- Home
- Sports
- Other Sports
- অলিম্পিকে অভিনব বিন্দ্রার সোনা জয়ের ১৩ বছর পূর্তি, জানুন সেই ফাইনালের অজানা কাহিনি
অলিম্পিকে অভিনব বিন্দ্রার সোনা জয়ের ১৩ বছর পূর্তি, জানুন সেই ফাইনালের অজানা কাহিনি
| Published : Aug 11 2021, 07:10 PM IST
অলিম্পিকে অভিনব বিন্দ্রার সোনা জয়ের ১৩ বছর পূর্তি, জানুন সেই ফাইনালের অজানা কাহিনি
Share this Photo Gallery
- FB
- TW
- Linkdin
110
সদ্য শেষ হয়েছে টোকিও ২০২০ অলিম্পিক। অ্যাথলেটিক্সে ভারতকে প্রথম সোনা এনে দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন নীরজ চোপড়া। দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতেছেন নীরজ। নীরজকে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। সেই কথা নিজেই জানিয়েছেন টোকিওতে সোনা জয়ী।
210
১৯৮০ সালে অলিম্পিকে শেষবার সোনাা জিতেছিল ভারত। তাও ছিল হকিতে অর্থাৎ দলগত বিভাগে। মাঝে ২৮ বছর প্রতীক্ষা করতে হয় অলিম্পিকে ভারতকে সোনা জয় করতে। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জয়ের প্রতীক্ষায় তো দশকের পর দশক আশায় ছিল দেশবাসী।
310
অবশেষে ২০০৮ বেজিং অলিম্পিক। তারিখটা ১১ অগাস্ট। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ফাইনাল। ব্যক্তিগত ইভেন্টে আরও একটি সোনা জয়ের স্বপ্ন। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ শটে কেল্লাফতে করে ভারতবাসীর স্বপ্নপূরণ করলেন অভিনব বিন্দ্রা। প্রথমবার অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জয়ের পর জাতীয় সঙ্গীত শুনে চোখের কোণ ভিজেছিল সকলের।
410
ফাইনাল শটে 'পিকচার পারফেক্ট' ১০.৮ স্কোর। বেজিং অলিম্পিকে পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে সোনা জেতেন অভিনব বিন্দ্রা। জায়ান্ট স্ক্রিনে স্কোর দেখে টিভি ও গ্যালারির দর্শকরা জানতে পারলেও, ২৫ বছরের ভারতীয় যুবক বিন্দ্রা জানতেন না যে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। পরে কোচ জড়িয়ে ধরায় বুঝতে পারেন সোনা জিতেছেন অভিনব বিন্দ্রা।
510
ফাইনাল পর্যন্ত গোটা সফরে একাগ্র মনোভাবই হয়তো বেজিংয়ে শেষ শটে প্রায় নিখুঁত ১০.৮ স্কোর করতে সাহায্য করেছিল। তা না হলে, ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে চতুর্থ স্থানে শেষ করে ফাইনালে সোনা সহজ কাজ নয়। চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে অলিম্পিকের পোডিয়ামে শীর্ষ স্থান দখল করেছিলেন বিন্দ্রা।
610
২০০৮-এর অলিম্পিক পদক নিয়ে তাঁর অনুভূতির কথা জানতে চাইলে বিন্দ্রা জানান, 'সুযোগ পেলে মেডেলটা রান্নাঘরে কোথাও রেখে দিতাম। মেডেল নিয়ে আমি ঠিক আবেগ আপ্লুত হই না। যে বিষয়টি আমাকে বেশি প্রভাবিত করে তা হল ২২ বছরের সোনা জেতার চেষ্টা। পদক নয়, তা পেতে গোটা সফরই আমার কাছে গর্বের।'
710
এক সাক্ষাৎকারে বিন্দ্রা জানিয়েছেন, ফাইনালের ৫ মিনিট আগে তার বন্দুকে সামান্য সমস্যা ধরা পড়েছিল। প্রাথমিকভাবে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে ইতিহাস তৈরি করেন বিন্দ্রা। বলেন,'ফাইনালের মাত্র পাঁচ মিনিট আগে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার বন্দুকের কিছু সমস্যা হয়েছে। আমার মাথার মধ্যে পুরোপুরি আতঙ্ক ছিল, কিন্তু মজার ব্যাপার হল, বেজিংয়ে গিয়ে আমি এর জন্য প্রশিক্ষণও নিয়েছিলাম।'
810
বিন্দ্রা আরও জানিয়েছিলেন,'আমি এক মুহুর্তের জন্য নিথর ছিলাম এবং কি করতে হবে তার কোন ধারণা ছিল না। কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়ার কোনও বিকল্প ছিল না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমাকে লড়াই করতে হবে, তাই আমি উঠে দাঁড়িয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গিগুলি সঠিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। সেখান থেকে আমি আমার জীবনের সেরা ১০ টি শটগুলির মধ্যে একটি করেছিলাম, যা শেষ পর্যন্ত আমাকে পদক এনে দিয়েছে।'
910
সোনা জয়ের পর মাত্র ২ সেকেন্ডের জন্য আবেগ প্রবণ হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন বিন্দ্রা। বলেছলেন,'এটা ছিল সবচেয়ে বড় আবেগ যা আমি অনুভব করেছি। আমি খুব খুশি ছিলাম কারণ এই মুহূর্তটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় রোমাঞ্চ, সেই রোমাঞ্চ দুই সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয়েছিল । সেই মুহুর্তে আমি যে সবচেয়ে বড় আবেগ অনুভব করেছি তা ছিল স্বস্তির অনুভূতি কারণ, আমার পুরো যাত্রা জুড়ে আমি আমার লক্ষ্য নিয়ে খুব আবেগী ছিলাম।'
1010
মাঝে কেটে গিয়েছে ১৩টা বছর। তবে এবার তারসঙ্গে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জয়ীর আসনে বসেছেন নীরজ চোপড়া। নীরজ বিন্দ্রাকে আই়ল মানলেও, বিন্দ্রা নীরজের এই সাফল্যকে তার পরিশ্রমের ফল বলে আখ্যা দিয়েছিন এবং এই মুহূর্ত উপভোগ করতে বলেছেন। কিন্তু অলিম্পিকে সোনা জয়ের পূর্তিতে সকাল থেকে শুভেচ্ছার জোয়ারে ভেসেছেন বিন্দ্রা। নিজে খুব একটা আবেগতাড়িত না হলেও, দেশবাসীর তার প্রতি আবেগ এখনও ১৩ বছর পূর্বের মতই রয়েছে।