- Home
- World News
- International News
- সঙ্গমের মাঝেই ঘাড়ে যুবতীর ছুরিকাঘাত - ইরানি জেনারেলের মৃত্যুর ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ, দেখুন
সঙ্গমের মাঝেই ঘাড়ে যুবতীর ছুরিকাঘাত - ইরানি জেনারেলের মৃত্যুর ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে (Las Vegas)। তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানি সামরিক নেতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই নেভাদার (Nevada) এক হোটেলে, এক পুরুষের উপর ছুরি নিয়ে হামলা করেছিল ওই ২১ বছর বয়সী যুবতী।
লাস ভেগাসের পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবতীর নাম নিকা নিকাউবিন (Nika Nikaubin)। 'প্লেন্টি অফ ফিশ' নামে একটি ডেটিং ওয়েবসাইট-এ ওই ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল নিকার। ডেটিং ওয়েবসাইটে আলাপের পর দুজনে গত ৫ মার্চ, হেন্ডারসন (Henderson) এলাকার 'সানসেট স্টেশন হোটেলে' (Sunset Station Hotel) দেখা তাঁরা দেখা করতে সম্মত হয়েছিলেন।
হোটেলের ১৪তম তলায় একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁরা। ঘরের ভিতরে দুজনেই যৌনতায় মত্ত হয়েছিলেন। প্রথমেই নিকা ওই পুরুষটির চোখ বেঁধে দিয়েছিল। তারপর, ঘরের আলোও বন্ধ করে দিয়েছিল। এই অবধি ঠিকই ছিল। কিন্তু, কয়েক মিনিট পরই পুরুষটি, তাঁর ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেছিলেন।
চোখের বাঁধন খুলে তিনি দেখেছিলেন তাঁর ঘাড় থেকে রক্ত বের হচ্ছে, আর নিকার হাতে রক্তমাখা ছুরি। এরপরই তিনি চিৎকার করে উঠেছিলেন। নিকাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে, জরুরি নম্বরে ডায়াল করেন। পুলিশও জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর ফোন এসেছিল সানসেট স্টেশন হোটেল থেকে।
ইতিমধ্যে নিকা ঘর ছেড়ে দৌড়ে পালায়। পালানোর সময় অবশ্য সে হোটেলের কর্মীদের বলে, ঘরে একজনকে সে ছুরিকাঘাত করেছে। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে দাবি করেছিল, কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল সে। হত্যার উদ্দেশ্য তার ছিল না, ছুরি চালিয়েছিল পুরুষটিকে আহত করতে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিকা দাবি দ্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, ইরানে অন্যায় করেছে আমেরিকা। বিশেষ করে কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়েছে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে। তদন্তকারীদের সে আরও জানিয়েছে, 'গ্রেভ ডিগার' (Grave Digger) নামে একটি গান শুনে সে প্রতিশোধ নেওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিল।
হত্যার চেষ্টা এবং ব্যবসায়িক চুরির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে নিকা। তবে, ৬০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে সে জামিন পেতে পারে। এদিকে, এই ঘটনাটি জানাজানি হতেই ইরানের ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ডেট সেক্সের সময় নেওয়া এই প্রতিশোধের কথা সকলের মুখে মুখে ঘুরছে। আসলে, ইরানে জেনারেল সোলেইমানি দারণ জনপ্রিয় ছিলেন।
ইরানি জেনারেল সোলেইমানি এবং ইরাকি পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের (Iraqi Popular Mobilization Force) ডেপুটি কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিস (Abu Mahdi al-Muhandis) - দুজনকেই বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলায় হত্যা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump) এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমেরিকা দাবি করেছিল জেনারেল সোলেইমানি মার্কিন মুলুকে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর ইরান বহুবারই আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। তবে, সঙ্গমের সময় ছুরিকাঘাত, নিকা নিকোবিনের মতো প্রতিশোধের কথা মনে হয় ইরানের নেতারাও ভাবতে পারেননি।