মহাঅষ্টমীতে সেজে উঠেছে মহানগর, কলকাতার সেরা পুজো দেখতে নামল দর্শনার্থীর ঢল
মহাঅষ্টমীতেও করোনার সংক্রমণ অব্যহত কলকাতা সহ রাজ্যে। কোর্টে নির্দেশের পরে করোনা নিয়ে বেশ সতর্ক বাংলা। তবে তাঁর শাড়ি পড়ে ছবি তোলা আর বাদ যাবে কেন। আর বছরে এই দিন বিশেষ করে পাঞ্জাবী পরে অঞ্জলি দেওয়ার সুযোগ আসে বাঙালির। তাই করোনা আবহে ডিজিট্য়ালেই বেশি মেতেছে বাঙালি। তবে বিকেল গড়াতেই শনিবারে শহরের রাস্তায় নামল ভক্তের দল। ঠাকুর দর্শন চাক্ষুস না হলেও বাইরে বেরোতে পেরেই খুশি বাঙালি।
- FB
- TW
- Linkdin
বাগাবাজারে এই প্রথম এমন নজির বিহীন সিদ্ধান্ত। দর্শক অনলাইনেই মূলত দর্শন করছে। তবে কোভিড বিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে।
বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এ বছরে ফুল ছাড়া ছাড়া হাইকোর্টের রায়কে প্রাধান্য দিয়ে পালন করল মহাসপ্তমী মহাষ্টমী ও পুষ্পাঞ্জলীর মত ধর্মীয় রীতি। এরই পাশাপাশি দেখা গেল আর এক চিত্র বাগবাজার পূজা প্যান্ডেল স্যানিটাইজ করা হচ্ছে
হাতিবাগান এলাকায় পুরোনো কলকাতার বাড়ির ব্য়ালকোনি থেকে বাইরে চোখ রাখছে ভক্তেরা। স্থানীয়দের থেকে বেশী আসছে দূর থেকেই দর্শনার্থীরা। লোকাল ট্রেন না থাকলেও নেই কোনও চাপ।
কোর্টের রায় মেনেই বসানো হয়েছে নো এন্ট্রি বোর্ড। তেবে দূর থেকে হলে উমা মাকে দেখে সন্তুষ্ট ভক্তের দল।
করোনা আতঙ্কের মধ্যে বাঙালির সর্বকালের সেরা উৎসব দূর্গা পূজা চলছে। শনিবার মহাঅষ্টমীতে করোনা থেকে বাঁচবার জন্য চলছে দেবী আরাধনা। অঞ্জলি দিতে গিয়ে যাতে ভিড় তৈরি না হয়, তাই সংক্রমণ থেকে সরে ভার্চুয়ালি অঞ্জলি হল জোকা ডায়মন্ড পার্কের দূর্গা পূজাতে। মায়ের পূজার ছবি অনলাইনে চলে যাচ্ছে আবাসনের আবাসিকদের ফোনে। বাড়িতে বসে ফোনের মধ্যে মা দুর্গার আরাধনার ভিডিও দেখে চলছে অঞ্জলি।
কোর্টে নির্দেশের পরে করোনা নিয়ে বেশ সতর্ক বাংলা। তবে তাঁর শাড়ি পড়ে ছবি তোলা আর বাদ যাবে কেন। আর বছরে এই দিন বিশেষ করে পাঞ্জাবী পরে অঞ্জলি দেওয়ার সুযোগ আসে বাঙালির। তাই করোনা আবহে ডিজিট্য়ালেই বেশি মেতেছে বাঙালি।
মহাঅষ্টমীতেও করোনার সংক্রমণ অব্যহত কলকাতা সহ রাজ্যে। প্রতি ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্য়ায় বাকিদের পিছনে ফেলছে ফের কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা। তবে আশঙ্কার বিষয় এটাই যে, যেখানে সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিদিন এই ২ শহরে ৬০০ এর মধ্য়ে আক্রান্তের সংখ্যা ওঠা নামা করত,অক্টোবারের শেষে সেই সংখ্যাটা এবার ৯০০ ছুঁইছুঁই। তাই মাস্ক পরতে ভোলেনি এই দুই ভক্তও।
ভেতরে ঢোকার সেভাবে অনুমতি না থাকলে বাইরেই সাধ মিটিয়ে নিচ্ছে দর্শনার্থীরা। সেলফি-ছবি মনের মতো করে গ্রিলের মাঝ থেকে ব্য়াকগ্রাউন্ডে প্য়ান্ডেল আায় ব্য়াস্ত টিনএজাররা।