সংক্ষিপ্ত
কিংবদন্তি অভিনেতা শম্ভু মিত্র এবং তৃপ্তি মিত্রের কন্যা, রবিবার দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর বাড়িতে প্রয়াত হন। তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুসারে, তাঁর মৃত্যুর খবর কাউকে জানানো হয়নি, নিভৃতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পরেই খবর পান সকলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংবাদে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এই খবরটি অসংখ্য নাট্যপ্রেমীদের শোকস্তব্ধ করে দিয়েছে।
প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও থিয়েটার ব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্রের প্রয়াণে অভিনয় জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কিংবদন্তি অভিনেতা শম্ভু মিত্র এবং তৃপ্তি মিত্রের কন্যা, রবিবার দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর বাড়িতে প্রয়াত হন। তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুসারে, তাঁর মৃত্যুর খবর কাউকে জানানো হয়নি, নিভৃতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পরেই খবর পান সকলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংবাদে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এই খবরটি অসংখ্য নাট্যপ্রেমীদের শোকস্তব্ধ করে দিয়েছে।
শাওলি মিত্র সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার, বঙ্গ বিভূষণ এবং পদ্মশ্রীতে সম্মানিত হয়েছেন। যখন তিনি বেশ ছোট ছিলেন, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ ছবিতে অমল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও নাট্যকার ঋত্বিক ঘটকের জুক্তি তক্কো আর গপ্পোতেও অভিনয় করেছিলেন। তবে সেই ছোট্ট মেয়েটার তাঁর শেষ ইচ্ছেতেও যে বাবা শম্ভু মিত্রের সঙ্গে এতটা মিল থাকবে তা কেউ কখনও ভাবেনি।
২০২০ সালের নিজের ৭২ বছর বয়সে স্বজ্ঞানে তিনি তাঁর শেষ ইচ্ছাপত্রে সরকারিভাবে শীলমোহর লাগান। যেন কোনওভাবে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে যেন হাসপাতালে ভর্তী করা না হয়, তাঁকে যেন আর কোনও কষ্ট দেওয়া না হয়। শেষ সময়টুকু বাড়িতেই শান্তিতে কাটাতে চান তিনি। নিজের শেষ ইচ্ছা পত্রে তিনি উল্লেখ করেই বলেছেন যে, "আমার শেষ ইচ্ছাটুকুও আমার পিতাকে অনুসরণ করেই। মৃত্যুর পর যত দ্রুত সম্ভব আমার শরীরে সৎকার সম্পন্ন করা হয়। এই শরীরটির প্রদর্শন করার আমার যথেষ্ট সংকোচ, ফুলভারের কোনও প্রয়োজন নেই। অগোচরেই যেন শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়"
এই শেষ ইচ্ছাপত্রে তিনি তাঁর প্রিয় দর্শকদের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখে গেছেন, প্রচুর মিথ্যাা আমার উদ্দেশ্যে বর্ষিত হওয়া সত্ত্বেও আমি আমার পাঠক, আমার দর্শকদের থেকে যথেষ্ট ভালোবাসা, অসীম শ্রদ্ধা পেয়েছি। আর তা পেয়েছি বলেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্ম করার প্রেরণা পেয়েছি। আমার অন্তরে সেই ভালোবাসা আমার একান্ত আপন। মৃত্যুর পরেও যদি কোনও পথ থাকে সেই পথ চলার পাথেয় এই ভালোবাসা।
অভিনেতা গৌরব রায় চৌধুরী, যিনি কলকাতার বিশিষ্ট নাট্যদলের একজন অংশ ছিলেন, তিনি বিশিষ্ট নাট্যকার ব্যক্তিত্ব শাওলি মিত্র -কে স্মরণ করলেন। অভিনেতা গৌরব রায় চৌধুরী বলেন, “শাওলি মিত্র-র আকস্মিক মৃত্যুতে একটি সোনালী যুগের অবসান হল। থিয়েটারে ওঁনার অবদান অতুলনীয়। ওঁনার মৃত্যু আমাদের জন্য এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।”
আরও পড়ুন- প্রয়াত শাঁওলি মিত্র, ইচ্ছানুসারে সকলের অগোচরেই সম্পন্ন শেষকৃত্য