সামান্য ঘটনাতেই টেনশন করেন নাকি, অজান্তেই বাঁধাচ্ছেন গুরুতর রোগ
- FB
- TW
- Linkdin
এক একজন মানুষের কাছে টেনশন বা স্ট্রেসের কারণ ভিন্ন হয়। উদ্বেগের সংজ্ঞাও ভিন্ন মানুষের কাছে ভিন্ন রকম। আর তা সামলানোর ক্ষমতাও একএকজন মানুষের ক্ষেত্রে এক একরকমের হয়।
ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় মানসিক উদ্বেগ। কারণ শারীরিক অসুস্থতাকে ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা বা তা নিরাময় করা সম্ভব। কিন্তু মানসিক অসুস্থতাকে ঠিক করা বেশ শক্ত কাজ।
হজমের সমস্যা : অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে হজমের সমস্যা হয় নিশ্চিতভাবেই। পেটে ব্যথা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়ার মতো রোগ হতে পারে শুধুমাত্র দুশ্চিন্তার কারণেই।
ভয় : মাত্রাতিরিক্ত উদ্বেগের ফলে মনে ভয়ের জন্ম হয় যা অবশ্যই একধরনের মানসিক বিকার। অত্যধিক চিন্তা বা স্ট্রেসের ফলে মনে ভয়ের জন্ম হয়।
ঘুম নষ্ট করে : মনে দুশ্চিন্তা থাকলে ঘুম ভালো করে হয় না। শরীর ঠিক রাখতে প্রত্যেক দিন অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা নিশ্চিন্ত ঘুম প্রয়োজন যা এর ফলে নষ্ট হয় ও নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি করে।
হৃদপিণ্ডকে দুর্বল করে : অতিরিক্ত উদ্বেগের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে আমাদের হৃদপিণ্ডে। স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের মুখ্য কারণও এটি। দুশ্চিন্তার ফলে স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত কর্টিসোলের মাত্রা শরীরে বেড়ে যায় যা হৃদপিণ্ডকে আঘাত করে।
ক্রনিক রোগ : বাড়িয়ে তোলে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের মতো ক্রনিক রোগের মধ্যে দুশ্চিন্তা করে গেলে ফল হয় মারাত্মক।
মাংসপেশীতে টান: বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তার ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গার মাংসপেশীতে টান ধরে। এছাড়া ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা এবং চোয়ালে ব্যথা হতে পারে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, মধ্যবয়সীদের থেকে তরুণ প্রজন্ম অনেকটা একা আবার বয়স্কদের তুলনায় মধ্যবয়সীরা একাকীত্বে ভুগছেন। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা অনেক বেশি মানসিক অবসাদের শিকার। এই অবসাদ থেকেও তৈরি হয় মানসিক দুশ্চিন্তা
বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে তো হবে অবশ্যই কিন্তু মানসিক দূরত্বটা যেন ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দূরত্ব মানেই তার থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলা তা কিন্তু নয়। পাশের মানুষটির মনের হদিশ অবশ্যই রাখতে হবে।