সংক্ষিপ্ত

গবেষকরা বলছেন এক পায়ে দাঁড়াতে যাদের সমস্যা হয় তাদের মধ্যে মস্তিষ্কের রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে কি না তা নির্ধারণ করার একটি সহজ উপায় হলো এই পরীক্ষা।

এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁদের সারাদিনের সময়সূচি এতটাই ব্যস্ত যে তারা স্বাস্থ্য যত্নের টিপস পেলেও, তা বাস্তবায়িত করে উঠতে পারেন না। এ কারণে সময়ের আগেই অনেক রোগ গ্রাস করে। যাদের ওয়ার্ক শিডিউল (Work schedule) খুব ব্যস্ত বা কোন কারণে তারা তাদের স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে পারে না, তাদের ওজনও বাড়তে শুরু করে। করোনার এই যুগে মানুষের শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়ায় এই সমস্যা বাড়ছে। 

সুস্থ রয়েছেন বুঝবেন কী করে, খুব সহজ পদ্ধতি রয়েছে। এক পায়ে দাঁড়িয়ে (standing on one leg) পরীক্ষা করুন নিজের শরীরের সুস্থতা (Physical Fitness)। শুধু শরীর নয়। মানসিক স্বাস্থ্যও (Mental Fitness) পরীক্ষা করা যাবে এক পায়ে দাঁড়িয়ে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা (Exercise) করেন কিংবা শারীরিকভাবে একদমই ফিট তাদের জন্য বিষয়টি হতে পারে সহজ। এক পায়ে দাঁড়ানোও কিন্তু একটি শরীরচর্চা। যা খুব সহজেই যে কোনো স্থানে যে কোনো কাজের ফাঁকেই আপনি করতে পারবেন।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে, কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য এক পায়ে দাঁড়াতে পারলে বুঝতে হবে আপনার হৃদযন্ত্রসহ মোটের ওপর স্বাস্থ্য ভালো আছে। সমীক্ষকরা বলছেন যাঁরা এক পায়ে দাঁড়িয়ে তাদের ভারসাম্য ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। এক পায়ে দাঁড়ানোর সময় চোখ খোলা রাখতে হবে। যাঁরা এই পরীক্ষা করছেন তাদের পা উঁচু করে রাখার সর্বোচ্চ সময় ৬০ সেকেন্ড।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো আছে কি না তাও জানা যায় এক পায়ে দাঁড়ানোর মাধ্যমে। যদি আপনি একেবারেই এ ভঙ্গিতে দাঁড়াতে না পারেন কিংবা ভারসাম্য ধরে রাখতে না পারে তাহলে পারকিনসন্স রোগের ঝুঁকিও থাকতে পারে। তাই সাবধান হন। 

অন্যদিকে, এক পায়ে দাঁড়ানোর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। এটি ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করে। এক পায়ে অবস্থানের কারণে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়। এক পায়ে দাঁড়ানোর অভ্যাস আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এই ভঙ্গির কারণে আপনার কাঁধ প্রশস্ত হবে ও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

গবেষকরা বলছেন এক পায়ে দাঁড়াতে যাদের সমস্যা হয় তাদের মধ্যে মস্তিষ্কের রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে কি না তা নির্ধারণ করার একটি সহজ উপায় হলো এই পরীক্ষা।