সংক্ষিপ্ত

K K-র মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ব্যবস্থাপনায়।  অডিটোরিয়াম অসংখ্যা মানুষের ভিড় আর অকেজো এসি-কেই অনেকে দায়ি করেছেন গায়কের মৃত্যুর জন্য। সত্যিই কি এমন পরিবেশ কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য দায়ি হতে পারে? হার্ট অ্যাটাক নিয়ে বিস্তারিত জানালেন চিকিৎসক দিলীপ কুমার। 

জনপ্রিয় গায়ক কে কে-র অকাল মৃত্যু চমক দিয়েছে সকলকে। কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন তিনি। তারপর হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ব্যবস্থাপনায়।  অডিটোরিয়াম অসংখ্যা মানুষের ভিড় আর অকেজো এসি-কেই অনেকে দায়ি করেছেন গায়কের মৃত্যুর জন্য। সত্যিই কি এমন পরিবেশ কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য দায়ি হতে পারে? হার্ট অ্যাটাক নিয়ে বিস্তারিত জানালেন চিকিৎসক দিলীপ কুমার। 

১. কীভাবে কেউ বুঝবেন কেউ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছে?

যদি কারও শরীরের অস্বস্তি বোধ হয় কিংবা অতিরিক্ত ঘামতে থাকেন, তবে তাদের বুঝতে হবে এটা হার্টের সমস্যা। এক্ষেত্রে সময় নষ্ট করবেন না। কারণ প্রতিটি মিনিট গুরুত্বপূর্ণ। আকস্মিক মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে তৎক্ষণাত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। 

২. লাইভ কনসার্ট করার সময় এটি একজন শিল্পীর হার্টে কতটা চাপ সৃষ্টি হয়?

লাইভ কনসার্টের কারণে গায়কের অকাল মৃত্যু ঘটেনি। গান গাওয়া ব্যায়ামের একটি ফর্ম হিসেবে কাজ করে। যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। যাই হোক, চরম তাপ এবং অস্বস্তি শ্বাস কষ্টের কারণ হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। এমন সময় হৃদস্পন্দনে অনিয়মিত নিদর্শন, ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাধা এবং শেষ পর্যন্ত হঠাৎ কার্ডিয়াকে মৃত্যু হতে পারে। 

৩. দম বন্ধ করা অডিটোরিয়াম একজন শিল্পীর জন্য কতটা মারাত্মক হতে পারে?

যদি কেউ কোনও কাজ বা পারফরমেন্সের আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে, একটি জনাকীর্ণ স্থান বা অডিটোরিয়াম গুরুতর হতে পারে। এমনকী তাদের অবলিম্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, মাত্রা ২০ মিনিটের পার্থক্যের অনেক কিছু বদল হতে পারে। তাই সুস্পষ্ট লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন। 


৪. লাইভ কনসার্ট করা সময় একজন শিল্পীর সুস্থতার জন্য কেমন পরিবেশ থাকা উচিত?

যে কোনও অডিটোরিয়াম বা উন্মুক্ত স্থান যেখানে সঠিক ভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে, এমন স্থান যে কোনও পারফরম্যান্সের জন্য উপযুক্ত। 

৫. হার্ট অ্যাটাক হলে একজন শিল্পী কীভাবে নিজের জীবন বাঁচাতে সতর্কতা অবলম্বন করবেন? 

যদি কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়, তার চেস্ট কমপ্রেশন (প্রতি মিনিটে ১০০) হয় বা সিপিআর যদি ক্রিটিক্যাল হয় তাহলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার। এই ধরনের পরিস্থিতি ও ঘটনা এড়াতে ৪০ বছর বয়সে কার্ডিয়াক স্ট্যাটাসের জন্য স্ক্রীনিং শুরু করুন। পরিবারে করাও এমন রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সেক্ষেত্রে ৩০ বছর বয়সে স্ক্রীনিং শুরু করা উচিত। যদি কেউ হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সুস্পষ্ট লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে বিশ্রাম করুন। আর হার্টের অবস্থা জানতে ইসিজি করিয়ে নিন।  

আরও পড়ুন- চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বদল করুন খাদ্যাভ্যাস, এই তিনটি খাবার ভুলেও খাবেন না

আরও পড়ুন- সহকর্মীর সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে? সবার আগে এই পাঁচ বিষয় নিশ্চিত করুন

আরও পড়ুন- জীবনযাত্রায় এই কয়টি পরিবর্তন রক্ষা করবে Male Fertility সমস্যা থেকে, জেনে নিন কী কী