- Home
- World News
- International News
- কালো মানুষেদের কাছে 'ত্রাতা' কমলা হ্যারিস, মার্কিন মিডিয়ার কাছে 'মহিলা ওবামা'
কালো মানুষেদের কাছে 'ত্রাতা' কমলা হ্যারিস, মার্কিন মিডিয়ার কাছে 'মহিলা ওবামা'
- FB
- TW
- Linkdin
দ্যা ট্রুথস উই হোল্ড- এই বইতেই নিজের জীবনের কিছু কথা আলোচনা করেছেন মার্কিন ভোটযুদ্ধে ভাইস ডেমোক্র্যাট দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমালা হ্যারিস। আর সেখানে সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন ২০১৬ সালের ভোটের ফল প্রকাশের কথা। সেদিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয় পেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আর সেই দিনই তাঁর এক বন্ধুর ছেলে তার কাছে নিজের দঃখ উজাড় করে বলেছিল এই কিছুতেই ভোটে জিততে পারে না। সেই ছবি আজও বর্তমান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্যাতিত মানুষরা রীতিমত আঁকড়ে ধরেছেন কমালা হ্যারিসকে।
কমলা হ্যারিসের জীবনে প্রথম তকমাটিও রীতিমত জরুরি। আর তারসঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে রয়েছে তাঁর রাজনৈতিক জীবন। ২০১৬ সালে প্রথম সেনেটর হন তিনি। তিনি ছিলেন প্রথম দক্ষণএশিয় আমেরিকান সেনেটর।
তবে ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশালীন মন্তব্যের মুখে পড়তে হয়েছে কমলা হ্যারিসকে। ন্যাস্টি ও ম্যাড উওম্যান বলেছেন ট্রাম্প তাঁকে।
কমলা হ্যারিসের কাছেই আশ্রয় খুঁজছে মার্কিন নিবার এশিয় ও আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষরা। যা রীতিমত স্পষ্ট হচ্ছে ডেমোক্র্যাটদের মিছিলগুলিতে।
ক্যালিফর্নিয়া প্রশাসনে কমলা হ্যারিস 'টপ কপ নামে' পরিচিত। আইন আদালত গুলে খাওয়া এই মহিলা জীবনের দীর্ঘসময় লড়াই করেছেন নারী ও শিশুদের অধিকারের জন্য।
বর্ণবিদ্বেষ, ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার- এই আন্দোলনের আবহেই হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর তাতে কিছুটা হলেও বেশি সুবিধে পাবেন কমলা হ্যারিস। তেমনই দাবি করেছেন ওদেশের ভোট বিশেষজ্ঞরা।
কমলা হ্যারিসের মা ছিলেন ভারতী। আর বাবা ছিলেন জামাইকার বাসিন্দা। পরবর্তীকালে বিচ্ছেদ হয়েগেলেও ই দুই বর্ন, দুই রং আর দুই জাতির উত্তারাধিকার তিনি। আর সেই সূত্রের তিনি মার্কিন নিবাসী কালো মানুষদের অনেকটাই কাছের।
আর সেই কারণেই কমলা হ্যারিসকে ঘিরে রীতিমত আশায় বুধবাঁধছেন মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী এশিয় আমেরিকানরা।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম তাঁর নামের আগে মহিলা ওবামা জুড়ে দিলেও তাতে রাজি নন কমলা হ্যারিস। তিনি বলেছেন নিজের দক্ষতা আর কাজ দিতেই ভোট যুদ্ধে জয় পেতে চান তিনি। যা লুকিয়ে রয়েছে তাঁর আত্মবিশ্বাসী হাসির মধ্যে।