সোমবার থেকে বন্ধ গড়িয়া স্টেশন বাজার, রাজপুর-সোনারপুরে চলছে পুলিশের নাকা চেকিং
- FB
- TW
- Linkdin
সোমবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল গড়িয়া স্টেশন বাজার এলাকা। সকাল থেকেই টহল দিচ্ছে কর্তব্য়রত পুলিশ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল পুলিশ প্রশাসন। লকডাউনকে সফল করতে একাধিক এলাকা সিল করে দেওয়া হল।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে দেওয়া বাড়তি নজরদারি। এলাকায় কোনও বিনা প্রয়োজনে লোক ঘোরাঘুরি করলেই পুলিশের তরফে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটায় পঞ্চসায়রের শহীদ স্মৃতি কলোনি এলাকা সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বন্ধ করে দেওয়া হল ওই এলাকায় ঢোকার ৪টি রাস্তা। বসানো হয়েছে বাঁশের গেট। মোড়ে মোড়ে চলছে নরেন্দ্রপুর থানার পক্ষ থেকে চলছে পুলিশের নাকা চেকিং।
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বেরোতে বা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না এলাকায়। কারণ অনেকেই নানা ছুতোয় জরুরী পরিষেবার নাম করে আড্ডা দিতে বা বিনা দরকারেই বেরোচ্ছেন বলে অভিযোগ। তাই এবার পুলিশ প্রশাসন আরও অনেক বেশি সতর্ক।
প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন, ওই কলোনিতে অনেক মানুষ ঘনসন্নিবিষ্টভাবে বসবাস করেন। তাতে অন্য বাসিন্দাদেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই ওই এলাকার বাসিন্দাদের বাইরে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। হটস্পট এলাকায় সশস্ত্র পুলিশ নামিয়ে কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে।
সেই নির্দেশের এক দিনের মধ্যেই কলকাতায় নামে সশস্ত্র কমব্যাট ফোর্স। কলকাতায় লকডাউন মানতে আরও কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা ট্যুইট করে জানিয়েছেন, করোনা রুখতে লকডাউনই একমাত্র পথ। তাই লক ডাউন মানতেই হবে। নতুবা কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
১০৯ ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই শহীদ স্মৃতি কলোনি এলাকা সম্পূর্ণভাবে সিল করা হয়েছে। সেখানে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পঞ্চশায়র থানার পুলিশ।
বন্ধ থাকবে মাছ ও সব্জির দোকান। তবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬ অবধি খোলা থাকবে ওষুধ ও মুদিখানার দোকান।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার এলাকাগুলি কলকাতা পুর-সংলগ্ন হওয়ায় এখানে বাড়তি নজরদারি চালানো হবে।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১, ৪, ৬, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৪ এই ওয়ার্ডগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। রাস্তায় বেরিয়ে যথাযথ কারণ না বলতে পারলে পুলিশের তরফে নেওয়া হতে পারে কঠোরতম পদক্ষেপ ।