- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- ঘুষের বিনিময়ে প্রার্থীপদ, ব্রাত্য ওবিসি নেতা - কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রায়গঞ্জে
ঘুষের বিনিময়ে প্রার্থীপদ, ব্রাত্য ওবিসি নেতা - কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রায়গঞ্জে
- FB
- TW
- Linkdin
শনিবার সরাসরি রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে রায়গঞ্জ আসনের দলীয় টিকিট পাইয়ে দেবার অভিযোগ তুললেন বিজেপির ওবিসি মোর্চার জেলা সহ সভাপতি মদন বিশ্বাস।
মদন বিশ্বাসের অভিযোগ, রায়গঞ্জ থেকে তাঁকেই প্রার্থী করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েই দুর্গাপূজোর পর থেকে বিভিন্ন দলীয় মিটিং, মিছিল ও সামাজিক কর্মসূচির জন্য তাঁকে অর্থ খরচ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাতে ননয় নয় করে তাঁর প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। সবটাই বিজেপি দলের জন্যই।
মদনের অভিযোগ, ভোটের সময় তাঁর কথা ভুলে গিয়েছেন দেবশ্রী। টিকিট দেওয়া হয়েছে, মাত্র দুমাস আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা শিল্পপতি কৃষ্ণ কল্যানীকে। অর্থের বিনিময়েই দেবশ্রী চৌধুরী তাঁকে রায়গঞ্জের প্রার্থী করেছেন বলে সরাসরি অভিযোগ করেছেন মদন বিশ্বাস। শুধু রায়গঞ্জ কেন্দ্রেই নয়, জেলার বাকি আসনগুলিতেও একই কাজ করেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এমনটাই দাবি করেছেন জেলার নেতা।
জেলা বিজেপিকে মন্ত্রীর এই হঠকারী কাজের খেসারত দিতে হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মদন বিশ্বাস। তাঁর মতে জেলার ৯ টি আসনের মধ্যে একটিতেও জিততে পারবে না বিজেপি। এই অবস্থায় মদন বিশ্বাস জানিয়েছেন রায়গঞ্জ আসন থেকে তিনি নির্দল হিসাবে নির্বাচনে লড়বেন।
তবে, দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে দলীয় টিকিট দেওয়ার অভিযোগ এই প্রথম উঠল না। এতদিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির সাধারণ কর্মিরা এই অভিযোগ তুলছিলেন। এবার বিজেপির জেলাস্তরের নেতা মদন বিশ্বার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে খোদদ জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীও, রায়গঞ্জ থেকে টিকিট না পাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে তাঁর একটি মোবাইল কথোপকথন বলে দাবি করা একটি অডিও রেকর্ডও ভাইরাল হয়েছে।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী তলিকা ঘোষণার পর থেকে জেলায় জেলায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তবে সবচেয়ে বেশি অশান্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার বিদেপি কর্মীরাই। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার ক্ষোভে চাকুলিয়া, ইসলামপুর, করনদিঘি, কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ শহরের জেলা কার্যালয়ে দলীয় কর্মীরা ইতিমধ্যেই ভাংচুর চালিয়েছে। যদিও ইটাহার ও করনদিঘি আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণাই করেনি বিজেপি।
দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের পাশাপাশি, এই অপছন্দের প্রার্থী তালিকার জন্য দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের নিশানা হয়েছেন মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীই। নেতা-কর্মী নির্বিশেষে সকলেই তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন। গত কয়েকদিনে জেলার প্রতিটি ব্লকেই বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের, মন্ত্রীর ছবি-ফ্লেক্স কালিমালিপ্ত করতে, অগ্নি সংযোগ করতে এবং জুতোর মালা পরাতে দেখা গিয়েছে।
সব মিলিয়ে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভের আগুনে এই জেলায় এখন অনেকটাই ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির। মদন বিশ্বাসদের মতো, নিচুতলার কর্মীদের নিয়ে কাজ করা নেতারা দলের বিরুদ্ধেই প্রার্থী হলে আরও বেকায়দায় পড়বে বিজেপি।