- Home
- World News
- Pakistan News
- চিনে নিন দাউদ ইব্রাহিমের সবচেয়ে বড় দুর্বলতাকে, যে সুন্দরীর প্রেমে এখন হাবুডুবু খাচ্ছেন ডন
চিনে নিন দাউদ ইব্রাহিমের সবচেয়ে বড় দুর্বলতাকে, যে সুন্দরীর প্রেমে এখন হাবুডুবু খাচ্ছেন ডন
বলিউড এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। একসময় দাউদ ইব্রাহিমের বলিউডে দারুণ প্রভাব ছিল। তিনি কেবল সিনেমায় বিনিয়োগই করতেন না, দাউদের নির্দেশে বড় বড় চলচ্চিত্র তারকারা তাঁর বাড়ির পার্টিতেও পৌঁছে যেতেন। তবে মনে হয় পাকিস্তানে এসেও রুপোলি জগতের প্রতি দাউদের সেই শখ এখনও শেষ হয়নি।
- FB
- TW
- Linkdin
শোনা যাচ্ছে পাকিস্তানের এই সুন্দরী নায়িকা মন জিতে নিয়েছেন দাউদের। যার শুরুটা হয়েছে ২০১৯ সালে। সেই বছরই পাক সিনে জগতের অভিনেত্রীকে দেশের সম্মানীয় অসামরিক পুরষ্কার তমগা-ই-ইমতিয়াজ ভূষিত করা হয়েছিল। সেই অভিনেত্রীর নাম মেহউইশ হায়াত। এই অভিনেত্রীকে নিয়েই এখন আলোচনা পাকিস্তান জুড়ে। কয়েকবছর আগেই ৩৭ বছরের এই সুন্দরীকে কেউ চিনতো না। তবে আজ তিনি পাকিস্তানি মিডিয়া আর গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে অতি পরিচিত নাম।
২০১৯ সালে, যখন মেহউইশকে যখন তমগা-ই-ইমতিয়াজ দেওয়া হয়েছিল, তখন প্রচুর লোকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেনও এই অনামী অভিনেত্রীকে এত বড় সম্মান দেওয়া হচ্ছে? সেই সময় পাকিস্তানের এক ওয়েব পোর্টালে একটি খবর বেরিয়েছিল। যা বলা হয়েছিল অভিনয়ের জন্য নয়, বরং করাচিত বসবাসকরা এই শক্তিশালী ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই মেহউইশকে তমগা-ই-ইমতিয়াজ সম্মানে ভূষিত করে ক্ষমতাশীল তেহরিক-ই ইন্সাফ পার্টি।
এরপরেই পাকিস্তানে ট্রোলের মুখে পড়তে হয় মেহউইশ হায়াতকে। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হায়াত। এদিকে করাচির সেই ক্ষমতাবান লোকের খোঁজও শুরু হয়। যার প্রভাব কেবল পাকিস্তানি সরকার নয়, রয়েছে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ওপরেও।
জানা গিয়েছে, দাউদ ইব্রাহিম বর্তমানে পাকিস্তানি এক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। আর সেই অভিনেত্রীই এখন দাউদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।
মেহউইশ হায়াত নিজের কেরিয়ারের সূচনা করেছিলেন আইটেম গার্ল হিসাবে। এরপরেই করাচির সেই প্রভাবশালী ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে লাইমলাউটে চলে আসেন হায়াত। আর সেই সুবাদেই বড় বড় সিনেমার অফারও আসছে তাঁর কাছে।
তবে এই সম্পর্ক নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কেউই কিছু বলছেন না। তবে সব ইজ্ঞিতই যাচ্ছে দাউদের দিকে। তবে এটা স্পষ্ট দাউদ ফিল্ম জগতে এখনও আগের মতোই প্রভাবশালী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ হলে সহজেই সাফল্যোর চুঁড়ায় পৌঁছন যায়।
১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণের প্রধান অভিযুক্ত ডনের সঙ্গে একাধিক বলিউড নায়িকার সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছিল। যাদের মধ্যে রয়েছেন মন্দাকিনী। তিনি নিজে অবশ্য বার বার ‘ডন’-এর সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন।
দাউদ ইব্রাহিমের বর্তমান ঠিকানা পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচি। দাউদের বাড়ি থেকে ভারতের রাজকোট শহরের দূরত্ব মাত্র ৪৮০ কিলোমিটার। তবুও দাউদ আজ পর্যন্ত ধরা পড়েনি। মজার বিষয় হ'ল ভারত যদি রাজকোট থেকে দাউদের বাড়িতে অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র ছেড়ে দেয় তবে সেটি মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে করাচিতে পৌঁছে যাবে এবং দাউদের খেলা সাঙ্গ হবে।
করাচিতে দাউদের ঠিকানা চিহ্নিত করেছে পাক প্রশাসন। গত শনিবার পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ খবর সামনে আসার পরই সর্বত্র হইচই পড়ে যায়। বলা হয়, এত দিনে দেশের মাটিতে মাফিয়া ডনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মানল পাকিস্তান। কিন্তু তার পর ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই নিজেদের অবস্থান পাল্টে ইসলামাবাদ জানিয়ে দেল দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে রয়েছেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যে খবর ছড়িয়েছে তা ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।