'পুলিসের মারেই মৃত্যু বাম যুব নেতার', অস্বস্তি 'মমতা সরকারের', নিন্দায় সরব রাজনৈতিক মহল
First Published Feb 15, 2021, 12:10 PM IST
বাম যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযানে গিয়ে আহত ডিওয়াইএফআই নেতার মৃত্যু ঘিরে তোলপার রাজ্য রাজনীতি। সোমবার সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় মইদুল ইসলাম মিদ্যার। বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, পুলিসের লাঠির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে যুব নেতার। ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে বামেদের তরফে। রাজ্য সরকারের নিন্দায় সরব হয়েছে বাম-কং-বিজেপি নেতারা।

সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিম জানিয়েছেন, ‘৩১ বছরের ছেলের হঠাৎ কিডনি বিকল হয়ে গেল— এটা মারধর ছাড়া অন্য কোনও কারণে হতে পারে না। ইতিমধ্যে আমরা পুলিশকে সবটা জানিয়েছি। পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। একটা এফআইআরও নথিভুক্ত করা হয়েছে। আশা করছি, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে। আর তাতেই পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার করে সামনে আসবে।’

সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এটা একটা খুন। বাঁকুড়া গ্রামের ছেলে চাকরি চাইতে এসেছিলেন। বুকে-পিঠে- ঘিরে মেরেছে। সরকার তার ইতরতার সীমা ছাড়িয়েছে। খুনি সরকার। মানুষের কথা শোনার মতো কোনও সুযোগই রাখে না এই সরকার"।

কলতন দাশগুপ্ত বলেন, "জালিয়ান ওয়ালাবাগের মতো ঘটনা। চাকরি চাইতে গিয়ে কলকাতার রাস্তায় খুন হতে হয়েছে প্রশাসনের হাতে"।

একই সুর কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানের গলাওতেও। তিনি বলেন, 'এই সরকার এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে কেউ প্রতিবাদ করতে পারবে না। একটা গণআন্দোলনকে দমন করতে পুলিশ যে নৃশংস আচরণ করেছে তা মানা যায় না।'

ঘটনার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছে বিজেপি নেতৃত্বও। 'যে কোনও রাজনৈতিক মৃত্যু দুঃখজনক।'-মন্তব্য বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার। ঘটনায় সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আর এক বাম যুব কর্মী বলছিলেন, ‘ডোরিনা ক্রসিংয়ের সামনে পুলিশ আমাদের মিছিল আটকানোর সাথে সাথেই লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। সঙ্গে ছোঁড়া হয় টিয়ার গ্যাস, জলকামান। সুস্থ, সবল মইদুলকে বিভৎসভাবে মারে পুলিশ। ও রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। আমরা এ ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।’

সকালে মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিস মর্গে। সেখানে ময়না তদন্তের পর যাতে দেহ বাম নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই দাবি জানানো হয়েছে। বিকেলে এসএফআই ও ডিওয়াইএপআইয়ের দফতরে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বের তরফে। তারপর ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা ঠিক করা হয়ে বলে জানানো হয়েছে বাম নেতৃত্বের তরফে।

ভোটের মুখে এমনিতেই একের পর এক দলবদলে সমস্যা বাড়ছিল শাসক দলের। তারউপর পুলিসের লাঠির আঘাতে বাম যুব নেতার মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়বে বলেই মত, রাজনৈতিক মহলের।
Today's Poll
অভিভাবক হিসাবে আপনার সন্তানের জন্য অনলাইনে কোন ক্লাসের এডুকেশনাল কনটেন্ট পেতে চান ?