বয়সকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেছেন তাঁরা, রইল এমন কয়েকজন মহিলার কাহিনি
- FB
- TW
- Linkdin
গতানুগতিক নিয়মের বাইরে দৌড়ে চলেছেন এই সকল মহিলা। সকলেরই বয়স ষাটোর্ধ্ব। তাদের ট্যালেন্ড (Talent) নজর কাড়ে সকলের। তাদের নৃত্যকলা, আঁকা কিংবা ফ্যাশন স্টেইটমেন্ট সকলের নজর কাড়ে। এমন অনেক মহিলা আছেন, যারা মানুষের মনে ইতিবাচক এনার্জি তৈরির চেষ্টা করে থাকে। দেখে নিন এমন কয়েকজন মহিলার কাহিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এঁনারা খুবই জনপ্রিয়।
ডা. পদ্মাবতী দুয়া, যিনি চিন্না দুয়া নামি পরিচিত। তার ড্রেসিং সেন্স ও রান্নার দক্ষতার সকলের নজর কেড়েছে। তিনি ক্যান্সার করেছেন। ক্যান্সার থেকে মুক্ত হয়ে জীবনকে উপভোগ করার জন্য দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর শাড়ির কালেকশন সকলের কাছে প্রশংসিত। ৬০ বছর বয়সেও এমন আশ্চর্য ড্রেসিং সেন্স তার এক আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছে। তাঁর ইন্সটাগ্রামের ফলোয় ৩৭.৭ হাজার।
সমীরা রেড্ডির শাশুড়ি হিসেবে জনপ্রিয় মঞ্জরী ভার্দে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাকটিভ। তবে, তাঁর সব থেকে বড় পরিচয়, তিনি একজন শিল্পী। ৬৪ বছর বয়সে তাঁর হাতের আঁকা সকলের নজর কাড়ে। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটলে, তাঁর আঁকা একাধিক ছবি দেখা যাবে। তিনি সব সময় ফিট থাকতে পছন্দ করেন। সব সময় রঙিন পোশাক পরতে দেখা যায় মঞ্জরী ভার্দেকে।
মঞ্জরী ভার্দের সাজপোশাক নজর কাড়ে সকলের। সঙ্গে তাঁর নৃত্য দক্ষতা বেশ নজর কাড়ে সকলের। শমিরা রেড্ডির সঙ্গে বহু ভিডিও তিনি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এছাড়াও, রয়েছে তাঁর সোলো পারফর্মমেন্স। মঞ্জরী ভার্দের সাজ পোশাকও সকলের নজর কাড়ে। তিনি এই বয়সেও যেমন ভাবে সব ধরনের পোশাক সাবলম্বী থাকেন, তা সকলের নজর কাড়ে।
বেশিরভাগ মানুষের কাছের তিনি নাচের দাদি হিসেবে খ্যাত। রবি বালা শর্মা একজন নৃত্যশিল্পী। ৬১ বছর বয়সেও তাঁর নৃত্যপ্রদর্শনী মুগ্ধ করে সকলরে। ইন্সটাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার ১১৪ হাজার। সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটলে তাঁর বহু নাচের ভিডিওর ঝলক মিলবে। পঞ্জাবি ট্র্যাকেও পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই সকল ভিটিও বেশ ট্রেন্ডিং। দিলজিৎ দোসন্তের G.O.A.T গানে তাঁর পারমফরমেন্স সকলের নজর কেড়েছে।
রবি বালা শর্মা ছিলেন একজন শিক্ষক। তাঁর বাবা নাচের পরামর্শদাতা ও নাচের গুরু হিসেবে খ্যাত ছিলেন। হয়তো সে কারণেই ছোট থেকেই নাচের প্রতি তাঁর একটা আলাদা ভালোবাসা আছে। তিনি মনে করেন, বয়স কেবল মাত্র একটি সংখ্যা। তাই নিজের মতো করে জীবনকে উপভোগ করেন। তার এই ধারণা বহু মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়। অনুপ্রেরণা দেয় জীবন উপভোগ করার।
মাদার উইথ সাইন নামে পরিচিত পুনম সাপ্রা। তিনি সব সময় মানুষকে অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারলে একেবারে অন্যরকম ঝলক পাবেন। বোর্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছেন পুনম সাপ্রা। আর সেই বোর্ডে আঁকা ছোট ছোট গ্রাফিক্স। সঙ্গে লেখা একটি করে বিশেষ উক্তি। যে উক্তিগুলো অনুপ্রেরণা দেয় সকলকে।
পুনম সাপ্রার মনুষকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার এই পদ্ধতি নজর কেড়েছে সকলের। সে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ার ১৪৪ হাজার। মানুষের মনে ইতিবাচক শক্তির বৃদ্ধিতে বিশেষ পদক্ষেপ নেন তিনি। গত বছর যখন তিনি ইনস্টাগ্রামে যোগ দেন তখন তার ছেলে লিখেছিলন, আমার মা আমাকে সব সময় এই ধরনের জিনিসগুলো বলে থাকেন, তাই আমি তাকে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট করেছি।
৬৯ বছরে একজন গৃহিনী হলেন রজনী চন্ডী। তিনি ৬৫ বছর বয়সে একটি মালায়ালাম চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তিনি রিয়েলিটি টেলিভিশন বিগ শো বিগ বস-এর একটি অংশও ছিলেন। তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের নজর কাড়ে। তিনি সব বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরে ফোটোশ্যুট করেন। ৬৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তির এমন উদ্যমী মানসিকতা সকলকে অনুপ্রেরণা দেয়।
খাদ্যরসিক ব্যক্তিদের মন ভালো হয়ে যাবে কানন বালা দেবীর সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটলে। তাঁর হাতের রান্না বেশ খ্যাত। সব ধরনের পদ রাঁধতে পারদর্শ কানন বালা। তার ঝলক রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। ইন্সটাগ্রামে তাঁর অ্যাকাউন্টের নাম মামা কে ট্রিটস। সেখানে রয়েছে শয় শয় খাবারের পদ। যা সকলের নজর কাড়তে বাধ্য।