- Home
- Sports
- Other Sports
- স্টাইল স্টেটমেন্ট থেকে ব্যক্তিগত জীবন, জানুন 'গোল্ডেন বয়' অচিন্ত্যর নানা অজানা তথ্য
স্টাইল স্টেটমেন্ট থেকে ব্যক্তিগত জীবন, জানুন 'গোল্ডেন বয়' অচিন্ত্যর নানা অজানা তথ্য
- FB
- TW
- Linkdin
কমনওয়েলথ গেমসে দেশকে তৃতীয় গোল্ড মেডেল এনে দিলে অচিন্ত্য শেউলি। হাওড়ার পাঁচলার ছেলের এই কৃতিত্বে গর্বিত গোটা বাংলা গোটা দেশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অচিন্ত্য শেউলিকে।
কমনওয়েলথে গেমসে সোনা জয়ের পর থেকেই অচিন্ত্য শেউলির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানার কৌতুহল বেড়ে গিয়েছে নেটিজেনদের। সেশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছে বাংলার ছেলে। শুভেচ্ছার জোয়ারেও ভাসছেন ভারতীয় ভারোত্তলক।
একজন ভারোত্তোলক হওয়ায় নিজের ফিটনেসের উপর খুবই জোর দেন অচিন্ত্য। প্রতিনিয়ত জিম যাওয়া থেকে শুরু অন্য়ান্য যাবতীয় ফিটনেস ট্রেনিং খুবই মনোযোগ সহকারে করেন অচিন্ত্য শেউলি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনি।
আমরা যদি অচিন্ত্য শেউলির সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল দেখি, ইনস্টাগ্রামে তার ছয় হাজারেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে এবং এখানে তিনি তার ভারোত্তোলন থেকে অনেক ছবি শেয়ার করেছেন। কমনওয়েলথে সোনা জয়ের পর থেকে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ঝড়ে গতিতে বাড়ছে।
এই ছবিতে অচিন্ত্য শেউলিকে ভারতীয় মহিলা ভারোত্তোলক সেনসেশন মীরাবাই চানুর সাথে পোজ দিতে দেখা যাচ্ছে। মীরাবাই চানু সম্প্রতি কমনওয়েলথ গেমসেও স্বর্ণপদক জিতেছেন। দুই সতীর্থ খেলোয়ারের মধ্যে সম্পর্কও বেশ ভালো।
অচিন্ত্য শেউলি নিজের ওয়ার্কআউট একাধিক ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে থাকেন। যেই ভিডিওগুলি তার ফ্যান ফলোয়ার্সরা খুবই পছন্দ করেন। তার ওয়ার্কআউট দেখে হাজার হাজার নেটিজেন বেশ মুগ্ধ হয়েছে। স্বর্ণপদক জয়ের পর তার জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে।
এখন এই ছবিতে নিজেই দেখুন, সাদা টি-শার্ট এবং কালো জ্যাকেটে অচিন্ত্য শেউলিকে কীভাবে স্টাইলিশ পোজ দিতে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিতে তাকে খুবই সুন্দর ও হ্যান্ডসাম দেখিয়েছে। সকলেই খুব পছন্দ করেছেন এই ছবিটি।
অচিন্ত্য জিম, ওয়ার্কআউট, অনুশীলনের পরে ভ্রমণ করতেও খুব পছন্দ করেন। যখনই তিনি সুযোগ পান, তার বন্ধু বা পরিবারের সাথে বেড়াতে যান। তার নান জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার ছবিও সোশ্যাল মি়ডিয়ায় শেয়ার করে থাকেন।
প্রসঙ্গত, অচিন্ত্য শেউলির জীবন সংগ্রামে পরিপূর্ণ। তার বাবা রিকশা চালাতেন এবং মা সেলাইয়ের কাজ করতেন। ২০১৩ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর অচিন্ত্য তার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ভারোত্তোলন ছেড়ে দেন। কিন্তু বড় ভাই অলোক অচিন্ত্যকে ভারোত্তোলক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করেন। অচিন্ত্যর বোনও রয়েছে। ভাইফোঁটার সময় এই ছবিটি বোনের সঙ্গে তোলা।
কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ের পর রাতারাতি তারকা হয়ে উঠেছেন অচিন্ত্য শেউলি। তবে তাতে গা না ভাসিয়ে নিজের পরবর্তী লক্ষ্য জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ভারোত্তোলক। অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন পর্বের জন্য নিজেকে তৈরি করা ও অলিম্পিকে যাওয়াই তার লক্ষ্য।