হওয়ার পর 'এলাকা ছাড়ো নয়তো চাকরি'-র হুমকি পেলেন পাড়া প্রতিবেশিদের থেকেই। অসহায় অবস্থায় শেষে বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার।
করোনা নিয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে মে মাসে ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতরা কলকাতার বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা,নাম নবীন পোদ্দার ও পার্থ শর্মা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানোর পরই তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়৷ এরপরই ওই দুই জনকে গ্রেফতার করে বটতলা থানার পুলিশ৷
উল্লেখ্য়, এর আগেও বেলেঘাটা আইডি-র এক চিকিৎসক কে নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল একজনকে। করোনা আক্রান্ত না হওয়ার সত্বেও করোনা যোদ্ধাকে নিয়ে বানিয়ে মন ভরা সংক্রমণের আবেগ প্রবণ গল্প লিখেছিল কলকাতারই এক যুবতি। এদিকে ওই চিকিৎসকের তখন কোনও করেনা হয়নি। খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই ওই যুবতিকে গ্রেফতার করা হয়।
ম্প্রতি আরও এক এসেছিল খাস কলকতার বুকেও। ভাড়াটিয়া স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যুক্ত। হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল অক্সিজেন সরবরাহ করাই তাঁর কাজ। তাই করোনা আতঙ্কে এতটাই কেঁপে উঠলেন বাড়িওয়ালা, যে সেই আশঙ্কাতেই ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে দিয়েছিলেন তাড়িয়ে। ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ শহরতলীর নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়।
অগাস্টের শুরুতেই কেষ্টপুরের করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধার মৃত্যুর পর দেহ ১৫ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে ছিল। তবে শুধু কেষ্টপুর নয় বেহালার সাহা পুরেও একই ঘটনা ঘটেছিল। বাদ যায়নি আমহার্স্ট স্ট্রিটও।
মৃত্যুর পরেও চড়া বিলের লোভে করোনা দেহ ভেন্টিলেশনে রেখে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি পার্কসার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। পুরো টাকা না পাওয়ার জন্য মুমুর্ষ করোনা রোগীকে ভর্তি নেয় না দিশান হাসপাতাল। পরে রোগীটি হাসাপাতালের সামনেই চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান। এর পরেই মামলা করা হয় দিশানের বিরুদ্ধে। একাধিকবার বিভিন্ন কারণে কাঠগড়ায় ওঠে কলকাতা মেডিক্য়ালও।