- Home
- West Bengal
- Kolkata
- কত টাকা মাইনে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জানুন সেকথা
কত টাকা মাইনে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জানুন সেকথা
সাংসদ, বিধায়ক এবং মুখ্যমন্ত্রী। জনপ্রতিনিধি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু, তিনি নিজের বেতন নেননি। দীর্ঘদিন সাংসদ পদে ছিলেন। এখনও তিনি সেখান থেকে পেনশন পান। কিন্তু, তিনি তাঁর প্রাপ্যর টাকা নেননি। তাঁর বেতনের টাকা তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন সমাজকল্যাণের লক্ষ্যে। সম্প্রতি, চলতি বছরের মার্চ মাসেও সেকথা ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন। রাজ্যের সব সরকারি কর্মীদের বেতন বেড়েছে। আগের তুলনায় বেড়েছে মুখ্যমন্ত্রীরও বেতন। কিন্তু সেই টাকা নিজে না নিয়ে সামাজিক কাজে ব্যবহার করেছেন মিডিয়া রিপোর্টেও তা প্রকাশিত।
- FB
- TW
- Linkdin
জুলাই, ২০১৯। মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিধায়ক। সকলের মাসিক বেতন বৃদ্ধি করেছিল রাজ্য সরকার। জন প্রতিনিধিদের ডিএ বাবদ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছিল। অন্যান্যদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বেতন বৃদ্ধি হয়। কিন্তু তিনি প্রাপ্য বেতন আজও অবদি গ্রহণ করেননি।
করোনা আবহে মার্চের ৩১ তারিখ একটি ট্যুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, বিধায়ক ও মুখ্যমন্ত্রী পদে আছেন। কিন্তু আজও তিনি তাঁর বেতন হাতে নেননি। নিজের সব টাকা সমাজকল্য়াণে ব্যবহার করেছেন।
ট্যুইটে তিনি আরও লিখেছিলেন, বেশ কয়েকবার সাংসদ হয়েছিলেন। সেকারণে আজও তিনি পেনশন পান। সাংসদ থেকেও পেনশন তোলেননি। তিনি জানিয়েছিলেন আমি খুব ছোট জায়গা থেকে এসেছি।
দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাংসদ পদ সামলেছেন। ছিলেন রেলমন্ত্রীও। পরবর্তীকালে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। মাসিক বেতন গ্রহণ না করলে তাঁর আয়ের উৎস কী?
বেতন গ্রহণ না করলেও তিনি আয়ের উৎস জনসমক্ষে খোলসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইট করে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, আমার আয়ের উৎস সৃজনশীল ধারনা। আমার সঙ্গীত ও বই থেকে আসা টাকাই হল আয়ের উৎস।
বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর মাসিক বেতন কত জানেন ? অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সহ মাসিক বেতন ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। রাজ্যের অন্য়ান্য জনপ্রতিনিধি বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে তাঁরও বেতন বৃদ্ধই হয়েছে। কিন্তু, আজও তিনি তাঁর প্রাপ্য বেতন গ্রহণ করেননি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে বেতন নেন না, তা প্রকাশিত হয়েছে নানান মিডিয়া রিপোর্টে। ২০১১ সালে বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১২-র Financial Express-এর প্রতিবেদনে তা প্রকাশ হয়েছিল।
ওই দৈনিক ইংরেজি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার একবছর পরও আজ তিনি তাঁর মাসিক বেতন গ্রহণ করেননি। মুখ্যমন্ত্রীর বেসিক বেতন ছিল ৮ হাজার টাকা। অন্যান্য সুবিধা সহ আরও ৪০ হাজার টাকা যুক্ত হয়।
২০১৯-এর মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মুখ্য়মন্ত্রীর মাসিক বেতন বৃদ্ধি পেয়ে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১ টাকা। তাঁর মূল পারিশ্রমিক বেড়ে ২৭ হাজার ১টাকা। প্রতি মাসে ডিএ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়ে ৯০ হাজার টাকায়।
শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর বিদ্যামান বেতনের পুরনো ডিএ ৬০ হাজার টাকা সহ মোট ৮৭ হাজার টাকা। রাজ্য সরকার সকল জনপ্রতিনিধিদের ডিএ বাবদ দৈনিক হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
সম্প্রতি, করোনা আবহে মধ্য়েও বেতন ছাড়া তাঁর নিজস্ব আয়ের কিছু অংশ ৫ লক্ষ টাকা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের আপদকালীন ত্রাণ তহবিলেও ৫ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
১৯৮৪ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৯ সালে ওই কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে পুনরায় সাংসদ নির্বাচিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
১৯৯৭ সালে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০০৯ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে রেলমন্ত্রী হন মমতা।
দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম জামানার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে পালা বদল ঘটিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর-নন্দিগ্রাম আন্দোলনকে হাতিয়ার করে বসেছিলেন বাংলার মসনদে।
২০১১ সালের ২০ মে। প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বাংলায় দ্বিতীয়বার সরকার গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, আজও পর্যন্ত তিনি তাঁর মাসিক বেতন গ্রহণ করেননি। এখনও পর্যন্ত অফিসিয়াল গাড়িও ব্যবহার করেনি।