সংক্ষিপ্ত
পৃথিবীতে এমন একটি স্কুল রয়েছে, যেই স্কুলের ইউনিফর্ম হল সান্তার পোশাক। এই স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াশুনার পাশপাশি সান্তার পোশাকে সান্তা হওয়ার অভিনয় করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বড়দিন চলে গেলেও এই উৎসবের রেশ থেকে যায় নববর্ষ পর্যন্ত। আজও বাতাসে ভেসে আসছে মেরি ক্রিসমাসের সুর। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি, অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষরাও যীশুর জন্মদিন উদযাপন করতে মেতে উঠেছে। সেই সঙ্গে ছোটরা ক্রিসমাস ও তার পরবর্তী সময়ে সর্বদা সান্তা ক্লজের জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে পৃথিবীতে এমন একটি স্কুল রয়েছে, যেই স্কুলের ইউনিফর্ম হল সান্তার পোশাক। এই স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াশুনার পাশপাশি সান্তার পোশাকে সান্তা হওয়ার অভিনয় করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আমরা মিশিগানে অবস্থিত চার্লস ডব্লিউ হাওয়ার্ড সান্তা ক্লজ স্কুলের (Charles W. Howard of Santa Claus School) কথা বলছি, যেখানে মানুষকে গত ৮৫ বছর ধরে সান্তার হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই অনন্য বিদ্যালয়টি ১৯৩৭ সালে শুরু হয়েছিল, তখন থেকে আজ অবধি হাজার হাজার সান্তা এই বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং সারা বিশ্বে শিশুদের আনন্দ ও বড়দের দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জন্য কাজ করছে। এই স্কুলের নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে অনেক আগেই। এই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (Guinness Book of World Records) অনুসারে, এটি স্কুলের ধরণের মধ্যে সবচেয়ে অনন্য এবং প্রাচীনতম স্কুল। ২০২১ সালে, এই স্কুলটি তার ৮৫ তম বার্ষিকী উদযাপন করল।
এই অনন্য স্কুলটি একজন কৃষক শুরু করেছিলেন, এই স্কুলে শুধুমাত্র তারাই ভর্তি হন যারা মোটা এবং যাদের ভুড়ি রয়েছে। অনন্য এই বিদ্যালয়ে প্রতি বছর তিন শতাধিক শিক্ষার্থী পাস করে। এখানে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সান্তার মতো নাচ এবং জিঙ্গেল বেল গাইতে শেখানো হয়। সেই সঙ্গে লাল জামা পরে মাত্র ত্রিশ সেকেন্ডে সান্তার মতো তৈরি হওয়ার কৌশল শেখানো হয়।
এছাড়াও এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক কোর্স পরিচালনা করা হয়। এতে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা এবং নতুন বন্ধু বানানোর মতো বিষয়গুলো শেখানো হয়। জানলে অবাক হবেন যে এই স্কুলে পড়ুয়ারা এই স্কুলের প্রশংসা করতে ক্লান্ত হন না। এই স্কুলের মধ্য দিয়ে, অনেক সান্তা পাস করে, আমেরিকার বিভিন্ন কোণে আনন্দ ভাগ করতে যায়। বর্তমানে এই স্কুলের অধ্যক্ষ টম এবং হলি ভ্যালেন্ট বলেছেন, "আজও এই স্কুলে ভর্তির জন্য মানুষের লম্বা লাইন রয়েছে।"
আরও পড়ুন- আপনার প্রিয়জনকে পাঠান বড়দিনের বার্তা, দেখে নিন সেরা ১০ শুভেচ্ছা