- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- Municipal Election: প্রচারে বাড়তি সময় পেতেই চনমনে তৃণমূল-বাম-বিজেপি প্রার্থীরা, দেখুন ছবি
Municipal Election: প্রচারে বাড়তি সময় পেতেই চনমনে তৃণমূল-বাম-বিজেপি প্রার্থীরা, দেখুন ছবি
পুরভোট পিছতেই প্রচার অনেকটাই সময় হাতে পেতেই চনমনে বিধানগরের প্রার্থীরা। রবিবার ছুটি দিনে বিধাননগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচারে নামলেন শাসক দল এবং বিরোধী দলের প্রার্থীরা। বিধাননগর ৩৩ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রচারে নামলেন তৃণমূল প্রার্থী বাণীব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায়। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী সঞ্জয় বিশ্বাস এবং বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে রাস্তায় নামলেন দিলীপ ঘোষও। চলুন দেখে নেওয়া যাক এদিনের প্রচারের একাধিক মুহূর্ত।
- FB
- TW
- Linkdin
রবিবার বিধাননগর ৩৩ নাম্বার ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বাণীব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন সকালে সল্টলেকের এফ ই ব্লকে পায়ে হেটে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যে প্রচারের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ রয়েছে তা মেনেই প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী বাণীব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায়।
পুরভোট পিছতেই রবিবার ছুটি দিনে বিধাননগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচারে নামলেন শাসক দলের প্রার্থীরা। বিধাননগর ৩৩ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রচারে নামলেন তৃণমূল প্রার্থী বাণীব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাঁর দাবি ভোটের দিন পিছিয়ে যাওয়ার ফলে আরো বেশি করে দুবার তিনবার লোকের কাছে যেতে পারবো।কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ার ফলে প্রচারের ধারা ব্যস্ততা সেটাকে একটু কম করতে হবে কিন্তু ৫০ শতাংশ জারি রাখতে হবে।
বিধাননগর ৩৩ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রচারে এসে তৃণমূল প্রার্থী বাণীব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায়, আরও বলেন, নিত্য নতুন নতুন কাজ মাথার মধ্যে আসবে এবং সেই সব কাজ করতে হবে।প্রতিটি কাজ হবে মানুষের স্বার্থে ।এই ওয়ার্ড কে আমি কথা দিতে পারি পাঁচ বছর যদি আমি থাকি এখানে তবে এই পাঁচ বছরে এই ওয়ার্ড বিধান নগরে সেরা ওয়ার্ড হিসাবে দেখাতে পারব।
বিধাননগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচারে নামলেন এদিন বিজেপি প্রার্থী সুস্মিতা সে। তাঁর প্রচারে দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই বাগুইয়াটি জোড়া মন্দির থেকে প্রচার শুরু করেছেন। এরই সঙ্গে কমবেশি চলছে চায় পে চর্চাও। কোভিড পরিস্থিতিতে এমনিতেই পিছিয়েছে পুরভোট। তার জেরে কমসংখ্যক অনুগামী-বিজেপি কর্মীদের নিয়েই এদিন প্রচারে নামলেন দিলীপ ঘোষ।
পুরভোটের ইস্যুতে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, পুরভোটের ইস্য়ুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমরা দাবি করেছিলাম, কমিশন আধাআধি মেনেছে। সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করেছে। বাস্তব পরিস্থিতি যা হয়েছে করোনার প্রকোপ সেটা দেখে করা উচিত। যতক্ষণ না নর্মাল হচ্ছে, মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারছে, ততক্ষণ ভোট করা উচিত নয়। কোনও নিদিষ্ট তারিখ করা উচিত নয়, যখন পিছোচ্ছে তখন একমাস পিছোনো উচিত। সরকার কী বলতে পারবে ১৫ দিনে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।'
উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি পুরভোট হওয়ার কথা ছিল বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরে। তবে এবার কোভিড পরিস্থিতির কথা ভেবে রাজ্যে এবং সকল দলের সঙ্গে মত নিয়ে ২২ জানুয়ারির বদলে ওই ৪ কেন্দ্রে ১২ ফেব্রুয়ারি পুরভোটের ঘোষণা করেছে কমিশন। এরপর স্বাভাবিকভাবেই হাতে অনেকটা সময়। তাই এদিন প্রচারে বেরিয়ে ঝড় তুললেন সুস্মিতা-দিলীপরা।
কোভিড পরিস্থিতিতে লাগাম ছাড়া অবস্থা উত্তর ২৪ পরগণা জেলায়। তবে গত বৃহস্পতিবারই রাজ্যের তরফে হাইকোর্টে ৪ পুরভোট কেন্দ্র বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়িতে সংক্রমণ এবং ভ্যাকসিনেশনের যাবতীয় তথ্যের হলফনামা জমা নেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বিধানগরে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবুও কোভিড সতর্কতায় সামাজিক দূরত্বে মেনে এদিন রাস্তায় প্রচারে নামলে ঘরের খুব কাছে গেলেন না রাজনৈতিক দলের নেতা-প্রার্থীরা।
রবিবাসরীয় প্রচারে বিধাননগর পৌরনিগমের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে নামলেন বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থী সঞ্জয় বিশ্বাস। এদিন দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে সকলের থেকে ভোটের অনুরোধ জানালেন সিপিআইএম প্রার্থী সঞ্জয় বিশ্বাস।
রবিবাসরীয় প্রচারে বিধাননগর পৌরনিগমের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থী সঞ্জয় বিশ্বাস স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার কারণে, মানুষের সঙ্গে রয়েছে যোগাযোগ রয়েছে। তবে জনসংযোগ মজুবত করতেই এদিন জোরদার প্রচার চালান তিনি।
রাজ্যে ইতিমধ্য়েই দুই কোভিড বর্ষে খারাপ অবস্থায় জেলায় জেলায়। বাধ যায়নি বিধাননগরের বিস্তূর্ণ এলাকা। তবে কোভিড ভয়াবহ সময়গুলিতে রোজগার হারানো অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন তিনি বলে দাবি বামেদের। করোনা আক্রান্ত মানুষদের পাশে রেড ভলেন্টিয়ার হিসাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাই মানুষকে পাশে পাবেন এবং মানুষ তাকে নির্বাচিত করবে এমনটাই আশাবাদী সিপিআইএম প্রার্থী সঞ্জয় বিশ্বাস।