বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, মেনে চলুন জীবনে সুখী হওয়ার ১০ টোটকা
| Published : Feb 12 2020, 01:35 PM IST
বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, মেনে চলুন জীবনে সুখী হওয়ার ১০ টোটকা
Share this Photo Gallery
- FB
- TW
- Linkdin
19
নিজের সুখ নিজেই খুঁজুন। আপনি কী সে সুখি হবেন, এর উত্তর রয়েছে একমাত্র আপনার কাছে। তাই টাকা ও শপিং-এর মত খনিকের শান্তির বাইরে সুখের বিশ্বে একবার ঘুরে যান। অপরকে একটু আধটু সাহায্য করলে যে অপার সুখ মেলে তা বিশ্বের কোনও চেক বই বা ক্রেডিট কার্ড আপনাকে দিতে পারবেন না। তাই আপনি কি সে প্রথমে সেই উত্তরটা আপনি নিজে খুঁজুন। সেই মত নিজেকে কিছুটা সময় দিন।
29
বন্ধু ও বন্ধুত্বকে সম্মান করুন। একজন ভালো বন্ধু জীবনে খুব গুরুতিবপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ধর্মীয় বা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে মানুষ হিসেবে ভালোবাসুন বন্ধুত্ব-কে। শ্রদ্ধাবান হোন বন্ধুত্বের প্রতি। বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো কিছুটা সময় আপনার জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত উপহার দেবে যেই সুখ কোনও রেস্তোরাঁর মেনু কার্ডে নেই। এমনকি ঘন্টার পর ঘন্টা নেট সার্ফ করেও পাবেন না।
39
জীবনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিন। জীবনে চলার পথে অনেক সময়েই নানা ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়ে। এই সময়গুলি ভেঙ্গে না পড়ে নিজেকে বুঝান। ব্যর্থতা মানে আপনি সাফল্যের একটি পর্যায় অতিক্রম করলেন। সাফল্যের দিকে আরও এক ঘর এগিয়ে গেলেন। ব্যর্থতা মানেই আপনার সাফল্যের শেষ নয় বরং ব্যর্থতা সাফল্যেরই আরেক ধাপ। কারণ জীবনের এই খারাপ সময়গুলোই আপনাকে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবাণ শিক্ষাগুলি দেয় যা পৃথিবীর কোনও বই আপনাকে সেই শিক্ষা দিতে পারবে না।
49
সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করুন। জীবনে যে কোনও সমস্যা যে কোনও বাধার মুখোমুখি হতে শিখুন। সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না। একটি কথা সব সময় মনে রাখবেন, যেমন জীবন আছে তার মৃত্যুও আছে, তেমনই সমস্যা যখন আছে তার সমাধানও আছে। তাই হাসিমুখে যে কোনও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। মাথা গরম করে, অশান্তি করে সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। তা আরও আপনার জীবনে সমস্যা বাড়িয়ে তুলবে।
59
প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন, প্রযুক্তি যেন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ না করে। দলাই লামার মতে, তাঁর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ৮ মিলিয়নের মত ফলোয়ার রয়েছে। তাঁর বানী প্রচুর লোক রিটুইট করেন। তবে তার মধ্যে খুব কম সংখ্যক লোক আছে যারা নিজেদের জীবনে সেই বানীগুলি পালন করেন। তাই শেয়ার বা ফলো করলে আখেরে আপনার কোনও লাভ নেই, তাতে লাভ সংস্থাগুলির। যদি আপনি সেই বানীগুলিকে কাজে লাগাতে পারেন, আপনার লাভ হবে সেখানেই।
69
অপরের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকুন। অন্যের দোষ বা ভুল সামনে এনে সেই ব্যক্তির ক্ষতি করার চেষ্টা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। নিজে জীবনে সুখী হতে গেলে নিজের কাজকে ভালোবাসুন। সব সময় চেষ্টা করুন যেন আপনার কাজের জন্য অপরের কোনও ক্ষতি না হয়। আপনার কোনও কথা যেন অপরের কষ্টের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। জীবনে সুখী রাখার জন্য এই বিষয়টি সব সময় মনে রাখতে হবে। তবে নানা সমস্যা আপনি নিজেই সহজে সামলে উঠতে পারবেন।
79
নিশ্চিন্তে ঘুমনোর চেষ্টা করুন। নিশ্চিন্তে ঘুম জীবনের সবচেয়ে বেশি সহজ কাজ মনে হলেও, আসলে তা নয়। এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা রাতের পর রাত নানান চিন্তা ভাবনার ফলে ঘুমোতে পারেন না। সুখী হওয়ার জন্য নিশ্চিন্তে ঘুমনোটা অত্যন্ত জরুরী। তাই প্রতিদিন কম করে ৮ ঘন্টা ঘুমনোর চেষ্টা করুন।
89
প্রতিদিন পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করার জন্য ধ্যানের প্রয়োজন। আপনি যদি নিজের কাজে নিজে সন্তুষ্ট হোন তবে আপনি মানসিক দিক থেকে শান্তিতে থাকবেন। তাই মানসিক শান্তি পেতে মন দিয়ে যেমন কাজ করাটা প্রয়োজন, তেমনই মনোযোগ দিয়ে কাজ করার জন্য ধ্যানের প্রয়োজন। তাই যত দ্রুত এই নিয়ম পালন করতে পারবেন তত আপনি মানসিক দিক থেকে শান্তি পাবেন।
99
জীবনে সুখী হতে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান বেশি করে। নানা গবেষণায় উঠে এসেছে এই বিষয়গুলি। জীবনে সুখী হওয়ার জন্য সময়ের সম্পর্কে ধারণা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই যতটা সময় পাবেন পরিবারকে সময় দিন ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।