- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- এই কয়টি কৌশল মেনে সাজিয়ে তুলুন ঠোঁট, রইল ঠোঁট সাজানোর উপায়, দেখে নিন এক ঝলকে
এই কয়টি কৌশল মেনে সাজিয়ে তুলুন ঠোঁট, রইল ঠোঁট সাজানোর উপায়, দেখে নিন এক ঝলকে
- FB
- TW
- Linkdin
প্রথমে ঠোঁট পরিষ্কার করে তবেই লিপস্টিক লাগাবেন। ঠোঁটের ওপর মরা চামড়া থাকলে লিপস্টিক সহজে বোঝা যাবে না। তাই সবার আগে ঠোঁট পরিষ্কার করে নিন। ঠোঁট স্ক্রাবিং করতে মেনে চলতে পারেন ঘরোয়া টোটকা। চিনি দিয়ে স্ক্রাবিং করা যায়। বাদাম তেলের সঙ্গে মেশান চিনির মিহি করা দানা। এটা ঠোঁটে লাগান। ঘষে নিন। তরপর ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
চিনি ও মধু দিয়ে স্ক্রাবার বানাতে পারে। এটা ঠোঁটের মরা চামড়া তুলতে বেশ কার্যকরী। একটি পাত্রে অল্প পরিমাণ মধু ও চিনির গুঁড়ো নিন। ভালো করে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ঘষে তুলে নিন। এতে সহজে ঠোঁটে জমে থাকা নোংরা দূর হবে। সঙ্গে দূর হবে মরা চামড়া। মধুর গুণে ঠোঁট নরমও হবে।
ঠোঁটের সাজের সঠিক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে প্রয়োজন টিস্যু পেপার, লিপলাইনার, লিপস্টিক, কনসিলার, লিপ ব্রাশ, লিপ বাম, লিপ গ্লস। এই কয়টি জিনিসের সঠিক ব্যবহারে ঠোঁটের সাজ ফুটিয়ে তুলতে পারেন। তবে, লিপগ্লস লাগানোর ক্ষেত্রে সঠিক টেকনিক জানা দরকার। লিপগ্লস শেষ পর্যায় লাগানো হয়ে থাকে। তাই প্রথম থেকে পর পর সব ধাপ মেনে না চললে সঠিক ভাবে লিপস্টিক ফুটে উঠবে না।
স্ক্রাবিং করার লিপ বাম। স্ক্রাবিং করলে ঠোঁটের আদ্রতা কমে যায়। অনেকে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে লিপবাম লাগান। লিপবাম লাগিয়ে লিপস্টিক লাগালে ঠোঁট ড্রাই হবে না। বিশেষ করে লিকুইড লিপস্টিক লাগানোর সময় মেনে চলুন এই টোটকা। লিপ বাম লাগালে, লিপস্টিকে থাকা কোনও উপাদানই ঠোঁটের ক্ষতি করতে পারবে না।
এবার লাগান ফাউন্ডেশন। ঠোঁটের ওপর ও চারদিকে ফাউন্ডেশন লাগান। এই সময় স্পঞ্জ ব্যবহার করবেন। ফাউন্ডেশন লাগিয়ে তারপর লিপস্টিক দিলে, ঠোঁটের সৌন্দর্য সহজে ফুটে উঠবে। তবে, ফাউন্ডেশন ভালো করে ব্লেন্ড হওয়া খুবই দরকার। তা না হলে, পুরো সাজটাই মাটি। তাই স্পঞ্জের সাহায্যে ভালো করে ঠোঁটের ওপর, নীচ ও চারিদিকে ফাউন্ডেশন লাগান।
ফাউন্ডেশন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠোঁটের চারিদিকে কনসিলার লাগিয়ে নিন। অনেকেরই ঠোঁটের ওপর কিংবা নিচের অংশ কালো হয়ে যায়। এই কনসিলারের সাহায্যে ঠোঁটের খুঁত ঢেকে নিন। কনসিলার যেন ভালো ভাবে ব্লেন্ড হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। হয়ে গেলে হালকা করা পাউডার পাফ করে নিন।
এবার আসে লিপলাইনার লাগানোর পালা। লিপলাইনের সাহায্যে ঠোঁটের মাপ ঠিক করুন। মোটা ঠোঁট সরু করুন। লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁটের মাপ ঠিক করুন। এই সময় খুব সাবধানে ঠোঁট আঁকবেন। যে রঙের লিপস্টিক পরছেন সেই রঙের লিপলাইনার বেছে নিতে পারেন। ঠোঁটের চারিধারে সরু করে লাইন আঁকুন। আর খুব ধীরে আঁকবেন। তা না হলে পুরো সাজটাই মাটি।
এবার লাগান লিপস্টিক। যে রঙের লিপস্টিক পরতে চান তা সাবধানে লাগিয়ে নিন। যদি ওমব্রে লিপ করতে চান, তাহলেও তা করে নিতে পারেন। এই সময় পছন্দ সই লিপস্টিকের ছোঁয়া দিন আপনার দুই ঠোঁটে। চাইলে লিকুইড লিপস্টিক পরতে পারেন। তবে, লিকুইড লিপস্টিক একটু সাবধানে এবং অল্প অল্প করে ব্যবহার করুন। তা না হলে, তা ঘেঁটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সব শেষে লাগান লিপগ্লস। লিকুইড প্রোডাক্ট হওয়ার দরুন এটা ধীরে ধীরে ব্যবহার করাই ভালো। ঠোঁটের মাঝখান থেকে ধার পর্যন্ত ধীরে ধীরে লিপগ্লস লাগান। আর অল্প করে নিয়ে লাগাবেন। তা না হলে, তা ঘেঁটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লিপগ্লস লাগানে ঠোঁটে একটা চকচকে এফেক্ট আসে। তাই তা সাবধানে ব্যবহার করা উচিত।
সব শেষে ব্যবহার করুন টিস্যু পেপার। লিপগ্লস শুকিয়ে গেলে ব্যবহার করতে হবে এটি। দুটো ঠোঁটের মাঝে টিস্যু পেপার দিয়ে হালকা করে চিপে নিন। এতে ঠোঁটের ভিতরের অংশে লেগে থাকা লিপস্টিক উঠে যাবে। তা না হলে, এই লিপস্টিকই দাঁতে লেগে যায়। তাই অবশ্যই টিস্যু পেটেরা ব্যবহার করবেন।