- Home
- World News
- International News
- আমেরিকায় এবার করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে প্লাজমা থেরাপিতে, চাপের মুখে জরুরি অনুমোদন ট্রাম্প প্রশাসনের
আমেরিকায় এবার করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে প্লাজমা থেরাপিতে, চাপের মুখে জরুরি অনুমোদন ট্রাম্প প্রশাসনের
- FB
- TW
- Linkdin
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্লাজমা থেরাপির ব্যবহার শুরু হয়েছে ভারত সহ অনেক দেশেই। করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজমা নিয়ে তা দেওয়া হচ্ছে আক্রান্ত রোগীর শরীরে। সাধারণ ক্ষেত্রে আশঙ্কাজনক রোগীদের ক্ষেত্রে এই থেরাপির ব্যবহার হচ্ছে।
এবার আমেরিকাতেও জরুরি ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপির অনুমতি দেওয়া হল। করোনার প্রকোপে ইতিমধ্যে আমেরিকায় ১ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর হয়েছে। তাই কিছুটা চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
সামনে নভেম্বর মাসে আমেরিকায় নির্বাচন। দেশে করোনা রুখতে ট্রাম্প প্রশাসন ব্যর্থ, এমনটাই অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। করোনার দাপটে আমেরিকার অর্থনীতিও দিন দিন ধসে পড়ছে। এই অবস্থায় চাপে পড়েই ট্রাম্পের নির্দেশে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই অনুমতি দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন এই প্লাজমাতে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবডি থাকে, যা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে কাউকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে।
ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “কোভিড ১৯ আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে কাজে দেবে এই থেরাপি। এই থেরাপিতে ঝুঁকির থেকে বেশি সাফল্যের আশা থাকাতেই একে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এ ধরনের চিকিৎসার মাধ্যমে মৃতের হার ৩৫ শতাংশ কমে যাবে। মাত্র একদিন আগেই অবশ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ ব্যাহত করছে এফডিএ।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আমি এটাই খুঁজছিলাম। এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দিতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। তিনি দাবি করেন, চিনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের এই যুদ্ধে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।
প্লাজমা চিকিৎসাকে একটি শক্তিশালী থেরাপি হিসেবে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন লোকজনকে তিনি প্লাজমা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত কয়েক মাসের সংগ্রহীত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে প্লাজমা থেরাপি অনেকাংশেই নিরাপদ। ফলে অনেক দেশই ইতোমধ্যেই করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা ব্যবহার শুরু করেছে।
তবে হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য অ্যান্থনি ফাউচির মতো বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এই গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
এই থেরাপির একটা পার্শপ্রতিক্রিয়া রয়েছে বলেও জানিয়েছেন অনেক চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী। নিউ ইয়র্কের লেনক্স হিল হাসপাতালের পালমোনারি স্পেশ্যালিস্ট লেন হরোভিটজ জানিয়েছেন, “প্লাজমা হয়তো কাজ করতে পারে। যদিও এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তার প্রমাণ পাওয়া বাকি রয়েছে। কিন্তু যাঁরা গুরুতর অসুস্থ তাঁদের সুস্থ করে তোলার জন্য এই থেরাপি ব্যবহার করা যায় না।” তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যদি এই থেরাপি করা হয় তাতে কোনও আক্রান্তের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে।
এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এফডিএ নির্দেশ দেওয়ার পরে ইতিমধ্যেই আমেরিকায় ৭০ হাজারের বেশি রোগীর শরীরে প্লাজমা থেরাপির ব্যবহার করা হয়েছে।
প্লাজমা চিকিৎসা এমন এক পদ্ধতি, যেখানে করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পর তার দেহ থেকে প্লাজমা নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেওয়া হয়। এতে করে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।