- Home
- World News
- International News
- নার্সের কাজ ছেড়ে হলেন সেক্সি ইনস্টা মডেল, করোনা-দুনিয়ায় হইচই ফেললেন এই যুবতী
নার্সের কাজ ছেড়ে হলেন সেক্সি ইনস্টা মডেল, করোনা-দুনিয়ায় হইচই ফেললেন এই যুবতী
করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবে অনেক প্রশিক্ষণরত নার্সকেই পূর্ণসময়ের জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে যাঁরা এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন, তাদের ফের পুরোনো পেশায় ফেরার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। আর এই সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন এক মার্কিন নার্স। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময়ই তিনি নার্স-এর কাজ ছেড়ে পুরো সময়ের জন্য ইনস্টাগ্রাম ব্যক্তিত্ব এবং মডেল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলেন। নগ্ন, অর্ধনগ্ন, কামোদ্দীপক ছবিতে ছয়লাপ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, আর ভক্তের সংখ্যা শুধু ইনস্টাগ্রামেই ১২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। চিনে নেওয়া যাক এই আলোড়ন ফেলা মহিলাকে -
- FB
- TW
- Linkdin
নাম স্নো ব্ল্যাক। ২৭ বছরের এই কৃষ্ণাঙ্গ ইনস্টাগ্রাম মডেল ও ব্যক্তিত্ব থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া প্রদেশের আটলান্টায়। এর আগে, স্নো একটি পেডিয়াট্রিক কেয়ার হোমে নার্স হিসাবে কাজ করতেন।
স্নো জানিয়েছেন নার্সের কাজ করাটা বিশেষ করে তিনি যে ছোট শিশুদের দেখাশোনা করতেন, সেই কাজটি তার বেশ পছন্দ ছিল। কিন্তু, একই সঙ্গে তা তার মনের উপর খুব চাপ ফেলছিল। কারণ শিশুদের মরতে দেখাটা অত্যন্ত কষ্টকর।
সম্প্রতি তাঁর এক অত্যন্ত পছন্দের রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর মন এতটাই ভেঙে যায়, যে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তিনি নার্সিং-এর কাজ আর চালিয়ে যেতে পারবেন না এবং ছেড়েও দেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ডাক্তার ও নার্সদের মনের উপর দিয়ে কী পরিমাণ ঝড় চলে তার কথা কেউ বলে না।
কিন্তু, নার্স থেকে কীভাবে সেক্সি ইনস্টাগ্রাম মডেল হয়ে উঠলেন তিনি? স্নো জানিয়েছেন নার্স থাকাকালীনই ইনস্টাগ্রামে সেক্সি ছবি পোস্ট করা ছিল তাঁর নেশা। কাজেই নার্স থেকে ইনস্টা মডেল হওয়াটা বেশ সহজ রূপান্তর ছিল।
এতে করে তাঁর মনের চাপই যে শুধু কমেছে তা নয়, কমেছে পকেটের চাপও। নার্সের কাজ করে প্রতি ঘন্টা তিনি উপার্জন করতেন ২৮ ডলার। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় মডেলিং করে তিনি মাস গেলে ছয় অঙ্কের বেতন আদায় করেন।
স্নো ব্ল্যাক-এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবিগুলি অবশ্যই 'থং বিকিনি'তে তার আঁটসাঁট নিতম্বের ছবি। স্নো জানিয়েছেন এইরকম অবিশ্বাস্য সুডোল শরীর তৈরির জন্য তাঁকে জিমে অনেকটা সময় দিতে হয়েছে। শরীরে কোথাও তিনি প্লাস্টিক সার্জারি করাননি। আর তাঁর নিতম্বের মাংসপেশীই তাঁর ভক্তদের সবচেয়ে পছন্দ বলে দাবি তাঁর।
তবে এরকম অবিশ্বাস্য শরীর নিয়েও এখনও সিঙ্গল স্নো ব্ল্যাক। তিনি বলেছেন এর অন্যতম কারণ হল ইনস্টাগ্রাম মডেলদের ফলোয়ারদের দেখে পুরুষসঙ্গীরা ভয় পায়, ঈর্ষাবোধে ভোগে।
আবার তাঁর সঙ্গে এমন কিছু পুরুষেরও মোলাকাত হয়েছে যারা মনে করে স্নো সোশ্যাল মিডিয়ায় বড্ড বেশি শরীর দেখাচ্ছে। সম্পর্ক হওয়ার কয়েকদিন বাদেই তাঁরা চাপ দিয়েছেন স্নো-কে যাতে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মডেলিং বন্ধ করেন। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সেক্সি ছবি দেখেই তাকে ভালো লেগেছিল তাদের।
স্নো আরও জানিয়েছেন তাঁর অনুসারীরা সাধারণত তাঁর শরীরের কার্ভের ভরপুর প্রশংসা করেন। তাদের তিনি ভালবাসেন, ইন্টারনেট থেকে তিনি যা ভালবাসা পেয়েছেন তা দুর্দান্ত। কিন্তু, তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হন, কেউ তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করলে।
তবে ইনস্টাগ্রামে এইসব ছবি দেওয়ার কারণে তাঁর পরিবার তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় না। কারণ তাঁরা ধর্মপ্রাণ খ্রীষ্টান ক্যাথলিক, শরীর ঢেকেঢুকে রাখুন তিনি এমনটাই চান। কিন্তু, তাতে পরোয়া নেই স্নো-এর। তার পরিবারের কেউ তাঁর ছবি দেখে না, তিনি নিজেও চান না, তারা কেউ দেখুক। স্লো ব্ল্যাক তাঁর অনুরাগীদের নিয়েই থাকতে চান।
তবে এখনও তিনি সপ্তাহে চার দিন গির্জায় যান। প্রার্থনাও করেন। মডেলিং করার সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ আছে, তা তিনি মানেন না।
আর তাঁর মতো শরীর তৈরি করতে গেলে কী করতে হবে? স্নো বলেছেন, ওজন তোলা এবং স্প্রিন্টে মনোনিবেশ করতে হবে। সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াটা অত্যন্ত দরকারি। কাজ ছাড়ার পর যে মন খারাপ ছিল তা কাটাতেই তিনি মনপ্রাণ ঢেলে জিম করা শুরু করেছিলেন, কখন যে অজান্তেই এমন আঁটোসাঁটো শরীর তৈরি হয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারেননি।