- Home
- Lifestyle
- Relationship
- পিরিয়ড চলাকলীন সেক্স করছেন, যৌনমিলনেই মুক্তি পাবেন একগুচ্ছ জটিল সমস্যা থেকে
পিরিয়ড চলাকলীন সেক্স করছেন, যৌনমিলনেই মুক্তি পাবেন একগুচ্ছ জটিল সমস্যা থেকে
- FB
- TW
- Linkdin
যৌন মিলন নিয়ে একেক জনের একেক রকমের মতামত রয়েছে। সঙ্গমের কোন সময়টা ঠিক আর কোন সময় ঠিক নয়, তা নিয়ে বিস্তর মতামত রয়েছে। সঙ্গমের সময়টাতে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে দুজনেই পুরো সময়টাতে একান্তভাবে কাটাতে চান।
যৌন উত্তেজনা বাড়াতে পুরুষসঙ্গীরা তাদের মহিলাসঙ্গীদের উপর অনেক কিছুই করেই থাকে। কারণ যৌনতা নিয়ে একেক জনের একেক রকমের ফ্যান্টাসি রয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন রকমভাবে যৌনতাকে উপভোগ করে। তবে ঠিক সময়ে সহবাস না করলে সমস্যা আসতে পারে।
পিরিয়ডের সময়টাতে অনেকেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। তবে এই কথাটা শুনে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠে। কারণ একদিকে দাগ লেগে যাওয়ার ভয়, অন্যদিকে পিরিয়ড নিয়ে নানা রকমের ছুৎমার্গ রয়েছে। কারণ বেশিরভাগ নারী ও পুরুষরা মনে করেন পিরিয়ড চলাকালীন যৌনমিলন করা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
অনেকেরই মনে হয় পিরিয়ড চলাকালীন যৌন মিলন করাটা ঠিক না ঠিক নয়। এই প্রশ্নও অনেকের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু লজ্জাবশত অনেকেই হয়তো এই নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে পারছেন না। তবে গবেষণা কিন্তু এ কথা বলছে না। গবেষণা বলছে, পিরিয়ডের সঙ্গে সেক্সের কোনও সম্পর্ক নেই।
বরং মাসিকের সময় সেক্স করলে স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো। এর ফলে বেশ কিছু সমস্যা থেকে নিমেষে নিস্তার পাওয়া যায়। পিরিয়ডের সময়টাতে বেশিরভাগ মহিলারই পেটে ও কোমরে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। কোনও ভাবেই নড়াচড়া করা সম্ভব হয় না। সেই সময়টাতে যৌনমিলনই আরাম দিতে পারে। গবেষণা জানাচ্ছে অর্গাজমের ফলে যন্ত্রণা অনেকটাই কমে।
পিরিয়ডের সময়টাতে অনেকসময়েই খিঁচুনি হয় । সেই সময় প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে যৌনমিলন। সেক্সের পর শরীর ও মন অনেকটাই রিল্যাক্স হয়। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি খিঁচুনিও কমে যায়।
পিরিয়ডের সময় মানসিক চাপ অনেকটাই বেড়ে যায় মেয়েদের। সেই সময়টাতে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। বিশেষ করে যন্ত্রণা যখন বাড়ে তখনই মেজাজ আরও খিটখিটে হয়ে যায়, সেই সময়টাতে মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে যৌনমিলন।
পিরিয়ডের ব্যথায় রাতের বেলা ঘুমোতে পারেন না। সেই সময় সেক্স করলে দেহে যে হরমোন নিঃসরণ হয় তার ফলে কিছুটা হলেও যন্ত্রণা কমে এবং ঘুমও ভাল হয়। এছাড়াও সেক্সের সময় অর্গাজমের ফলে পেশীর সংকোচন ও প্রসারণ বাড়ে। যার ফলে পিরিয়ডও স্বাভাবিক ভাবে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে পিরিয়ডস চলাকালীন প্রথম দুইদিন ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোটেরন কম পরিমাণে নির্গত হয়। পিরিয়ডসের তৃতীয় দিন থেকে এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে যৌন মিলনে দেহে হরমোন নিঃসরণের কারণে পেটে ব্যথা অনেকটাই কম হয়।
পিরিয়ডসের সময় মহিলাদের মুড সুইং হয়। বিশেষ করে মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা তো অনেকেরই হয়ে থাকে। কেউ কেউ আবার মানসিক চাপ, অবসাদে ভুগে থাকেন। পেটে ব্যথা, হাতে-পায়ে ব্যথার কারণে মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সময়ে যৌন মিলন করলে মনও ভাল হয়ে যায়। পিরিয়ডস চলাকালীন সাধারণত মহিলাদের যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে ভ্যাজাইনা লুব্রিকেটেড থাকে যার ফলে মিলন সুগম হয়।