- Home
- World News
- Pakistan News
- 'মুখ না খুললেই ভাল' - ইমরানকে ধুয়ে দিলেন দুই প্রাক্তন স্ত্রী, ধর্ষণ-মন্তব্যে ব্যাকফুটে পাক প্রধানমন্ত্রী
'মুখ না খুললেই ভাল' - ইমরানকে ধুয়ে দিলেন দুই প্রাক্তন স্ত্রী, ধর্ষণ-মন্তব্যে ব্যাকফুটে পাক প্রধানমন্ত্রী
বিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই উচ্চশিক্ষিত ইমরান খানই ধর্ষণ ও যৌন হিংসার জন্য মহিলাদের পোশাককে দোষ দিয়েছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন দেশে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ দেশে 'ফাহশী' অর্থাৎ অশ্লীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই অশ্লীলতার দায় তিনি মহিলাদের উপরই চাপিয়েছিলেন। এই মন্তব্যের জেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করলেন তাঁর দুই প্রাক্তন স্ত্রী।
| Published : Apr 08 2021, 10:48 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
হাতে নিয়ে কোরান
ইমরান খানের প্রথমা স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথ রীতিমতো কোরান উদ্ধৃত করে বলেছেন অশ্লীলতার দায় পুরুষদেরই। এই ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা টুইট করে বলেন, কোরানে পুরুষদেরই দৃষ্টি এবং গোপনাঙ্গ সংযত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অচেনা ইমরান
১৯৯৫ থেকে ২০০৪ - ৯ বছর ইমরান খানের সঙ্গে সংসার করেছিলেন জেমাইমা। তিনি আরও বলেছেন, ইমরানের মন্তব্য ভুলভাবে উদ্ধৃত বা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে আশা করছেন। কারণ যে ইমরানকে তিনি চিনতে, তিনি বলতেন, পুরুষের চোখেই পর্দা দেওয়া উচিত, মহিলাদের পর্দার আড়ালে রাখা উচিত নয়।
কম বললেই ভাল
জেমাইমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর ২০১৫ সালে বিবিসির প্রাক্তন উপস্থাপিকা রেহাম খান-কে বিবাহ করেছিলেন ইমরান খান। সেই বিয়ে মাত্র দশ মাস টিকেছিল। দ্বিতীয়া স্ত্রী এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আরও চাঁছাছোলা ভাষায় সমালোচনা করেছেন। রেহাম এই বিষয়ে একটি সংবাদ প্রতিববেদন উদ্ধৃত করে টুইট করেছেন, 'তিনি (ইমরান খান) যত কম কথা বলবেন সবার পক্ষে ততই ভাল।'
'প্রলোভন' থেকে বাঁচতে 'পর্দা'
সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাতকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান দলের শীর্ষ নেতা বলেছিলেন, বিশ্বের ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, সমাজে অশ্লীলতা বাড়লে দুটি জিনিস ঘটে - যৌন অপরাধ বৃদ্ধি পায় এবং পারিবারিক ব্যবস্থা ভেঙে যায়। পুরুষদের 'প্রলোভন' থেকে নিজেদের বাঁচাতে মহিলাদের তিনি 'পর্দা' অর্থাৎ সম্পূর্ণ দেহ ঢাকা পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
নিশানায় বলিউড থেকে রক অ্যান্ড রোল
ওই একই সাক্ষাতকারে তিনি অশ্লীলতায় প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য বলিউডকেও নিশানা করেছেন। এমনকী ব্রিটেনে বিবাহবিচ্ছেদের হার বৃদ্ধির জন্য ১৯৭০-এর দশকে শুরু হওয়া 'সেক্স, ড্রাগ এবং রক অ্যান্ড রোল' সংস্কৃতিকে দায়ী করেন তিনি।
বিস্ময়কর
দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য বিস্ময়কর বলে কঠোর সমালোচনা করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার এবং নারী অধিকার কর্মীরা। ধর্ষণটি কোথায়, কেন এবং কীভাবে ঘটে সেই বিষয়গুলিকে এই মন্তব্য লঘু করে দিয়েছে, তাইই নয়, ধর্ষণের শিকার হওয়া ব্যক্তিবর্গকেও দোষারোপ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই বলেছে দ্য হিউম্যান রাইটস কমিশন অফ পাকিস্তান। তারা বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর জানা উচিত, ছোট শিশু থেকে শুরু করে সকলেই এই অপরাধের শিকার হয়। তাদের ক্ষেত্রেও কী পোশাকই পুরুষদের প্রলুব্ধ করে অপরাধ করতে?