ক্ষতিকর রাসায়নিক নয়, রঙ খেলায় মেতে উঠুন ভেষজ রঙ দিয়ে
| Published : Mar 07 2020, 03:46 PM IST
ক্ষতিকর রাসায়নিক নয়, রঙ খেলায় মেতে উঠুন ভেষজ রঙ দিয়ে
Share this Photo Gallery
- FB
- TW
- Linkdin
110
প্রতি বছর দোলের পরে পরেই দেখা দেয় ত্বক ও শ্বাসকষ্টের মত নানান সমস্যা। রাসায়ানিকের প্রতিক্রিয়ার ফলে ছোটদেরও নানান সমস্যার শিকার হতে হয়। এই কারণেই রাসায়নিক ভুলে প্রকৃতির রঙেই ভরসা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
210
রাসায়নিক রঙ-এর ব্যবহারের ফলে র্যাশ, এগজিমা, ছাড়াও শ্বেতির মতো ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। সোরিয়াসিস থাকলে তার প্রভাবও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
310
কারণ রঙে যে ধরণের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই সেই রঙ কোনওভাবে নাকে বা মুখে প্রবেশ করলে তার ফল হতে পারে মারাত্মক। এছাড়া গাঢ় রঙে বেশি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
410
আবার ত্বক থেকে রঙ তুলতে গিয়ে অতিরিক্ত সাবানের ব্যবহারের ফলে ত্বক আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
510
ঠিক এই অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা পেতে উৎসবে মেতে উঠুন ভেষজ রঙে। এই কারণে বিভিন্ন গাছের ফল, ফুল ও পাতা দিয়ে রং তৈরি করে এমন বহু সংস্থা রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও ভেজষ রং তৈরি করে বিক্রি করেন পড়ুয়ারা।
610
জবা, গাঁদা, অপরাজিতা আরও নানা থেকে রং তৈরি করেন তাঁরা। তবে অনেকেই এখন স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার কারণে ভেষদ রঙের চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
710
আপনিও চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন ভেষজ রঙ নামী কোম্পানির হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে বেসন মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন হলুদ আবির। লাল চন্দনের সঙ্গে সমপরিমাণে ময়দা মিশিয়ে বানিয়ে নিন লাল আবির।
810
বর্তমানে অনলাইনেও এই ভেষজ রঙ বিক্রি শুরু হয়েছে। এই সব রঙের মূল উপাদান বিভিন্ন গাছের পাতা, ফলমূলের সঙ্গে মূল ভিত হিসেবে ব্যবহার করা হয় ময়দা।
910
ভেষজ রঙের জন্যে হলুদ, বিট, নানান ধরনের ফল, নানান গাছের কচি পাতা ও ফুল, পুদিনা পাতা, পালং শাক, লাল চন্দন কাঠ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ময়দার সঙ্গে এই সমস্ত ভেষজ রঙ মিশিয়ে রঙ তৈরি করা হয়।
1010
আর এই রঙ ত্বকে লাগলে তাতে শারীরিক সমস্যার কোনও রকম সুযোগ থাকে না। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভেষজ রঙ দিয়েই মেতে উঠুন বসন্ত উৎসবে।