'প্রেমের ভান করা', প্রিয়জনের হাত ধরে তৃতীয় জনের জন্য ফ্লার্ট করা কি ঠিক
- FB
- TW
- Linkdin
ফ্লার্ট বা প্রেমের ভান করার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রোমান্স। অনেকের কাছে এটি একটি রোমান্টিক অভিপ্রায় মাত্র। নিছকই একটি লাভ গেম। কিন্তু এই ফ্লার্ট যতক্ষণ নিজের মধ্যে সীমিত থাকে ততক্ষণই ভালো। অন্য কাউকে বিরক্ত না করলে ঠিক আছে। এমন মনে করেন এক বিশেষজ্ঞ।
অনেকেই আবার ফ্লার্টাকে শরীরী ভাষা দ্বারা লিখিত প্রেম হিসেবে মনে করেন। কোনও একটি সম্পর্কে প্রবেশের পথে এটি একটি দরজা হতে পারে। যা একটি নতুন সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি নতুন সম্পর্ককে উত্তেজনাপূর্ণ রাখে বলেও মনে করেন অনেকে।
অনেকে মনে করেন ফ্লাট করার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির মানসিক চাহিদা পুরণ হয়। এর মধ্যে কোনও আবেগ নেই। তাই এক জনের হাত ধরে তৃতীয় জনের সঙ্গে ফ্লার্ট করার মধ্যে দোষেরও কিছু নেই।
আপনি যদি অন্য কোরাও সঙ্গে ফ্লার্ট করেন আর তাতে যদি সে সাড়া দেয় তাহলে আপনার মনে হতেই পারে একটি একটি আসাধারণ। অন্তরঙ্গ সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার অন্যতম উপায়। ফ্লাট করার সময় মস্কিষ্ক আর শরীর উভয়ই কিন্তু সাড়া দেয়।
ফ্লার্ট করার সময় মস্তিষ্ক শরীরের মতও উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। নিরোট্রান্সমিটার ডোপামিন উৎপাদন করে। যার আমাদের শরীরকে অনুপ্রাণিত করে- এমনটাই ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ফ্লার্ট করার মাধ্যমে একজন আনন্দ পান।
তবে এর খারাপ দিকও রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি অভ্যাসে পরিণত হতে পারেষ নেশাগ্রস্ত হয়ে উঠতে পারে যে কোনও মানুষ। ভালো লাগতে লাগতেই ধীরে ধীরে তা খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে আপনাকে।
এই অবস্থায় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসে যা রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ। ফ্লার্ট করা কী উৎশৃঙ্খলাতা, ফ্লার্ট করে মানুষ কী পায়, আপনি যাকে ফ্লার্ট করছেন যে বিরক্ত বোধ করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এক বিশেষজ্ঞের কথা ফ্লাটিং অনেক সময় সম্পর্কের মাঝে দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়। তাই এগুলি খেয়াল রাখা অত্যান্ত জরুরি।
অতিরিক্ত ফ্লার্ট কিন্তু কখনই ভালো নয়। এটি আপনাকে আপনার সঙ্গীর থেকে দূরে নিয়ে যায়। তৈরি হয় অবিশ্বাস। যে কোনও সম্পর্কের ভিতই বিশ্বাস। তাই সেনা নষ্ট করা শ্রেয় নয় বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফ্লাটিং থেকে আপনি কী পাচ্ছেন। আপনার আরচরণ অন্যের বা আপনার সঙ্গীর কাছে বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে নাতো- এই দুটি দিকে নজর দেওয়া অত্যান্ত জরুরি।
ফ্লার্ট করে আপনি আপনার সঙ্গীকে সাময়িক প্রভাবিত করতে পারেন। কিন্তু এটি বেশি দিন স্থায়ী হতে পারে না। তাই সঙ্গীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলা অত্যান্ত জরুরি। শুধু কথা বলা হয়। প্রিয় জনের কথা মন দিয়ে শোনাটাও অত্যান্ত জরুরি। কথাই আর বিশ্বাস আর পারস্পরিক বোঝাপড়াই পারে কোনও সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে।