- Home
- West Bengal
- Kolkata
- দুপুর পেরোতেই আকাশ ঢাকল কালো মেঘে, ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে তেড়েফুঁড়ে বৃষ্টি কলকাতা-সহ রাজ্যে
দুপুর পেরোতেই আকাশ ঢাকল কালো মেঘে, ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে তেড়েফুঁড়ে বৃষ্টি কলকাতা-সহ রাজ্যে
ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে আর ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই কলকাতা-সহ রাজ্য়ের ১২ জেলায় তেড়ে-ফুঁড়ে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। আগাম সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্য়েই চারিদিক অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে।আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মুষলধারা বৃষ্টি শুরু হবে শহর কলকাতায় এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। দক্ষিণবঙ্গেও এদিন প্রবল বর্ষণের সম্ভবনা রয়েছে। চলুন ছবি-র সঙ্গে এবার দেখে নেওয়া যাক।
- FB
- TW
- Linkdin
ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে আর ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই রাজ্য়ের ১২ জেলায় তেড়ে-ফুঁড়ে বৃষ্টি। মৎসজীবীদের সমুদ্র থেকে ফেরার নির্দেশ। সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।একইভাবে দীঘা,মন্দারমণী সমুদ্রতটে যেতে পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ইতিমধ্য়েই চারিদিক অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে।আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মুষলধারা বৃষ্টি শুরু হবে শহর কলকাতায় এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। দক্ষিণবঙ্গেও এদিন প্রবল বর্ষণের সম্ভবনা রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই অন্দ্রপ্রদেশের কাঁকিনাড়া উপকূলে ছুঁতে চলেছে অশনি। পূর্বাভাস মিলিয়েই অন্ধ্র উপকূলে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।
যদিও আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছে, দ্রুত গতিতে শক্তি সঞ্চয় করে অশনি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। যার অর্থ এটি এগিয়ে আসতে পারে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের দিকে। তবে শনিবার হাওয়া অফিস জানিয়েছিল ঘূর্ণিঝড়টির ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সোমবার থেকেই ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে এখন গতি পরিবর্তন করতে শুরু করেছে নিম্মচাপটি। তবে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে হচ্ছে প্রবল বর্ষণ ওই এলকায়।
অশনির জেরে রাজ্যের দীঘা-মন্দারমনি সমুদ্রের তট ঘিরে রাখা হয়েছে। স্নানতো দূর হস্ত, পাড়েও পারলে আসছেন না, পর্যটকরা নিজেই। সতর্কবার্তা কাজ করার পাশাপাশি অনেকের মনেই অহেতুক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চিন্তা করতে বারণ করছে রাজ্য , কারণ এবার গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক বেশিই সতর্ক রাজ্য সরকার।
আইএমডি-র ডিজি বলেছেন, 'সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়। অর্থাৎ মার্চ এপ্রিল মে। আরেকটা বর্ষার পর অর্থাৎ অক্টোবার, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে মাসে এবং নভেম্বরের মধ্য়ে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা গোটা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত নজর রাখছি।'
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতির সম্ভাবনা আগেই তৈরি হয়েছে। তীব্র দাবদাহের মধ্য়েই ঝড়-বৃষ্টি হওয়াতে স্বস্তি সারা বাংলায়। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
প্রতিবার বর্ষায় বা অকাল বর্ষণে সবার আগে শহর কলকাতার মধ্যে করুণ অবস্থা হয় বেহালার। জল জমে সমস্যার মধ্যে পড়ে বেহালাবাসী। তবে এবার অনেক আগে থেকেই কলকাতা পুরসভার জল নিকাশি থেকে জল সরবারহ সব বিভাগগুলি নিয়েই খেয়াল রাখা হচ্ছে মেয়র পারিষদের তরফে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে একটা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমফানের সময়ে কলকাতায় ৩ দিনের উপরে কারেন্ট ছিল না। চাপের মধ্যে পড়তে হয়েছিল সিইএসসি-কে। তবে অতীতের শিক্ষা নিয়ে আগের থেকে অনেক বেশি প্রস্তুত রাজ্যে বিদ্যুৎ দফতর। শুক্রবার অবধি শহরের ত্রিফলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকছে। কারণ ইতিমধ্যেই শহরে জল জমতে শুরু করেছে।