- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- 'চাইলে দিদি আমার মাথায় পা রাখতে পারেন', তৃণমূলের দেওয়াল লিখন নিয়ে কটাক্ষ মোদীর
'চাইলে দিদি আমার মাথায় পা রাখতে পারেন', তৃণমূলের দেওয়াল লিখন নিয়ে কটাক্ষ মোদীর
বাঁকুড়ার জনসভা থেকে আবারও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে প্রশ্ন তুললেন বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে। ভোট প্রচারে বাঁকুড়ায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিড়ে ঠাসা বাঁকুড়ার জনসভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃমমূল সুপ্রিমোকে চড়া সুরেই আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন চাইলে দিদি তাঁর মাথায় পা রাতে পারেন। লাথি মারতে পারেন। কিন্তু বাংলার উন্নয়নকে লাথি মারতে তিনি দেবেন না।
| Published : Mar 21 2021, 06:57 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
ভোট প্রচারে বাঁকুড়ায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিড়ে ঠাসা বাঁকুড়ার জনসভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃমমূল সুপ্রিমোকে চড়া সুরেই আক্রমণ করেন তিনি।
দুর্ণীতিম মুক্ত সরকারের ডাক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন চাইলে দিদি তাঁর মাথায় পা রাতে পারেন। লাথি মারতে পারেন। কিন্তু বাংলার উন্নয়নকে লাথি মারতে তিনি দেবেন না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন বাংলায় দিদির লোকেরা দেওয়া লিখনে তাঁর ছবি এঁকেছেন। সেখানে তাঁর মাথায় দিদির পায়ের ছবি আঁকা হয়েছে। দেওয়াল লিখনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁর মাথা নিয়ে ফুটবল খেলা হচ্ছে। এখানেই শেষ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন বাংলা ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে অপমান করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? জনসভা থেকেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাঁকুড়ার জনভায় প্রচুর মানুষের জনসমাগম হয়েছিল। যা নিয়ে রীতিমত উৎসাহিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেন এটি জনসভা শুরু আগের ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহ চরমে।
জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, বাংলার মানুষরা পরিবর্তনের জন্য মনে মনে প্রস্তুতি নিয়েছে। সভার ভিড়ই প্রমান করছে ২ মে দিদি যাচ্ছে, আসল পরিবর্তন আসছে। আসল পরিবর্তন বাংলার বিকাশ, এমন সরকার আনার জন্য যা গরিবের সেবা করবে।
এখন থেকে ২৫ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। সোনার সময়। ভ্রষ্টাচার মুক্ত সরকার তৈরির জন্য বাংলায় বিজেপি সরকার জরুরি। সরকার এসেই জাতীয় শিক্ষা নীতি লাগু হবে। যাতে নিজেদের ভাষায় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবে। জল জীবন মিশন লাগু হবে। আয়ুষ্মান ভারত লাগু হবে। হেলথ সেন্টার তৈরি হবে।
বিষ্ণুপুর টেরাকোটার জন্য বিখ্যাত। একদিকে স্থাপত্য ও পর্যটনের উন্নতি করা হবে। ডোকরা, বালুচরী শাড়ি আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এখানে টেরাকোটা বিশ্বের দরবারে জায়গা করে নিতে পারে।