- Home
- World News
- International News
- যুদ্ধবিমান-কপ্টার-সাঁজোয়া গাড়ি ফেলে গেল মার্কিনিরা - সবই কি তালিবান দখলে, দেখুন ছবিতে ছবিতে
যুদ্ধবিমান-কপ্টার-সাঁজোয়া গাড়ি ফেলে গেল মার্কিনিরা - সবই কি তালিবান দখলে, দেখুন ছবিতে ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
মার্কিন সেনা কাবুল ত্যাগ করার পর দেখা গিয়েছে তালিবান সেনাদের মার্কিন চিনুক হেলিকপ্টার ঘেঁটে দেখতে। এছাড়াও বেশ কিছু যুদ্ধবিমান এবং সাঁজোয়া যান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বামনবন্দর জুড়ে। আর রয়ে গিয়েছে এবং একটি উচ্চ প্রযুক্তির রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
সবগুলিকেই অস্ত্রবিহীন (Demilitarised) বা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি। তিনি জানিয়েছেন হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, প্রায় ৭৩টি এয়ারক্র্যাফ্টকে গত দুই সপ্তাহ ধরে অকেজো করেছে মার্কিন সেনা সদস্যরা। তিনি আরও বলেন, 'সেই বিমানগুলি আর কখনও উড়বে না, আর কেউ সেগুলি পরিচালনা করতে পারবে না।'
তবে, কাবুল বিমানবন্দরে মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত সক্রিয় ছিল ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সি ব়্যামস (C-RAMS)। মার্কিন সামরিক বিমান ওড়ার সময় আইআইস-এর রকেট হামলার আশঙ্কা ছিল। তাই, একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চালু ছিল সেই ব্যবস্থাটি। জেনারেল ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, মার্কিন সৈন্যদের আফগানিস্তানে শেষ কাজগুলোর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই সি-ব়্যামস (কাউন্টার রকেট, আর্টিলারি এবং মর্টার সিস্টেম) ব্যবস্তাকে অকার্যকর করা।
ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটিকে অসামরিকিকরণ করা হয়েছে। এটি আর কখনও ব্যবহার করা যাবে না। প্রথমে ব্যবস্থাটিকে একেবারে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার কথ ভাবা হয়েছিল। ভবিষ্যতে যাতে বিমান চলাচলের জন্য বিমানবন্দরটি ব্যবহারযোগ্য থাকে, সেই কথা ভেবে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এছাড়াও, আমেরিকান সৈন্যরা ২৭টি হামভি গাড়ি নিষ্ক্রিয় করেছে। যাতে সেগুলো আর কখনও ব্যবহার করা না যায়। এছাড়া মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তানে ফেলে গিয়েছে প্রায় ৭০টি এমআরএপি (MRAP) সাঁজোয়া কৌশলগত যান। যার সম্মিলিত মূল্য ১০ লক্ষ ডলারেরও বেশি।
ম্যাকেঞ্জি আরও বলেছেন, সোমবার প্রায় সারাদিন ধরেই কাবুল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের উপর দিয়ে চক্কর কেটেছে মার্কিন বায়ুসেসেনার ড্রোন। একেবারে শেষ সি-১৭ কার্গো বিমানটি না ওড়া পর্যন্ত আকাশ থেকে তারা কড়া নজর রেখেছিল। কারণ, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইসলামিক স্টেটের সম্ভাব্য হামলার হুমকি ছিল।
মঙ্গলবার সকালেই অবশ্য কাবুল বিমানন্দরে থাকা আফগান সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিমান পরখ করতে দেখা গিয়েছে তালিবান সদস্যদের। বিমানের ককপিটে দেখা গিয়েছে তাদের। বিমান থেকে নেমে আসতে দেখা গিয়েছে তাদের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকেও।
সেইসঙ্গে কাবুল বিমানবন্দরের সম্পূর্ণ দখল নিয়েছে তালিবান। এদিন বিমানবন্দর থেকেই সাংবাদিক সম্মেলন করে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। যে বিমানবন্দরে সোমবার পর্যন্ত পাহারা দিতে দেখা গিয়েছিল মার্কিন সেনাকে, সেখানেই এখন দেখা যাচ্ছে সশস্ত্র তালিবান যোদ্ধাদের।