কলকাতার সেরা ৭ খাবার, না খেলে নষ্ট জীবন
- FB
- TW
- Linkdin
কলকাতায় এই ঢাকাই রেস্তোরাঁর খাবারের স্বাদ অতুলনীয়। এদের অন্যতম সুস্বাদু পদ কচুপাতা চিংড়ি। সরষের তেলে কচুপাতা নেড়ে এই রান্না এক প্রকার অতুলনীয়। কলকাতায় এলে কস্তুরীর এই চিংড়ি মাছ অনেকেই চেখে যান।
হালফিলের মিষ্টির দোকানে রকমারি স্বাদ থাকলেও মিঠাই-এর মিষ্টি দই অদ্বিতীয়। নীচে নরম দইয়ের ওপর পুরু মাখনের মতো প্রলেপ। যা মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়। তার ওপর মিষ্টি হলেও মুখ মেরে দেয় না এই দই। তাই সুযোগ পেলেই বাঙালির পাতে রসনার সাথে থাকে এই পদ।
কফি হাউস- কলকাতার কলেজ স্ট্রিট মোড়ে এই কফি হাইস অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। তাই বরিস্তা, সিসিডি-র মতো কফি পাওয়া না গেলেও এখানকার ব্ল্যাক কফি আর পকোরা এখনও 'কলেজ গোয়ারস'দের অন্যতম প্রিয় খাবার। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে মনে পড়তে পারে পুরোনো দিনের ইতিহাস।
স্পঞ্জি রসোগোল্লা- ১৯০৭ সালে হিরালাল ঘোষের তত্বাবধানে শুরু চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের। তাদের স্পঞ্জি রসোগোল্লা এখন জগৎ বিখ্য়াত। তুলতুলে রসোগোল্লায় রস চিপলেও ফুলে ওঠে নিমেষেই। এমনি রসোগোল্লার পাশাপাশি ওজনেও হাল্কা অনেকটাই। তাই 'মধ্য়প্রদেশে' সহজপাচ্য। কলকাতায় এই রসোগোল্লার জুড়ি মেলা ভার।
কেক পেস্ট্রির পাশাপাশি ক্লাব স্যান্ডিউইচে বিখ্যাত কলকাতা। ফ্লুরিসে কফি, চা-এর সঙ্গে পেতে পারেন এই পদ। সঙ্গে ফ্রায়েড চিপস ও সস। ভেজ, নন ভেজ সব ধরনের ক্লাব স্যান্ডুউচ পাওয়া যাবে ফ্ুলুরিসে। সকালের ব্রেকফাস্ট বা সন্ধের খাবারের জন্য় ঢু মারতেই পারেন এই আউটলেটে।
এমনিতে অন্যান্য় বিরিয়ানির স্বাদ পয়েছেন অনেকেই। কিন্তু রয়ালের বিরিয়ানি সবার থেকে আলাদা। বলা ভালো, স্বাদ এখানে ঐতিহ্যের। তাই কলকাতায় বহু বিরিয়ানির দোকান খুললেও চিৎপুরে রয়ালের বিরিয়ানি মানেই অতুলনীয়।
গোল বাড়ির কষা মাংস- শ্যাম বাজার পাঁচ মাথার মোড়ে এই মাংস খেতে ভিড় জমান খাদ্য় রসিকরা। পরোটার সঙ্গে পাঠার মাংস সঙ্গে পাতে স্যালাড-আর কী চাই। দোকানে ঢোকার মুখ তত বড় না হলেও হেঁশেলের পদ তৃপ্তি দেয় ভোজন রসিকদের। মশলা বেশি হলেও পেটের কাছে আপদ-বিপদ নয় সম্পদ বলেই পরিচিত গোল বাড়ির মাংস।