খুসকির সমস্যায় জর্জরিত, কার্যকরী ঘরোয়া সমাধান মাত্র ৭ দিনেই পাবেন মুক্তি
চুলের স্বাস্থ্যহানির জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী খুসকি। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব এর প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। শীতকালে কমবেশি সকলকেই এই সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়। প্রতিদিনের ডায়েটে ভিটামিন বি ও জিঙ্ক উপাদান কম থাকলেও খুসকির সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের নানা সমস্যা থাকলে পাশাপাশি মাথার ত্বক অপরিষ্কার থাকলে খুসকির সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মত অতিরিক্ত দূষণের ফলেও খুসকির সমস্যা দেখা দেয়। খুসকির সমস্যা মানে তার থেকে চুল পড়া, এ্যালার্জির মত জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান করুন।
- FB
- TW
- Linkdin
নারকেল তেল আর পাতিলেবুর মিশ্রন- নারকেল তেল চুলের জন্য কতটা উপকারি এই কথা আর আলাদা করে বলার জায়গা রাখে না। নারকেল তেল চুলের সার্বিক পুষ্টি জোগায় আর পাতিলেবুর রস খুসকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
প্রথমে ২টেবিল চামচ নারকেল তেল গরম করে তার মধ্যে ২টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর চুলের গোড়ায় ভাল করে ম্যাসাজ করুন। ১ ঘন্টা পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
আমলকি- চুলের সার্বিক যত্ন নিতে আমলকি খান। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। যা আপনার চুল এবং ত্বক দুই ভালো রাখে।
নিমপাতা- খুশকির সমস্যা দূর করার অনবদ্য উপাদান হল নিমপাতা। প্রথমেই আপনাকে নিমপাতা বেটে নিয়ে পেস্ট তৈরী করে নিতে হবে। এরপর ঘন পেস্টটি চুলের গোড়ায় দিয়ে অন্তত ২০ মিনিট রেখে দিন। হালকা গরম জলে চুল ধুয়ে তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
বেকিং সোডা- খুসকির সমস্যা দূর করার জন্য বেকিং সোডাও ব্যবহার করতে পারেন। এটি এই সমস্যা সমাধানে খুব ভাল কাজ করে। বেকিং সোডা ব্যবহার করার জন্য প্রথমে চুল হালকা ভিজিয়ে নিন।
এরপর বেকিং সোডা মাথায় দিয়ে স্ক্রাব করার মতো করে চুলের গোড়ায় হালকা ভাবে মিনিট দশেক ম্যাসাজ করুন। এরপর ১ঘন্টা রেখে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
টকদই- খুসকির সমস্যা থাকেল ব্যবহার করুন টকদই। টকদই খুসকির জন্য খুবই কার্যকর। টকদই ভাল করে ফেটিয়ে নিন এবং চুলের গোড়ায় দিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে নিন।
তবে এগুলোর মধ্যে যেই পদ্ধতিগুলি মেনে চলুন না কেন তা সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ব্যবহার করতে হবে। সঠিক নিয়ম মেনে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে প্রথম সপ্তাহেই তফাৎটা বুঝতে পারবেন।
খুসকির সমস্যা খুব বেশি পরিমানে দেখা দিলে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কেননা এই সমস্যা অতিরিক্ত পরিমানে থাকলে তা আপনার ত্বককেও ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।