- Home
- World News
- Pakistan News
- বড়দার কাছে জোর ঝটকা খেলেন ইমরান, শেষ মুহূর্তে পাকিস্তান সফর বাতিল করলেন অখুশি জিনপিং
বড়দার কাছে জোর ঝটকা খেলেন ইমরান, শেষ মুহূর্তে পাকিস্তান সফর বাতিল করলেন অখুশি জিনপিং
ভারতের প্রতিবেশীদের নিজের কব্জায় রাখার চেষ্টা করছে চিন। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সেই কাজে তারা সফলও। এমনকি ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশীদের সামনে পাকিস্তানকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টাও করেছে বেজিং প্রশাসন। কিন্তু সম্প্রতি সেই বন্ধুত্বে কিছুটা হলেও ফাটল ধরেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ আসন্ন পাকিস্তান সফর বাতিল করে দিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
| Published : Sep 11 2020, 11:51 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর।
বর্তমান সময়ে ভারতের সাথে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, চিনা রাষ্ট্রপতি জিনপিং আচমকাই পাকিস্তান সফর বাতিলের ঘোষণা করেন। চিনা রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তে আশাহত হয়ে পড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
চিনা রাষ্ট্রপতি তাঁর পাকিস্তান সফর অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত রেখেছেন। কিন্তু চিনা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে ভেঙ্গে পড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই সফরের উপর পাকিস্তানে চিনের আর্থিক বিনিয়োগের অনেককিছুই নির্ভর করছিল।
স্বয়ং ইমরান খান চীনা রাষ্ট্রপতিকে নিজে গিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর পরেও জিনপিং শেষ মুহূর্তে সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পাকিস্তানকে আর ঋণ দেবে না বলেই আগেই জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব। এবার চিন সরকারের এই সিদ্ধান্তে জোর ঝটকা খেলেন ইমরান খান। ঋণের সাগরে ডুবে থাকা পাকিস্তান চিনের দিকে আর্থিক সাহায্যের জন্য তাকিয়ে রয়েছে।
জানা গিয়েছে, চায়না পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর প্রোজেক্টে নিয়ে পাকিস্তানের ঢিলেমি একেবারেই ভাল চোখে নেয়নি বেজিং। সিপিইসি-র প্রোজেক্টে গতি প্রকৃতির উপর অখুশি চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। সেই কারণেই পাক সফর বাতিল করেছেন জিনপিং।
গত জুন মাসে সফর পিছনোর পর চলতি সপ্তাহেই পাকিস্তানে আসার কথা ছিল জিনপিংয়ের। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে জল্পনা উসকে ইসলামাবাদে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিং জানিয়েছেন, করোনা মহামারির কথা মাথায় রেখে আপাতত পাকিস্তান সফর বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
যদিও চিনা রাষ্ট্রদূতের এই কথা পরিস্থিতি সামাল দিতে কূটনৈতিক বুলি বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর নিয়ে এতদিন অবশ্য বেজায় উৎফুল্ল ছিল ইসলামাবাদ। এতদিন তারা ভাবছিল, এতে দারুন লাভবান হবে পাক অর্থনীতি। যদিও সম্প্রতি তাদের সেই ভুল ভেঙেছে। নিজেদের প্রকৃতির ক্ষতি করে চিনকে বেশ কিছু রাস্তা বানাতে দিচ্ছে না পাক সেনা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের কথায়, সিপিইসি প্রকল্পে পাকিস্তানের বাণিজ্যিক বা আর্থিক কোনও লাভই সেই অর্থে নেই। বরং ওই পথে সস্তার চিনা পণ্যে ছেয়ে যাচ্ছে পাক বাজার। মার খাচ্ছে স্থানীয় কারবারিরা।
এই প্রকল্পের অন্তর্গত নির্মাণকাজে নিজের দেশ থেকে শ্রমিক এনেই কাজ করাচ্ছে চিন। ফলে পাকিস্তানিদের কাজের সুযোগ মিলছে না। বিশেষ করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এই নিয়ে তীব্র বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
পাক শাসকরা চিনা পুঁজির লোভে এই প্রকল্পে সায় দিয়েছেন। কিন্তু সিপিইসি প্রকল্পের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম বাজওয়ার বিরুদ্ধে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে কয়েকদিন আগেই ইমরান খানের উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় বাজওয়াকে।
এদিকে আবার পাকিস্তানের পথে ভারতকে ঘেরার পরিকল্পনায় বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে চিনা সরকার। একদিকে প্রোজেক্টের গতি খুবই ধীর গতিতে চলছে, আর অন্যদিকে চিনা সংস্থাগুলিকে নাকচ করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। অন্যদিকে ভারতও একের পর এক চিনা অ্যাপ ব্যান এবং টেন্ডার বাতিল করছে। এমনকি চিনা রেশম আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটছে ভারত। সবকিছু মিলিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চিনা সরকার প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।