- Home
- World News
- International News
- সোশ্যাল সাইটে করোনা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ট্যুইটার ও ফেসবুক
সোশ্যাল সাইটে করোনা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ট্যুইটার ও ফেসবুক
- FB
- TW
- Linkdin
গত ২৪ ঘণ্টায় মার্কিন মুলুকে করোনার বলি হয়েছে ১ হাজার ২৬২ জন। জন হফকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে মার্কিন মুলুকে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা দেড় লক্ষ পার করেছে। আর এই পরিস্থিতিতেই করোনা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট সাময়িক ভাবে ব্লক করে দিল ফেসবুক ও ট্যুইটার।
গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর খড়্গহস্ত হতে দেখা গিয়েছে ফেসবুক,ট্যুইটারকে। এবার একেবারে করোনা বিষয়ক একটি ভুয়া ভিডিও প্রচারের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্যুইটার।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের করা পোস্টটি ভয়ানকভাবে বিভ্রান্তিমূলক থাকায় তা তুলে নিয়েছে ফেসবুকও। এবারই প্রথম ফেসবুকের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পোস্ট করা কোনো কনটেন্ট সরিয়ে দেওয়া হলো। এটা তাদের করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী বলে জানান হয়েছে।
কিন্তু কী ছিল সেই পোস্টে? জানা যাচ্ছে, ওই ভিডিওটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমক ফক্স নিউজকে দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি সাক্ষাৎকার। যেখানে ট্রাম্প দাবি করেন, এবার স্কুলগুলি খুলতে হবে। মার্কিন শিশুরা করোনার বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে।
এই বার্তাটিকে কোভিড-১৯ বিষয়ক ভুয়ো তথ্য বলে চিহ্নিত করেছে ট্যুইটার। একটি বিবৃতিতে সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই অ্যাকাউন্টের মালিককে নিজের করা এই ভুল ট্যুইটটি অ্যাকাউন্ট থেকে সরাতে হবে, তার পরেই এই অ্যাকাউন্ট তিনি পুনরায় ব্যবহার করতে পারবেন।
পরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে ট্যুইটার জানায়, ভিডিওটি ডিলিট করা হয়েছে। ফলে ট্রাম্পের এই অ্যাকাউন্টও পুনরায় সক্রিয় হয়েছে।
করোনা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর জন্য মার্কিন মুলুকে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ‘টিম ট্রাম্প’কে দায়ী করা হয়েছে।
ট্রাম্পের প্রচার পারিষদ কোর্টনি প্যারেল্লার অবশ্য দাবি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য অপপ্রচার হয়েছে। তিনি বলতে চেয়েছিলেন, শিশুদের করোনা তুলনামূলকভাবে কম ধরা পড়ছে।
একই সঙ্গে সিলিকন ভ্যালিকে একহাত নিয়েছেন কোর্টনি । তাঁর কথায় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি আদৌ সত্যের ধারক বাহক নন।তবে এ নিয়ে হোয়াইট হাউসের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
গত মাসে ট্যুইটারের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়রের অ্যাকাউন্ট করোনাভাইরাস ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে ভুয়া তথ্যের কারণে সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়োপোলিসে পুলিশের হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার পর বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীদের হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘লুটপাট চালালে গুলি শুরু হবে।’ ট্যুইটটি সহিংসতায় উস্কানিমূলক উল্লেখ করে ট্য়ুইটার কর্তৃপক্ষ সেটি সতর্কবার্তা দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল।
করোনা আবহে এর আগেও কয়েকবার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। ভোটপ্রচার, প্রতিবাদ, করোনার ভুয়ো তথ্য এই তিন বিষয়ে ট্রাম্পের পোস্ট থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ফেসবুক ও ট্যুইটারের স্পষ্ট বার্তা, কোনওরকম বিভ্রান্তিকর, অসত্য, বিদ্বেষমূলক তথ্য পোস্ট করা যাবে না। তা করলেই সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর সেই গেরোতেই বারবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে বিপাকে পড়ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।