সংক্ষিপ্ত
সূর্যের আলো চোখের রেটিনাটাই নষ্ট করে দিতে পারে, এ কথা অনেকে হয়তো ভাবতেও পারেন না। এই সময়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, সূর্যের আলোয় জ্যোতিই কেড়ে নিতে পারে অতি বেগুনি রশ্মি।
প্রতিদিনই বাড়ছে রোদের তেজ। সকাল তেকেই দেখা মিলছে রোদের। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরমও। এই পরিস্থিতিতে বেলার দিকে বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে গেলেই যেন ভয় করছে। বাইরে বের হলেই গরমে পুড়ে যাচ্ছে গা। সন্ধের দিকে সামান্য বৃষ্টি হলেও তাতে খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। আর কাজের জন্য রাস্তায় বের হতেই হয়। কিছু করার নেই। এদিকে রাস্তায় বের হলেই মুখে রোদ পড়ছে। আসলে সব সময় তো আর ছাতা ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু, এভাবে মুখের মধ্যে রোদ পড়ার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে আপনার চোখের।
সূর্যের আলো চোখের রেটিনাটাই নষ্ট করে দিতে পারে, এ কথা অনেকে হয়তো ভাবতেও পারেন না। এই সময়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, সূর্যের আলোয় জ্যোতিই কেড়ে নিতে পারে অতি বেগুনি রশ্মি। আসলে সারাক্ষণ তো আর বাড়িতে বসে থাকা যায় না। বাইরে বের হতেই হয়। আর সেই সময়ই চোখে পড়ে রোদ এই কড়া রোদ সরাসরি চোখে পড়া মানে অতি বেগুনি রশ্মির বিকিরণের মুখোমুখি হওয়া। গরমকালে অতি বেগুনি রশ্মির বিরিকণ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এতেই বড় ক্ষতি দেখছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকরা বলছেন, “সব থেকে ভয় ছোটদের। শিশুদের চোখ ইউভি রশ্মি ছাঁকতে পারে না বলে তাদের রেটিনায় বেশি বিকিরণ পৌঁছায়। এই রশ্মির চোখে দীর্ঘকালীন প্রভাব আরও মারাত্মক। যার কারণে ক্যাটারাক্ট বাড়িয়ে রেটিনা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।”
আরও পড়ুন- মুসুর ডাল ভিজিয়ে না রেখেই রান্না করেন? শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ
এর থেকে বড়দেরও কিন্তু নিস্তার নেই। অতি বেগুনি রশ্মির বিকিরণ তিন ধরনের- ইউভি-এ, ইউভি-বি এবং ইউভি-সি। এর মধ্যে ইউভি-এ ও ইউভি-বি চোখের উপরিতলের কোষ-সহ কর্নিয়া ও লেন্সের দফারফা করতে পারে। অল্প সময়ে বেশি মাত্রায় ইউভি রশ্মি চোখে পড়লে কর্নিয়া ফুলে গিয়ে ‘ফটোকেরাটাইটিস’ হতে পারে। একেই চোখের সানবার্ন বলে।
ফটোকেরাটাইটিস-এর লক্ষণ :
চোখ লাল হয়ে যাওয়া
চোখ ভারী লাগা
অনবরত চুলকনো
চোখে বালির মতো কিছু অনুভূতি হওয়া
আচমকাই চোখ থেকে জল পড়া এর লক্ষণ।
এ থেকে বাঁচার উপায় ও চিকিৎসকের পরামর্শ :
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা এই সময়টায় এই অতি বেগুনি রশ্মির বিকিরণ সবচেয়ে বেশি হয়। এই সময়টায় রোদ এড়িয়ে যেতে পারলে ভাল।
না এড়াতে পারলে চোখে বড় আকারের সানগ্লাস দিন।
দিনে তিন-চার বার চোখে জলের ঝাপটা দিন।
স্কুল যাওয়া ও ফেরার পথে শিশুও যেন সরাসরি রোদের মুখে না পড়ে, সেই বিষয়ে সতর্ক হন।
আরও পড়ুন- ভুলেও এই ৫ রকম জল দিয়ে ওষুধ খাবেন না, ডেকে আনতে পারে মহা বিপদ
আরও পড়ুন- স্ট্র ছাড়া কোল্ড ড্রিঙ্কস খেতে পারেন না? বড় বিপদ ডেকে আনছেন