সংক্ষিপ্ত
দক্ষতার সঙ্গে ঘুমাতে পারে বা শান্তিমত গভীর নিন্দ্রা কম সময় ব্যায় করে ঘুমের অভাব পুরণ করেত পারে। আবার অনেক সময় অল্প ঘুমের মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলি পুরণ করতে পারে না।
বিশ্ব ঘুম দিবস (World Sleep Day)- পালন করা হয় প্রতিবছন ১৮ মার্চ। এবার বিশ্ব ঘুম দিবসের আগেই সামনে এল এক চমকপ্রদ তথ্য। কারণ এতদিন আপনি শুনে আসতেন যে, একজম পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ৮ ঘণ্টা (8 Hours) ঘুমই (Sleep)যথেষ্ট। কিন্তু গবেষকদের নতুন গবেষণা দাবি করা হয়েছে- এক ব্যক্তির কথক্ষণ ঘুমানোর প্রয়োজন রয়েছে তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির জেনেটিক্সের ওপর। গবেষণায় বলা হয়েছে ফ্যামিলিয়ান ন্যাচারাল শর্ট স্লিপ (FNSS)সহ এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা মাত্র ৬ ঘণ্টাই ঘুমান। কিন্তু তারপরেও দিনভর পরিশ্রম বা পুরো উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করার ক্ষমতা রাখেন।
সান ফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকদের মতে এলিট স্লিপার বা মানসিক স্থিতিসাপকতা ও নিউরোডিজেনারেটিভ অবস্থার প্রতিরোধের ক্ষমতা দেখায় যা স্নায়বিক রোগ প্রতিরোধের পথ নির্দেশ করতে পারে। এর মানে হল যে মস্তিষ্ক তার ঘুমের কাজগুলি কম সময়ে সম্পন্ন করতে পারে।
অন্য কথায় দক্ষতার সঙ্গে ঘুমাতে পারে বা শান্তিমত গভীর নিন্দ্রা কম সময় ব্যায় করে ঘুমের অভাব পুরণ করেত পারে। আবার অনেক সময় অল্প ঘুমের মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলি পুরণ করতে পারে না। গবেষকরা দেখিয়েছেন- ঘুম- এই ব্যাপারটা পরোপুরি পারিবার ভিত্তিক। তাঁরা পাঁচটি জিমোম চিহ্নিত করেছেন। যা ভালোভাবে ঘুমের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
নিউরোলডিস্ট লউ প্যাটাসেক বলেছেন, একটি পুরনো মতবাদ রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে প্রত্যেক মানুষের আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের কাজ প্রমাণ করেছে যে মানুষের ঘুমের পরিমাণ তাঁর জেনেটিক্সের ওপর নির্ভর করে। আর সেই কারণে প্রত্যেক মানুষের ঘুমের পরিমাণ আদালা আদালা হওয়ার বাঞ্ছনীয়। গবেষকরা অ্যালজাইমার রোগে আক্রান্ত ইঁদুরগুলির ওপর এই পরীক্ষা করে দেখেছেন বলেও জার্নাল আইসায়েন্স জানিয়েছে।
গবেষকরা দেখেছেন, যেসব ইঁদুরের জিন স্বল্প ঘুমে অভ্যস্ত সেগুলিও বংশ বিস্তার করতে পেরেছে। একাধিক ইঁদুর ছিল যাতে অ্যালজাইমার্সের প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেগুলির মস্তিষ্কে ডিমেনশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলমার্ক সমষ্টির অনেক কম বিকাশ হয়েছে। গবেষকরা তাদের পরীক্ষা সঠিক করার জন্য তারা একদল স্বল্প ঘুমানোর জিন ও কয়েকটি জিমেনশিয়া জিন ইঁদুরের ব্যবহার করেছিল। দলটি বিশ্বাস করে যে অন্যান্য মস্কিষ্কের অবস্থার অনুরূপ তদন্তগুলি যেসব ইঁদুরগুলি বেশি ঘুমাতে পারে তাদের সমতুল সুরক্ষা প্রদান করে। যা মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
মস্তিষ্কের সব রোগের ক্ষেত্রেই ঘুম একটি বড় সমস্যা। তবে এটা ঠিক যে ঘুম একটি জটিল কার্যকলাপ। একজন মানুষের ঘুম পড়ার জন্য আর ঘুম থেকে জেগে ওঠার জন্য মস্তিষ্কের অনেকগুলি অংশকে একসঙ্গে কাজ করে। কিন্তু যখন এই অংশগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন একজন মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে বাধ্য।
অন্যদিকে ঘুম নিয়ন্ত্রণের জৈবিক ভিত্তিগুলি বোঝার ফলে এমন ওষুধ সনান্ত করা যেতে পারে যা ঘুম সংক্রান্ত রোগগুলি থেকে নিরাময় পেতে সাহায্য করবে। উপরন্তু স্বাস্থ্যকর মানুষের ঘুমের উন্নতি স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। যা প্রত্যেক মানুষকেই সাহায্য করবে।
শত্রুঘ্ন সিনহাকে তৃণমূলে আনতে বড় ভূমিকা প্রশান্ত কিশোরের, পাশে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
রাহুল গান্ধীর বাড়ি থেকে সোজা আজাদের বাড়ি, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে রহস্য কংগ্রেসে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ২২দিন, ধ্বংসের ছবি দুই শিবিরেই স্পষ্ট হচ্ছে