- Home
- World News
- International News
- বিদেশী ছাত্রদের ভিসা বাতিল নিয়ে সরগরম আমেরিকা, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা হার্ভার্ড-এমআইটির
বিদেশী ছাত্রদের ভিসা বাতিল নিয়ে সরগরম আমেরিকা, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা হার্ভার্ড-এমআইটির
- FB
- TW
- Linkdin
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে ট্রাম্প প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিরুদ্ধে যৌথভাবে মামলা দায়ের করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজি (এমআইটি)। বুধবার বোস্টনের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছেন। করোনা ভাইরাসের মহামারিতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা সচল রাখতে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় গত ৬ জুলাই ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) একটি বিবৃতি প্রকাশ করে । এতে বলা হয়, যেসব বিদেশী শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পাবে তাদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে। অন্যথায় তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ফেরত পাঠানো হবে। মূলত এই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় ও এমআইটি।
মামলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ওই ঘোষণাকে বেআইনি আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশ স্থগিতের আবেদন জানানো হয়েছে।
গত মার্চ মাসে আইস এক নির্দেশনায় বলেছিল, মহামারির সময়ে বিদেশি শিক্ষার্থীরা সশরীরে উপস্থিত না হয়েও ক্লাস করতে পারবে এবং এই কারণে তাদের আমেরিকার ভিসার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি শিক্ষার্থীদের এফ-১ ভিসা দেওয়া হয়। কিন্তু যেসব বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে চলবে তাদের বিদেশি পড়ুয়াদের এফ-১ ভিসা দেওয়া হবে না বলে আদেশ জারি করে মার্কিন প্রশাসন। সেই সঙ্গে ওই বিদেশি পড়ুয়ারা আমেরিকায় প্রবেশের সুযোগও হারাবে। যা মেনে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
৬ জুলাই ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) জানিয়েছে, আসন্ন ফল সেমিস্টার থেকে আমেরিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি পুরোপুরি অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করে, তাহলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আমেরিকা ত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া সেখানে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরও ভিসা দেওয়া হবে না।
হার্ভার্ড-এমআইটির দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, নতুন নির্দেশনায় লাখো শিক্ষার্থীর আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ফেডারেল আদালতে দায়ের করা এ মামলায় বলা হয়েছে, আসন্ন সেমিস্টার শুরু হওয়ার আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিভার্সিটি বদল করার সুযোগ নেই। এতে অনেকেই দেশটিতে শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের বৈধ ভিসা হারাবে। এ ছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরে যাওয়া ব্যয়বহুল, অবাস্তব এবং অনিরাপদ বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে কমপক্ষে দশ লক্ষ বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।
আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অনেক বাধা পার হতে হয়। নানা যাচাই-বাছাইয়ের পর শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ পেয়ে থাকে। আর মার্কিন আইনে অনলাইন-কোর্সের জন্য আমেরিকায় আসা ও অবস্থান করাটা নিষিদ্ধ। এই বিষয়টিকেই এখন কাজে লাগাচ্ছে আইস।