'বিরল সূর্যগ্রহণ', বাংলার কোথায়-কখন দেখা যাবে এই 'রিং অফ ফায়ার'
বিরল সূর্যগ্রহনের সাক্ষী থাকতে চলেছে বাংলা। নতুন বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। আগামী ২১ জুন অর্থাৎ রবিবার এই সূর্যগ্রহণের মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকবে গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রতিটি সাধারণ মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণটি আক্ষরিক অর্থেই বিরল। বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই দেখা যাবে বিরল রিং অফ ফায়ার। সঠিক নিয়ম না মানলেই এই মহাজাগতিক দৃশ্যটি মিস হয়ে যেতে পারে। কোন সময়ে,কোথায় দেখা যাবে, কী কী বিপদ রয়েছে, জেনে নিন বিশদে।
- FB
- TW
- Linkdin
২০২০ সালের প্রথম সূর্যগ্রহন তাও আবার করোনা আবহে। সাধারণ মানুষই শুধু নয়, দশকের প্রথম সূর্যগ্রহন নিয়ে কৌতুহলী হয়েছেন জ্যোতিষবিদেরাও। প্রথম সূর্যগ্রহণ নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়েই তুমুল আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
আগামীকালই এই সূর্যগ্রহনের সাক্ষী থাকতে চলেছে গোটা বিশ্ব। বিজ্ঞানীরা এই গ্রহণকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই সময়টাতে গোটা সূর্যকে ঢেকে যাবে চাঁদ। সূর্যের চারিদিকে তৈরি হবে একটি আগুনের বলয়। রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ডে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে এই গ্রহণ।
২১শে জুন সূর্যগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৯.১৫ মিনিটে। পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ চলবে ১০.১৭ মিনিটে। তারপর সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে ১২.১০ মিনিটে। পূর্ণ মাত্রার গ্রহণ শেষ হবে ২.০২ মিনিটে । পুরোপুরি আংশিক গ্রহণ শেষ হবে ৩.০৪ মিনিটে।
কলকাতায় সকাল ১০ টা ৪৬ মিনিট থেকে দুপুর ২ টো ১৭ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে। মেদিনীপুরে সকাল ১০ টা ৪৩ মিনিট থেকে দুপুর ২ টো ১৪ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে। মুর্শিদাবাদে সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিট থেকে দুপুর ২ টো ১৭ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে।
শিলিগুড়ি থেকে সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিট থেকে দুপুর ২ টো ১৬ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে। রায়গঞ্জে সকাল ১০ টা ৪৬ মিনিট থেকে দুপুর ২ টো ১৬ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে। কোচবিহারে সকাল ১০ টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ২ টো ১৯ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে।
মালদহে সকাল ১০ টা ৪৬ মিনিট থেকে দুপুর ২ টো ১৭ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে। এবং দার্জিলিং-এ সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিট থেকে দুপুর ২ টো ১৬ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে এই বিরলল সূর্যগ্রহণ।
ভারত ছাড়াও এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে আফ্রিকা মহাদেশে। চিন, পাকিস্তান, কঙ্গো, ইথিওপিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বহু জায়গা থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে স্পষ্টভাবে।
সূর্যগ্রহণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, খালি চোখে সূর্য গ্রহণ দেখলে চোখের উপরে প্রভাব পরে এবং যার ফলে দৃষ্টিও হারাতে পারে। তাই খালি চোখে এই গ্রহণ দেখতে বারণ করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যারা টেলিস্কোপে বা পেরিস্কোপে দেখবেন তাদেরও সরাসরি তাকাতে বারণ করা হয়েছে। কারণ গ্রহণ চলাকালীন সূর্যের রশ্মি খুব সংবেদনশীল অবস্থাতে থাকে। এমনকী সানগ্লাস বা ঘষা কাঁচ দিয়ে দেখতেও মানা করেছে বিজ্ঞানীরা। নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, বিশেষ গ্লাস বা ফিল্টার দিয়ে দেখা উচিত।